শেষ সপ্তক হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্ত্তৃক গদ্য ছন্দে রচিত একটি বিখ্যাত বাংলা কাব্যগ্রন্থ।[][] এটি ১৯৩৫ সালে প্রকাশিত হয়।[][] এটি রবীন্দ্রনাথের কাব্য রচনার "অন্ত্যপর্ব"-এর অন্তর্গত একটি উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি।[]

শেষ সপ্তক-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মূল বিষয়বস্তু

সম্পাদনা

"শেষ সপ্তক" গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথের শেষ জীবনের বিষাদের সুর অনুভূত হয়। অতীত যৌবনের স্মৃতি, ক্ষুদ্র বিষয়াদির প্রতি আকর্ষণ, মৃত্যুর প্রতীক্ষা এবং জীবনের সার্থকতার কথা এতে ফুটে ওঠে।[]

কবিতার তালিকা

সম্পাদনা

এতে থাকা কবিতাগুলি হল:

  • স্থির জেনেছিলাম, পেয়েছি তোমাকে
  • একদিন তুচ্ছ আলাপের ফাঁক দিয়ে
  • ফুরিয়ে গেল পৌষের দিন
  • যৌবনের প্রান্তসীমায়
  • বর্ষা নেমেছে প্রান্তরে অনিমন্ত্রণে
  • দিনের প্রান্তে এসেছি
  • অনেক হাজার বছরের
  • মনে মনে দেখলুম
  • ভালোবেসে মন বললে
  • মনে হয়েছিল আজ সব-কটা দুর্গ্রহ
  • ভোরের আলো-আঁধারে
  • কেউ চেনা নয়
  • রাস্তায় চলতে চলতে
  • কালো অন্ধকারের তলায়
  • আমি বদল করেছি আমার বাসা
  • পড়েছি আজ রেখার মায়ায়
  • আমার কাছে শুনতে চেয়েছ
  • আমরা কি সত্যিই চাই শোকের অবসান
  • তখন বয়স ছিল কাঁচা
  • সেদিন আমাদের ছিল খোলা সভা
  • নূতন কল্পে
  • শুরু হতেই ও আমার সঙ্গ ধরেছে
  • আজ শরতের আলোয় এই যে চেয়ে দেখি
  • আমার ফুলবাগানের ফুলগুলিকে
  • পাঁচিলের এধারে
  • আকাশে চেয়ে দেখি
  • আমার এই ছোটো কলসিটা পেতে রাখি
  • তুমি প্রভাতের শুকতারা
  • অনেককালের একটিমাত্র দিন
  • যখন দেখা হল
  • পাড়ায় আছে ক্লাব
  • পিলসুজের উপর পিতলের প্রদীপ
  • বাদশাহের হুকুম
  • পথিক আমি
  • অঙ্গের বাঁধনে বাঁধাপড়া আমার প্রাণ
  • শীতের রোদ্দুর
  • বিশ্বলক্ষ্মী
  • হে যক্ষ, সেদিন প্রেম তোমাদের
  • ওরা এসে আমাকে বলে
  • ঋষি কবি বলেছেন
  • হালকা আমার স্বভাব
  • তুমি গল্প জমাতে পার
  • পঁচিশে বৈশাখ চলেছে
  • আমার শেষ বেলাকার ঘরখানি
  • তখন আমার আয়ুর তরণী
  • তখন আমার বয়স ছিল সাত

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত, ড. দুলাল চক্রবর্তী, জুলাই - ২০০৭, বাণী বিতান।
  2. Foundation, Poetry (২০২০-০৭-২৬)। "Rabindranath Tagore"Poetry Foundation (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-২৭ 
  3. "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর"Bengali Grammar । বাংলা ব্যাকরণ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৫-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-২৭ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা