শেরবত্সী কলেজ
শেরবত্সী কলেজ ভুটানের প্রথম স্বীকৃত কলেজ, যেটি উইলিয়াম ম্যাকির নেতৃত্বে ১৯৬৬ সালে জেসুইটসের একটি দল দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।
ধরন | সরকারি কলেজ |
---|---|
স্থাপিত | ১৯৬৬ |
সভাপতি | শেরিং ওয়াংডি |
শিক্ষার্থী | ১৭০০ |
অবস্থান | , , ভুটান ২৭°১৭′১৪″ উত্তর ৯১°৩১′২৫″ পূর্ব / ২৭.২৮৭১° উত্তর ৯১.৫২৩৭° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | শহর |
ওয়েবসাইট | www |
২০০৩ সালে, একটি নতুন নিয়ম তৈরির ফলে কলেজটি ভুটানের রাজকীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ হয়ে ওঠে, যেখানে ভুটানের সকল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ও অন্তর্ভুক্ত করে।
শেরবত্সী কলেজটি পূর্ব ভুটানের ত্রাশিগ্যাং জেলার কাংলুং শহরে অবস্থিত। [১] কলেজটি বৃহত্তর এলাকা নিয়ে গঠিত। শেরবত্সী কলেজটি ইয়ংফুল্লা বিমানবন্দর থেকে মাত্র ১০ মিনিট রাস্তা দূরত্বে অবস্থিত।
ভুটানের রাজকীয় সরকার শেরবত্সের স্নাতকদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশকে কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেয়, বাকিরা বেসরকারি খাতে কাজ খুঁজে পেতে বা বেসরকারী সংস্থা (এনজিও)-এর জন্য কাজ করে থাকে।
বিভাগ
সম্পাদনাশেরবত্সী কলেজ থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন বিভাগে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী স্নাতক সম্পন্ন করে। বিভাগ সমূহ: অর্থনীতি, ব্যবসা, কম্পিউটার বিজ্ঞান, দোজংখা, ইংরেজি, ভূগোল এবং বিজ্ঞান। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিজ্ঞান বিভাগ এর উদ্ভিদ বিজ্ঞান। হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় জীব ও উদ্ভিদ বৈচিত্র সহজভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায়।
ব্যবসা অধ্যয়ন বিভাগটি https://web.archive.org/web/20110706162637/http://www.gcbs.edu.bt/ গাইদু কলেজ অফ বিজনেস স্টাডিজ (জিসিবিএস)-এ স্থানান্তরিত করা হয়েছে, যা ভুটানের দ্বিতীয় সরকারি কলেজ এবং ছুখা দোজখখাগের অধীনে গেদুতে অবস্থিত। এই নতুন কলেজ ব্যবসা প্রশাসন এবং বাণিজ্য বিভাগ নিয়ে গঠিত।
কলেজটির ইতিহাস
সম্পাদনাভুটানের তৃতীয় রাজা, জিগমে দর্জি ওয়াংচুক ১৯৬৬ সালের জুনে শেরবত্সী স্কুল প্রতিষ্ঠার ভিত্তি স্থাপন করেন। ১৯৬৮ সালে যাজক উইলিয়াম ম্যাকি স্কুলটির প্রিন্সিপাল হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৭৬ সালে স্কুলটি প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের সাথে জুনিয়র কলেজে উন্নীত করা হয়। ১৯৭৮ সালে শিল্প ও ব্যবসা বিভাগ যোগ করা হয়।
১৯৮৩ সালে শেরবত্সী কলেজ ভারতের দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুসারে একটি অনুমোদিত কলেজ হয়ে উঠে এবং এর প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন গারল্ড ই লেক্লায়ার। পরবর্তীতে কানাডীয় কিছু যাজক সেখানে ইংরেজি ও বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষাদান শুরু করে।
২০০৩ সালে কলেজটি আরো ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে মিলিত হয়ে ভুটানের রাজকীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করে ভুটানের রয়েল ইউনিভার্সিটি। ব্যবসা ও অর্থনীতি বিভাগগুলো পরবর্তী কয়েক বছরে রয়েল ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (রিম)-এ স্থানান্তরিত হবে।
সাহিত্য
সম্পাদনা"বায়ন্ড দ্য স্কাই অ্যান্ড আর্থ" বইটিতে "জ্যামি জিপ্পা" শেরবত্সী কলেজে তার অভিজ্ঞতার বিস্তারিত বিবরণ প্রদান করে। তিনি কলেজ ফ্যাকাল্টি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী
সম্পাদনা- চৌয়েদা জামতসো - জাতীয় সংসদের সদস্য।
- দামচো দর্জি - পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- কেজাং দর্জি - গায়ক
উল্লেখযোগ্য অনুষদ
সম্পাদনা- জ্যামি জিপ্পা - লেখক/সাহিত্যিক।
- জর্জ থিংগামুটটিল - চলচ্চিত্র নির্মাতা।
- উইলিয়াম ম্যাকি (জেসুইট) - শিক্ষাবিদ।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Sherubtse College"। www.rub.edu.bt। ২০২২-০১-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৪।
আরও দেখুন
সম্পাদনা- Sherubtse College website ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ এপ্রিল ২০১২ তারিখে