শেখ হাসান আরিফ

বাংলাদেশী বিচারক

শেখ হাসান আরিফ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি।[১][২]

প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

আরিফের ১৯৬৮ সালের ২০ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম ফয়জুর রহমান এবং মার নাম হোসনে আরা বেগম (মৃত্যু ৮ই জুলাই ২০২৩, চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতালে)। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ও এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩] তিনি উলভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয়বার আইন ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।[৩]

কর্মজীবন

সম্পাদনা

আরিফ ১৯৯৫ সালের ১২ অক্টোবর জেলা আদালতের আইনজীবী হন।[৩]

আরিফ ১৮ জানুয়ারি ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হন।[৩]

এরপর তিনি ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হন।[৩]

২০১১ সালের জানুয়ারিতে আরিফ এবং বিচারপতি মোঃ ইমান আলী একটি রায় জারি করেন। এই রায়ে বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শারীরিক শাস্তি নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়।

২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল আরিফকে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি করা হয়।[৩] ২০১২ সালের নভেম্বরে আরিফ দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর পক্ষে সাক্ষী শুক রঞ্জন বালির জামিনের আবেদন শুনে বিব্রত বোধ করেন। সেজন্য তিনি শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ পছন্দ করেন। হাইকোর্ট বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ সদস্য বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ জামিনের আবেদনের শুনানি করতে চাইলে আরিফ ঘোষণা করেন যে তিনি বিব্রত বোধ করছেন এবং আবেদনটি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়েছিলেন।[৪]

২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪-এ, আরিফ ও বিচারপতি মুহাম্মদ উল্লাহ অতিরিক্ত বিচারপতির পদ থেকে এবিএম আলতাফ হোসেনকে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি নিয়োগের জন্য দায়ের করা একটি আবেদন খারিজ করে দেন।

২০১৯ পালের অক্টোবরে আরিফ এবং বিচারপতি রাজিক-আল-জলিল আবরার ফাহাদের পরিবারের সদস্যের জন্য ক্ষতিপূরণের আবেদনের শুনানি করতে অস্বীকার করেছিলেন। ২০ অক্টোবর ২০১৯-এ, আরিফ এবং বিচারপতি রাজিক-আল-জলিল মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়সের জন্য সরকারের সাম্প্রতিক ঘোষণাকে বেআইনি এবং অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Chief justice forms 9 more HC benches for virtually disposing of 'very urgent cases'"The Daily Star। ২০২১-০৫-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-০২ 
  2. "SC judges led by CJ meet President"Daily Sun। ২০১৪-১২-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-০২ 
  3. "Home : Supreme Court of Bangladesh"www.supremecourt.gov.bd। ২০২২-০৭-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-০২ 
  4. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :2 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি