শুকরিয়া আসিল হলেন আফগানিস্তানের একজন নারী অধিকার কর্মী, যিনি দেশটিতে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করে চলেছেন।[১] তার কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১০ সালে তাকে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার প্রদান করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর

শুকরিয়া আসিল
২০১০ সালে শুকরিয়া আসিল
জাতীয়তাআফগান
পেশানারী অধিকার কর্মী
পরিচিতির কারণআন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার ২০১০

কর্মজীবন সম্পাদনা

শুকরিয়া আসিল ২০০৯ সালে আফগানিস্তানের বাঘলান প্রদেশের তিন নারী শিক্ষকের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করতে অবদান রেখেছিলেন, যাদেরকে তিনি মিথ্যা সাজানো ঘটনায় বরখাস্ত করেছিল দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়।[২] ২০১০ সালে তিনি বাঘলান প্রাদেশিক পরিষদের একজন নারী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। উল্লেখ্য, তিনিসহ আরো চারজন নারী তখন বাঘলান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। ২০১২ সালে তিনি বাঘলান প্রদেশের সংস্কৃতি ও তথ্য বিভাগের প্রধান ছিলেন।[২][৩]

তিনি গণধর্ষণের শিকার এক কিশোরীকে তার পরিবারের কাছে ফেরত পাঠাতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছিলেন। গণধর্ষণের শিকার হওয়া ঐ কিশোরীকে পরিত্যাগ করেছিল তার পরিবার। শুকরিয়া আসিলের প্রচেষ্টায় ঐ কিশোরীকে গ্রহণ করেছিল তার পরিবার। তিনি বাঘলান প্রদেশের তৎকালীন গভর্নরের নিকট হতে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপের ব্যাপারে নিরুৎসাহিত হলেও তিনি তার কথায় কর্ণপাত করেন নি।[২]

তিনি আফগানিস্তানে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করে চলেছেন। তিনি আফগান নারীদের নিয়ে নেটওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরি করা ছাড়াও নারীদের ড্রাইভিং স্কুল ও মেয়ে শিশুদের মাঝে শিক্ষার প্রসার নিয়ে কাজ করে চলেছেন।[৪]

তিনি তার কর্মকাণ্ডের জন্য সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর নিকট থেকে অপহরণের হুমকি পেয়েছেন, আরো পেয়েছেন মৃত্যুর হুমকি। ফলশ্রুতিতে তাকে বসবাসের ঠিকানা পরিবর্তন করতে হয়েছে।[২][৪]

সম্মাননা সম্পাদনা

তার কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১০ সালে তিনি আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার লাভ করেন।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা