শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান

বাংলাদেশী বিচারক

শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান একজন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন। তিনি দুবার পদোন্নতি থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট থেকে পদত্যাগ করেন।[১]

শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
ব্যক্তিগত বিবরণ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
জীবিকাবিচারক

জীবনের প্রথমার্ধ সম্পাদনা

রহমান যথাক্রমে ১৯৬৫ এবং ১৯৬৬ সালে পদার্থবিজ্ঞানে থেকে স্নাতক এবং স্নাতক পড়াশোনা শেষ করেন।[২] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭০ সালে আইন বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন।[২]

কর্মজীবন সম্পাদনা

১৯৭২ সালে রহমান ঢাকা জেলা জজ আদালতে আইন প্র্যাকটিস শুরু করেন।[২]

রহমান ১৯৭৪ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হয়।[২]

১৯৮০ সালে রহমান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হন।[২]

রহমান ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের হাইকোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন।[২]

২০০৭ সালের অক্টোবরে রহমান ও বিচারপতি যুবায়ের রহমান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জামিন আদেশ জারি করেন।[৩] ২২ নভেম্বর ২০০৭ সালে রহমান এবং বিচারপতি যুবায়ের রহমান চৌধুরী দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পদের বিবরণী চাওয়াকে অবৈধ ঘোষণা করেন।[৪]

২৭ জানুয়ারী ২০০৮ সালো রহমান ও বিচারপতি শহীদুল ইসলাম তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে কেন স্থগিত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেওয়া হবে তা জানতে চেয়ে একটি আদেশ জারি করেন।[৫] ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি এবং বিচারপতি শহিদুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আজম জে চৌধুরীর করা মামলার কার্যক্রমকে অবৈধ ঘোষণা করেন।[৬] ১৭ মার্চ ২০০৮ সালে প্রধান বিচারপতি তাকে বিচারিক ক্ষমতা থেকে কেড়ে নেন।[৭]

২০০৯ সালে রহমানকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারক করা হয়।[২]

২০১০ সালে বিচারপতি এ. বি. এম. খায়রুল হককে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করা হয়েছিল যদিও রহমান আপিল বিভাগের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারক এবং প্রধান বিচারপতি হওয়ার জন্য পরবর্তী সারিতে ছিলেন।[৮]

রহমান ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারকদের মধ্যে সবচেয়ে সিনিয়র বিচারপতি এবং ২০১১ সালে বাংলাদেশের ২০ তম প্রধান বিচারপতি হওয়ার পরের সারিতে ছিলেন।[২] তাকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ না দিয়ে বাংলাদেশ সরকার মোজাম্মেল হোসেনকে নিয়োগ দেয়।[৮] রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ হান্নান শাহের ছোট ভাই এবং আওয়ামী লীগ সরকার তার পদোন্নতি দুইবার উপেক্ষা করেছিল।[৮] দ্বিতীয়বার পদোন্নতির জন্য উপেক্ষা করায় তিনি সুপ্রিম কোর্ট থেকে পদত্যাগ করেন।[৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Justice Mahmud new CJ | Independent"m.theindependentbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২০ 
  2. "Justice Abu Nayeem resigns"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২০ 
  3. "High Court Grants Bail to Khaleda"Arab News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৭-১০-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২০ 
  4. Staff (২০০৭-১১-২২)। "ACC's notification for wealth statement of Hasina illegel: HC"oneindia.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২০ 
  5. "Bangladesh High Court Issues Rule on EC & Government on Election"ভিওএ। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২০ 
  6. "Bangladesh High Court declares Hasina trial illegal"DNA India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২০ 
  7. "Justice Nayeem stripped of writ powers"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-০৯ 
  8. "CJ-hopeful Nayeem resigns"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-০৫-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২০