শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা
শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল এমএ মাদ্রাসা বাংলাদেশের সিলেট জেলার অন্যতম আলিয়া মাদ্রাসা।[১][২] মাদ্রাসাটি সদর উপজেলার পাঠানঢুলা নামক স্থানে অবস্থিত।[৩] এটি স্থানীয় আলেমদের দ্বারা ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো, মাদ্রাসাটিতে বর্তমানে আলিয়া মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর কামিল পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। ২০১৬ সালের পর থেকে এটি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রয়েছে। এবং মাদ্রাসার দাখিল ও আলিম শ্রেণীর জন্য বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধিনে রয়েছে।[৪] মাদ্রাসার বর্তমান অধ্যক্ষের নাম মাওলানা লুৎফুর রহমান হুমায়দী।[৫]
ধরন | এমপিও ভুক্ত |
---|---|
স্থাপিত | ১ জানুয়ারি ১৯৮৪ |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি |
|
মাধ্যমিক অন্তর্ভুক্তি | বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড |
শিক্ষার্থী | আনু. ১২০০ |
ঠিকানা | পাঠানটুলা , , , |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
ইআইআইএন সংখ্যা | ১৩০৪৩৭ |
ক্রীড়া | ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, ব্যাটমিন্টন |
এমপিও সংখ্যা | ১৫১০২১২৩০২ |
ওয়েবসাইট | http://130037.ebmeb.gov.bd/ |
ইতিহাস
সম্পাদনামাদ্রাসাটি ১৯৮৪ সালে সিলেট শহরে ইসলামি শিক্ষার বিস্তার ঘটানোর জন্য স্থানীয় আলেম ও সাধারণ মুসলিম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ধীরে ধীরে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে, মাদ্রাসার দাখিল শ্রেণী ও পরিবর্ততে আলিম শ্রেণী সরকার থেকে অনুমতি পায়। এরপরে মাদ্রাসাটি ফাজিল ও কামিল শ্রেণীতে পাঠদান শুরু করে। এটি ২০০৬ সালে ফাজিল ও কামিল শ্রেণীতে উচ্চতর মানের জন্য কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি লাভ করে। তবে ২০১৬ সালে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে, মাদ্রাসাটি সেখানে স্থানান্তরিত হয়।
শিক্ষা কার্যক্রম
সম্পাদনামাদ্রাসাটি দাখিল ও আলিম শ্রেণীর পরীক্ষায় ফলাফলে জেলার অন্যতম ভালো ফলাফল করে থাকে।[১] এই মাদ্রাসার দাখিল ও আলিম শ্রেণীতে মানবিক ও বিজ্ঞান উভয় শাখা বিদ্যমান রয়েছে। এবং ফাজিল ও কামিল শ্রেণীতে কিছু বিভাগে অনার্স কোর্স চালু আছে। এই মাদ্রাসার বহু শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পেয়ে থাকে। এই মাদ্রাসার ফাজিল ও কামিল শ্রেণীতে আল-কুরআন ও আল হাদিস বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু আছে।
সুযোগ-সুবিধা
সম্পাদনাসিলেট বিভাগীয় শহরে অবস্থিত এই মাদ্রাসা আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন একটি মাদ্রাসা। শিক্ষার্থীদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে এই মাদ্রাসায়। বিশাল আকারের খেলার মাঠ, পড়াশোনার জন্য লাইব্রেরী, গবেষণাগার, বিতর্ক আয়োজনের জন্য ডিবেটিং সোসাইটি রয়েছে। এছাড়া মেয়েদের জন্য কমন রুম ও অভ্যন্তরীণ সময় কাটানোর জন্য খেলাধুলার সুযোগ রয়েছে।
গ্রন্থাগার
সম্পাদনামাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত লাইব্রেরি রয়েছে। দাখিল থেকে শুরু করে কামিল পর্যায়ের সকল শিক্ষার্থীরা এখান থেকে বই ধার নিয়ে পড়াশোনা করতে পারে। মাদ্রাসার গ্রন্থাগারে আল কুরআন, আল হাদিস, তাফসীর, আল ফিকহ, ইসলামের ইতিহাস প্রভৃতি বিষয়ের উপর বহু মূল্যবান বই রয়েছে। মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এই লাইব্রেরীতে এসে পড়াশোনাও করতে পারে।
বিজ্ঞানাগার
সম্পাদনামাদ্রাসার বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রদের গবেষণা ও ল্যাব ক্লাস করার জন্য মাদ্রাসায় উন্নতমানের বিজ্ঞানানার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এখানে ছাত্ররা পাঠদান সময়ে ও অবসর সময়ে গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারে।[৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "সিলেটের সেরা দশ, শীর্ষে শাহজালাল জামেয়া কামিল মাদ্রাসা"। banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১৯।
- ↑ Mirror, Sylhet। "এমপিওভুক্ত হলো সিলেটের ৮৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান"। www.dailysylhetmirror.com (English ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১৯।
- ↑ "Shahjalal Jameya Islamia Kamil M.A Madrasah, Pathantula, Sylhet (2022)"। www.schoolandcollegelistings.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১৯।
- ↑ "Shahjalal Jamea Islamia Fajil Madrasha - Sohopathi | সহপাঠী" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৭-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১৯।
- ↑ Desk, News (২০২২-০৩-১০)। "আল্লামা হাবিবুর রহমান স্মরণে সিলেটে দোয়া ও আলোচনা সভা"। Sylhet Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৯-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১৯।
- ↑ bditfactory। "শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসায় বিজ্ঞান মেলা"। Dream Sylhet (English ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১৯।