শামসুন্নাহার হলে পুলিশী অভিযান

শামসুন্নাহার হলে পুলিশী অভিযান হচ্ছে ২০০২ সালের ২৩ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলে বাংলাদেশ পুলিশের একটি অভিযানকে বোঝায়। এই অভিযানের ফলে ২০০ শিক্ষার্থী আহত হয় এবং বাংলাদেশের শামসুন্নাহার হল ট্র্যাজেডি দিবস হিসাবে এই কাল রাত্রিকে স্মরণ করা হয়।[][]

শামসুন্নাহার হলে পুলিশী অভিযান
তারিখ২৩ জুলাই ২০০২
সময়১২.৩০ রাত, বাংলাদেশ সময়
অবস্থানঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
অন্যনাম২০০২ সালে শামসুন্নাহার হলে পুলিশী অভিযান
কারণছাত্রী নিপীড়ন
আহতআনুমানিক ২০০

পটভূমি

সম্পাদনা

২০০২ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ক্ষমতায় ছিল এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ছিলো তাদের ছাত্র সংগঠন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের শিক্ষার্থীরা ছাত্রাবাসে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাদের অননুমোদিত থাকার প্রতিবাদ জানিয়েছিল।[]

২০০২ সালের ২৩ জুলাই পুলিশ মধ্যরাতে এই হলের আস্তানায় অভিযান চালায়।[] পুলিশের কর্মকর্তারা ছাত্রীনিবাসের বাসিন্দাদের টেনে এনে আক্রমণ করে।[] পুলিশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাদের সহযোগিতায় এই অভিযানে যোগ দেয়।[]

প্রতিক্রিয়া

সম্পাদনা

এই হামলার পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে প্রতিবাদ করা হয়েছিল।[] এই অভিযানের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।[] বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরও পদত্যাগ করেছিলেন।[] প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এই ঘটনা তদন্তের জন্য কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি এম তাফাজ্জুল ইসলামের সমন্বয়ে এক ব্যক্তির একটি কমিশন গঠিত হয়েছিল। তদন্ত প্রতিবেদনে বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবদুর রহিম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের উপর এই ঘটনার জন্য দোষারোপ করা হয়েছিল।[] এই অভিযানের নেতৃত্বে ছিল পুলিশ অফিসার কোহিনূর মিয়া।[১০]

উত্তরাধিকার

সম্পাদনা

২০০৩ সালে, এই অভিযানের প্রথম বার্ষিকীতে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একটি মোমবাতির মিছিল করেছিল। নির্যাতনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য সৈয়দ মুহাম্মদ আবুল ফায়েজের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।[১১] অভিযানের দিনটিকে শামসুন্নাহার হল ট্র্যাজেডি দিবস হিসাবে স্মরণ করা হয়।[১২][১৩]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Huq, Ershadul। "200 Injured As Police Beat Bangladesh University Girls"rense.com। Indo-Asian News Service। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-২৪ 
  2. "Punishment to JCD cadres, other culprits demanded"দ্য ডেইলি স্টার। ২০০৮-০৭-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-২৪ 
  3. "Call to punish perpetrators"দ্য ডেইলি স্টার। ২০০৯-০৭-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-২৪ 
  4. "Shamsunnahar Hall Tragedy Day Punishment of attackers demanded"ঢাকা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-২৪ 
  5. "Perpetrators yet to be punished"দ্য ডেইলি স্টার। ২০১৩-০৭-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-২৪ 
  6. "Punishment for duty cops sought"দ্য ডেইলি স্টার। ২০১৫-০৭-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-২৪ 
  7. "When politics prevails over merit"দ্য ডেইলি স্টার। ২০০৩-০১-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-২৪ 
  8. "14th anniv of DU Shamsunnahar hall tragedy observed"New Age। ২০২২-০৭-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-২৪ 
  9. "Shamsunnahar Hall attack Probe reports gather dust"দ্য ডেইলি স্টার। ২০১৮-০১-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-২৪ 
  10. "Police administration put thru' transfer hoops:Kohinoor made OSD again"দ্য ডেইলি স্টার। ২০১৮-০১-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-২৪ 
  11. "DU students march in silence to mark one year of attack on hall students"দ্য ডেইলি স্টার। ২০১৮-০১-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-২৪ 
  12. "Shamsunnahar Hall tragedy day observed"The Independent। Dhaka। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-২৪ 
  13. "Fourth anniversary of Shamsunnahar Hall tragedy observed"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-২৪