শান্তিময় গঙ্গোপাধ্যায়
শান্তিময় গঙ্গোপাধ্যায় বা শান্তিময় গাঙ্গুলি (ইংরেজি: Shantimoy Gangopadhyay or Shantimoy Ganguly)( ১৯১৫ —১০ অক্টোবর, ১৯৯৭) ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের এক বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্র বসুর সহকর্মী ও তার ঐতিহাসিক মহানিস্ক্রম্মণের পরিকল্পনাকার ও সঙ্গী।[১]
শান্তিময় গঙ্গোপাধ্যায় | |
---|---|
জন্ম | ১৯১৫ শীতলক্ষা, নারায়ণগঞ্জ বৃটিশ ভারত বর্তমানে বাংলাদেশ , |
মৃত্যু | ১০ অক্টোবর ১৯৯৭ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারতীয় |
পরিচিতির কারণ | ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক বিপ্লবী ও সুভাষচন্দ্র বসুর ঐতিহাসিক মহানিস্ক্রম্মনের সঙ্গী |
পিতা-মাতা | বিমলামোহন গাঙ্গুলি (পিতা) |
সংক্ষিপ্ত জীবনী সম্পাদনা
শান্তিময় গাঙ্গুলির জন্ম বৃটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষার তামাকপট্টি মহল্লায়। পিতা বিমলা মোহন গাঙ্গুলি। শান্তিময়ের পড়াশোনা নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুলে। স্কুলে তিনি ছাত্র নেতা ছিলেন। [২] ছাত্রাবস্থাতেই তিনি বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের সদস্য হন এবং বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়ে বহুবার কারাবরণ করেন। নেতাজীর সিক্রেট সার্ভিসের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে পেশোয়ার ও কাবুল থেকে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে নতুন পর্যায়ে সংগঠিত করেন। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে তিনি, সত্যরঞ্জন বকসি যতীশ গুহ সহ বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের সাহসী ও একনিষ্ঠ কর্মীদের বৃটিশ পুলিশ গ্রেফতার করে [৩] এবং সামরিক বাহিনীর হেফাজতে বৃটিশ শাসকের অকথ্য অত্যাচার সহ্য করতে হয়। পরে দীর্ঘদিন সুভাষচন্দ্রের ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে রাজনীতি থেকে অবসর নেন। স্বাধীনতা লাভের পর কর্মজীবনে তিনি 'ক্যালকাটা ফ্যান ওয়ার্কস'-এর ডিরেক্টর হিসাবে কাজ করেছেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি নেতাজি রিসার্চ ব্যুরো এবং বিপ্লবী নিকেতন ও চক্ষু চিকিৎসালয়ের সাথে যুক্ত ছিলেন।
১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দের ১০ই অক্টোবর তিনি কলকাতায় প্রয়াত হন।
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, দ্বিতীয় খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, জানুয়ারি ২০১৯ পৃষ্ঠা ৩৮০, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-২৯২-৬
- ↑ "নেতাজি ছিলেন শক্তিরই প্রতিভূ"। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১৫।
- ↑ "A perilous journey netajisubhasbose"। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১৪।