শাটার আইল্যান্ড (চলচ্চিত্র)
শাটার আইল্যান্ড (বাংলা: ঝিলমিল দ্বীপ) ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া মার্টিন স্কোরসেজি পরিচালিত ২০০৩ সালে প্রকাশিত শাটার আইল্যান্ড নামক উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি নব্য-নোয়ার রহস্য ও মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলারধর্মী চলচ্চিত্র। [৩] রহস্য ও থ্রিলারধর্মী এই চলচ্চিত্রটি মূলত ইউ এস মার্শাল টেডি ডেনিয়েলের (লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও) মানুষিক হাসপাতাল থেকে লাপাওা হওয়া এক খুনির খোঁজে শাটার আইল্যান্ডের আগমনকে ঘিরে। অতঃপর হাসপাতালে সেবার আড়ালে ভয়াবহ কার্যক্রমের রহস্য উদঘাটনের নিমিওে প্রমাণ খো্ঁজার ব্যর্থ প্রচেষ্টা । অবশেষে নিজেই হাসপাতালটির হারিয়ে যাওয়া মোষ্ট-ওয়ান্টেড রোগী হয়ে যাওয়া নিয়ে এ মুভির কৌতুহলউদ্দীপ্ত কাহিনী।
শাটার আইল্যান্ড | |
---|---|
![]() শাটার আইল্যান্ড চলচ্চিত্র এর বাণিজ্যিক পোষ্টার | |
পরিচালক | মার্টিন স্কোরসেজি |
প্রযোজক | মাইক মেডাভয়, আর্নল্ড ডব্লিউ মেসার, ব্রেডলি জে ফিস্চার, মার্টিন স্কোরসেসে |
চিত্রনাট্যকার | লিয়েটা ক্যালগ্রিডিস স্টিভেন নাইটস(uncredited) |
উৎস | শাটার আইল্যান্ড (ডেনিস লেহান) |
শ্রেষ্ঠাংশে | লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও মার্ক রাফালো বেন কিংসলে Michelle Williams Patricia Clarkson Max von Sydow |
চিত্রগ্রাহক | Robert Richardson |
সম্পাদক | থেলমা স্কুনমেকার |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক | প্যারামাউন্ট পিকচার্স |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৩৯ মিনিট |
দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $৮০ মিলিয়ন[১] |
আয় | $২৯৪.৮ মিলিয়ন[২] |
কাহিনী সংক্ষেপ
সম্পাদনা১৯৫৪ সাল। একজন ইউ.এস.মার্শাল টেডি ড্যানিয়েলস বোস্টন হার্বার এর শাটার আইল্যান্ডের অ্যাশক্লিফ হাসপাতালে যায়। তার সঙ্গী চাককে নিয়ে। তার এই সঙ্গী সদ্যপরিচিত। হাসপাতালটিতে সব মানসিক রোগী এবং ভয়ংকর ক্রিমিনালদের চিকিৎসা করা হয়,যারা মানসিকভাবে অসুস্থ হলেও অনেক সময় ক্ষতিকর হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।সেই হাসপাতালের ৬৭ নং রোগী পলাতক। তাকে খুঁজে বের করতেই তাদের এই যাত্রা। এছাড়াও টেডির আরেকটি উদ্দেশ্য হল তার স্ত্রীর খুনিকে খুঁজে বের করা , যে ঐ হাসপাতালে ভর্তি। খুনির নাম অ্যান্ড্রু লেডিস।হাসপাতালের সাথে বাইরের দুনিয়ার কোন সংযোগ নেই, যেহেতু দ্বীপে তা অবস্থিত।সেখান থেকে পালানোর কোন উপায় নেই। জাহাজ যায় দ্বীপটিতে, তাও নিয়ন্ত্রণ করা হয় দ্বীপ থেকে। দ্বীপ থেকে পালানো প্রায় অসম্ভব। টেডি তার তদন্ত শুরু করে।কিন্তু কোথায় যেন কি মিল নেই!! সে ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। সে ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পরে, মাথাব্যথায় কাতরায়। ধীরে ধীরে বুঝতে পারে চমৎকার এক ষড়যন্ত্র চলছে তাকে নিয়ে। সে নিজ ইচ্ছায় তার বউয়ের খুনিকে ধরতে আসেনি, বরং যেন তাকে নিয়ে আসা হয়েছে প্লান করে। সে বিশ্বাস হারাতে শুরু করে হাসপাতালের প্রধানদের উপর। সাহায্যকারী কেউ নেই। নিজের জীবন নিজেকেই বাঁচাতে হবে! এক সময় সে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে নিজের অস্তিত্বের উপর, নিজের পরিচয়ের উপর।
অভিনয়ে
সম্পাদনা- লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও - এডওয়ার্ড "টেডি" ডেনিয়েলস / অ্যান্ড্রু লায়েডিস
- মার্ক রাফালো - চাক আউল (লেস্টার শিহান)
- বেন কিংসলি - ড. জন কাওলি
- ম্যাক্স ভন সিডো - ড. জেরেমিয়াহ নাহরিং
- মিশেল উইলিয়ামস - ডলোরেস চ্যানেল
- এমিলি মর্টিমার - রাচেল সোল্যান্ডো ১
- প্যাট্রিশিয়া ক্লার্কসন - রাচেল সোল্যান্ডো ২
- জ্যাকি আর্ল হ্যালি - জর্জ নয়েস
- টেড লেভাইন - ওয়ার্ডেন
- জন ক্যারল লিঞ্চ - ডেপুটি ওয়ার্ডেন ম্যাকফারসন
- ইলিয়াস কোটিয়াস - "অ্যান্ড্রু লায়েডিস"
- রুবি জেরিন্স - ছোট মেয়ে / রাচেল লায়েডিস
- রবিন বার্টলেট - ব্রিজেট কেয়ার্নস
- ক্রিস্টোফার ডেনহাম - পিটার ব্রেইন
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Films | Shutter Island"। DarkHorizons.com। নভেম্বর ২৯, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ১৬, ২০১৬।
- ↑ "Shutter Island (2010)"। Box Office Mojo। Amazon.com। সংগ্রহের তারিখ মে ১৬, ২০১৬।
- ↑ Finke, Nikki (আগস্ট ২১, ২০০৯)। "SHOCKER! Paramount Moves Scorsese's 'Shutter Island' To February 19, 2010"। DeadlineHollywoodDaily.com। আগস্ট ২৩, ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১০।