শব্দবিজ্ঞান

যান্ত্রিক তরঙ্গ, শব্দ, কম্পন ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে এমন শাস্ত্র

শব্দবিজ্ঞান বা "ধ্বনিবিজ্ঞান" হচ্ছে আন্তঃশাস্ত্রীয় বিজ্ঞান, যা বায়বীয়, তরল ও কঠিন মাধ্যমের সকল প্রকার যান্ত্রিক তরঙ্গ নিয়ে আলোচনা করে যেমনঃ কম্পন, শব্দ, আলট্রা সাউন্ড এবং ইনফ্রা সাউন্ড। শব্দবিজ্ঞান এর ব্যবহার বর্তমানে সবখানে দেখা যায়। স্পষ্ট শব্দ পেতে ও শব্দের কোলাহল নিয়ন্ত্রণ করতে এর বিকল্প নেই।

প্রাচীন রোমান থিয়েটারও শব্দবিজ্ঞানের মূলনীতির প্রয়োগ দেখা যায়।

ইতিহাসসম্পাদনা

শব্দ বিজ্ঞানের প্রারম্ভিক গবেষণাসম্পাদনা

খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে, বিখ্যাত গ্রিক দার্শনিক পিথাগোরাস লক্ষ করেন যে কিছু কিছু শব্দগুচ্ছ অন্য শব্দগুচ্ছের তুলনায় আমাদের কাছে বেশি শ্রুতিমধুর মনে হয়, তার মনে প্রশ্ন জাগে কেন এমন হয়, এবং এর উত্তর খুঁজে পান হারমোনিক ওভারটন সিরিজের সাংখ্যিক অনুপাতের মাঝে। তিনি লক্ষ করেন যখন কম্পমান তন্তুগুলো সাংখ্যিক অনুপাতে থাকে (যেমনঃ ২ থেকে ৩, ৩ থেকে ৪), তখন তা বেশি শ্রুতিমধুর হয়, এবং এর সাংখ্যিক মান যত ছোট হবে তত বেশি শ্রুতিমধুর হবে।[১]

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. C. Boyer and U. Merzbach. A History of Mathematics. Wiley 1991, p. 55.