লোটেন ডাহলগ্রেন

সুয়েডীয় সাংবাদিক

ইভা শার্লোটা ক্যারোলিনা ডাহলগ্রেন (২৩ এপ্রিল ১৮৫১ - ১৪ জানুয়ারী ১৯৩৪) ছিলেন একজন সুইডিশ লেখিকা, সাংবাদিক, সংবাদপত্রের সম্পাদক, নারীবাদী ও ভোটাধিকারী। ১৮৯১ থেকে ১৯০৭ সাল পর্যন্ত তিনি সুইডিশ নারী আন্দোলনের একটি শীর্ষস্থানীয় মুখপত্র ড্যাগনি সাময়িকীর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দেশের প্রাচীনতম নারী অধিকার সংগঠন ফ্রেডরিকা ব্রেমার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যও ছিলেন। সাহিত্য ও ইতিহাসে তার অবদানের জন্য তিনি সুইডিশ রাজকীয় পদক লিটারিস এট আর্টিবাসে ভূষিত হন।

লোটেন ডাহলগ্রেন
১৯০৮ সালে লোটেন ডাহলগ্রেন
জন্ম
ইভা শার্লোটা ক্যারোলিনা ডাহলগ্রেন

(১৮৫১-০৪-২৩)২৩ এপ্রিল ১৮৫১
মৃত্যু১৪ জানুয়ারি ১৯৩৪(1934-01-14) (বয়স ৮২)
ডিজুরশোম, সুইডেন
পেশা
  • লেখিকা
  • সাংবাদিক

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

লোটেন ডাহলগ্রেন ১৮৫১ সালের ২৩ এপ্রিল স্টকহোম, সুইডেনে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ফ্রেডরিক অগাস্ট ডাহলগ্রেন একজন সরকারী কর্মচারী ছিলেন ও লেখক হিসাবে তার সফল কর্মজীবন ছিল। তার কাজের মধ্যে ছিল ভার্মলানিঙ্গার্ন, একটি কমেডি যা ১৮৪৬ সালে প্রথম সম্পাদিত হয়েছিল। ১৮৭০-এর দশকে তিনি সুইডিশ উপভাষায় তার কবিতার জন্য পরিচিত হন ও ১৯৭১ সালে সুইডিশ একাডেমিতে অন্তর্ভুক্ত হন। ডাহলগ্রেনের মা উলরিকা "উল্লা" ভন হেল্যান্ড ছিলেন লেখক, ইতিহাসবিদ ও কবি এরিক গুস্তাফ গেইজারের ভাইঝি। ডাহলগ্রেনের লেখার প্রতি বেশ আগ্রহ ছিল। তিনি স্টকহোমের একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন এবং পরে বিদেশে ভাষা অধ্যয়ন করেন। লেখাপড়া শেষ করে কয়েক বছর শিক্ষকতা করেন।[১][২]

কর্মজীবন সম্পাদনা

১৮৮০-এর দশকের শেষের দিকে ডাহলগ্রেনের লেখার কর্মজীবন শুরু হয়েছিল। তিনি আফতনব্লাদেত পত্রিকার সম্পাদক হিসাবে কাজ করেছিলেন। ১৮৮৭ সালে, তিনি সুইডেনের প্রাচীনতম নারী অধিকার সংস্থা ফ্রেডরিকা ব্রেমার অ্যাসোসিয়েশন (এফবিএফ) এর বোর্ড সদস্য হন। ১৮৯১ সালে, তিনি অ্যাসোসিয়েশনের জার্নাল ড্যাগনি -এর সম্পাদক হন - একটি ম্যাগাজিন যা সুইডেনে নারীর অধিকার, লিঙ্গ ভূমিকা ও নারীবাদের উপর আলোকপাত করে এবং ১৯০৭ সাল পর্যন্ত এর বোর্ডে ছিলেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Furuland, Gunnel (২ মার্চ ২০২০)। "Eva Charlotta Carolina (Lotten) Dahlgren"Svenskt kvinnobiografiskt lexikon (Swedish ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২১ ]
  2. Ek, Sverker। "Lotten Dahlgren"Svenskt biografiskt lexikon (Swedish ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২১