লু শিয়াওচুন
লু শিয়াওচুন[টীকা ১] (চীনা: 吕小军; ফিনিন: Lǚ Xiǎojūn; জন্ম: ২৭ জুলাই, ১৯৮৪) হুপেই এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট চীনা ভারোত্তোলক। তিনি সাবেক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন। এ পর্যন্ত তিনবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের শিরোপা লাভ করেছেন। এছাড়াও ৭৭ কেজি ওজন শ্রেণীতে স্ন্যাচ ও সর্বমোট - উভয় বিভাগে বর্তমান বিশ্ব ও অলিম্পিক রেকর্ডের অধিকারী তিনি। তন্মধ্যে স্ন্যাচে ১৭৭ কেজি এবং সর্বমোট ৩৮০ কেজি উত্তোলন করেন। প্রচলিত স্প্লিট জার্কের পরিবর্তে স্কুয়াট জার্ক প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকেন তিনি।
ব্যক্তিগত তথ্য | |
---|---|
জাতীয়তা | চীনা |
জন্ম | হুপেই, চীন | ২৭ জুলাই ১৯৮৪
উচ্চতা | ১.৭২ মি (৫ ফু ৮ ইঞ্চি) (২০১২) |
ওজন | ৭৭ কেজি (১৭০ পা; ১২.১ স্টো) |
ক্রীড়া | |
দেশ | গণচীন |
ক্রীড়া | ভারোত্তোলন |
বিভাগ | -৭৭ কেজি শ্রেণী |
প্রশিক্ষক | ইউ জাই[১] |
সাফল্য ও খেতাব | |
বিশ্ব ফাইনাল |
|
অলিম্পিক ফাইনাল |
|
খেলোয়াড়ী জীবন সম্পাদনা
২০০৩ সালে হুপেইয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশীপে অংশ নেন। ঐ প্রতিযোগিতায় ৬৯ কেজি বিভাগে অংশ নিয়ে ব্রোঞ্জপদক লাভ করেন। একই বছর অসাধারণ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের দরুণ চীনা জাতীয় দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৬ সালে কাঁধে ও পায়ে আঘাতপ্রাপ্তির ফলে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন। ২০০৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের পর তিনি পুনরায় জাতীয় দলের সদস্য হন ও কোচ ইউ জাইয়ের তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণে অংশ নিতে থাকেন।[২]
২০১২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ৭৭ কেজি ওজন শ্রেণীতে সর্বমোট ৩৭৯ কেজি ভার উত্তোলন করেন।[৩] তন্মধ্যে স্ন্যাচে ১৭৫ কেজি বিশ্ব ও অলিম্পিক রেকর্ডবিশেষ। স্ন্যাচ পর্যায়ে বিঘ্ন সৃষ্টির ফলে তৃতীয় প্রচেষ্টায় ১৭৭ কেজি উত্তোলন করতে ব্যর্থ হন।
২০১৩ সালের বিশ্ব ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশীপে ৭৭ কেজি ওজন শ্রেণীতে ৩টি স্বর্ণপদক জয় করেন। স্ন্যাচে ১৭৬ কেজি তুলে তিনি নিজের রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেন। এছাড়াও ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে ২০৪ কেজি উত্তোলন করে সর্বমোট ৩৮০ কেজির নতুন বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী হন।
ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা
হুপেই প্রদেশের কিয়ানজিয়াং সিটির প্রশাসনিক গ্রামে তার জন্ম। বাবা লু ইউয়ানসহ পরিবারের বাদ-বাকি সদস্যরা কৃষিকাজের সাথে জড়িত ছিলেন। ১৩ বছর বয়সে স্থানীয় ক্রীড়া বিদ্যালয়ে ভারোত্তোলক হিসেবে প্রশিক্ষণ নিতে থাকেন। এরফলে গ্রামীণ পরিবেশের দারিদ্র্যতা থেকে মুক্তি পাবার সুযোগ ঘটে তার। ১৯৯৯ সালে অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতা থেকে লুইয়ের পরিবারকে সহায়তাকল্পে কোচ ডেংলিং হু তাকে প্রাদেশিক দলের সদস্যরূপে যোগদান করান।
ডিসেম্বর, ২০১৩ সালে সাবেক আন্তর্জাতিক ভারোত্তোলক ও দীর্ঘদিনের বান্ধবী গু জিঙানের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন।[৪] পরবর্তীতে আগস্ট, ২০১৪ সালে এ দম্পতির সন্তান জন্মগ্রহণ করে।[৫]
টীকা সম্পাদনা
- ↑ এই ম্যান্ডারিন চীনা ব্যক্তিনাম বা স্থাননামটির বাংলা প্রতিবর্ণীকরণে উইকিপিডিয়া:বাংলা ভাষায় ম্যান্ডারিন চীনা শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ শীর্ষক রচনাশৈলী নিদের্শিকাতে ব্যাখ্যাকৃত নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "London Olympics Weightlifting Men"। ১৪ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ 10-02-2013। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ http://www.allthingsgym.com/short-lu-xiaojun-documentary-interview-english-subtitles/#more-38381
- ↑ "London Olympics: Record-setting Lu Xiaojun wins men's -77kg weightlifting"। সংগ্রহের তারিখ 02-08-2012। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ http://www.allthingsgym.com/lu-xiaojun-175kg-snatch-200kg-clean-jerk-2014-asian-games/