লুৎফুর রহমান

ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ

লুৎফুর রহমান একজন সমাজকর্মী ও যুক্তরাজ্যের লন্ডনের একজন স্থানীয় রাজনীতিবিদ। তিনি বর্তমানে লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস পৌর অঞ্চলের মেয়র। ২০১০ সালে তিনি মেয়র নির্বাচিত হন এবং তিনি এই অঞ্চলের ইতিহাসে প্রথম সরাসরি ভোটে নির্বাচিত মেয়র। মেয়র নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তিনি একই অঞ্চলের পৌর পরিষদের নির্বাচিত প্রধান হিসেবে দায়িত্ম পালন করছিলেন।

লুৎফুর রহমান
টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র
সংখ্যাগরিষ্ঠতা:' ১২,০২৯ (২৬.৭%)
দায়িত্মগ্রহণ:' ২৫ অক্টোবর, ২০১০
জন্ম: সিলেট, বাংলাদেশ
জাতীয়তা: ব্রিটিশ
রাজনৈতিক দল: স্বতন্ত্র (ভূতপূর্ব লেবার)
বাসস্থান: পূর্ব লন্ডন, লন্ডন, যুক্তরাজ্য
অ্যালমা ম্যাটার: বো স্কুল, সিটি ইউনিভার্সিটি লন্ডন
ধর্ম: ইসলাম
ওয়েবসাইট: টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র
দায়িত্মরত

জন্ম ও শিক্ষা

সম্পাদনা

লুৎফুর রহমানের জন্ম বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে। তার খুব কম বয়সে তার পিতা সপরিবারে যুক্তরাজ্যে আসেন ও লন্ডনে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন। পরিবারটি লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেট্‌স অঞ্চলের বাসিন্দা ও লুৎফুর রহমান বো অঞ্চলের ম্যানর প্রাইমারি স্কুলে পড়াশুনা করেছেন। স্কুল শেষ করার পর তিনি সিটি ইউনিভার্সিটি লন্ডনে আইন বিষয়ে পড়াশুনা করেন এবং পাশ করে আইন পেশা গ্রহণ করেন। তিনি একজন সলিসিটর এবং পারিবারিক আইন বিষয়ে কাজ করে থাকেন।[]

কর্মকাণ্ড

সম্পাদনা

তরুণ বয়সেই লুৎফুর রহমান স্থানীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক সমাজকর্মে মনোনিবেশ করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি স্পাইটালফিল্ডের প্রগ্রেসিভ ইয়ুথ অর্গানাইজেশানের সদস্য ও পরে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ম পালন করেন। ১৯৯০ সালে তিনি কিন স্টুডেন্টস সাপ্লিমেন্টারি স্কুলের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করেন। এছাড়াও তিনি কমিউনিটি অ্যালায়েন্স ফর পুলিস অ্যাকাউন্টিবিলিটি নামক প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক ও টাওয়ার হ্যামলেটস ল’ সেন্টার নামক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে তিনি বার্টস ও দ্যা লন্ডন এনএইচএস ট্রাস্টের একজন অনির্বাহী পরিচালক।[]

লুৎফুর রহমান ২০০২ সালে লন্ডন পৌর নির্বাচনে অংশ নেয়ার মধ্য দিয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে পা রাখেন এবং স্পাইটালফিল্ড-বাংলাটাউন অঞ্চল থেকে লেবার সমর্থিত কাউন্সিলার হিসেবে নির্বাচিত হন। একই আসন থেকে তিনি ২০০৬ সালের নির্বাচনেও অংশ নেন এবং দ্বিতীয়বারের মত কাউন্সিলার হন।

কাউন্সিলার হওয়ার পাশাপাশি তিনি টাওয়ার হ্যামলেটস পৌর কর্তৃপক্ষে শিক্ষা বিষয়ক দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ম পালন করেন। ২০০৬-এ নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে সংস্কৃতি বিষয়ক দলের নেতা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

২০০৭ সালে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের জন্য লেবার পার্টির মনোনয়ন বাছাই শুরু হলে কাউন্সিলার লুৎফুর রহমান তাতে অংশ নেন। কিন্তু স্থানীয় প্রতিনিধিদের ভোটে তিনি সামান্য ব্যবধানে স্থানীয় অপর লেবার নেত্রী রুশনারা আলীর কাছে হেরে যান। পরে রুশনারা আলী ২০১০ সালের সাধারণ নির্বাচনে লেবার প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন ও প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভুদ ব্রিটিশ এমপি নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস রচনা করেন।[]

অবশ্য পরের বছরই লুৎফুর রহমান বাংলাদেশি বংশোদ্ভুদ ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ হিসেবে নতুন আরেক ইতিহাস রচনা করেন।

টাওয়ার হ্যামলেটসের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রথম মেয়র

সম্পাদনা

২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে লুৎফুর রহমান স্থানীয় লেবার প্রতিনিধিদের ভোটে টাওয়ার হ্যামলেটসের একই বছরে অনুষ্ঠিতব্য সরাসরি ভোটের মেয়র নির্বাচনের জন্য মনোনীত হন।[] কিন্তু স্থানীয় লেবারের অন্তর্কোন্দলরত নেতৃবৃন্দ ও প্রতিনিধিদের অভিযোগ পালটা অভিযোগের ফলে এই মনোনয়নটি বিতর্কিত হয়ে পড়ে এবং একাধিক বার তা বাতিলের উপক্রম হয়। এর প্রেক্ষিতে লুৎফুর রহমান আদালতের শরণাপন্ন হন এবং আদালতের রায়ে তার মনোনয়ন বহাল থাকে।[][][] লুৎফুর রহমান প্রতিনিধি ভোটে স্থানীয় অপর লেবার প্রার্থীদেরকে পরাজিত করে (লুৎফুর রহমান ৪৩৩ ভোট, জন বিগস ২৫১ ভোট ও হেলাল উদ্দীন আব্বাস ১৫৭ ভোট) মনোনয়ন নিশ্চিত করেন এবং লন্ডনের আঞ্চলিক লেবার কর্তৃপক্ষের পরিচালক কেন ক্লার্ক লুৎফুরকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন।[]

নির্বাচনের আগে, যখন লুৎফুরের প্রার্থীতা চূড়ান্ত হয়েছে, তখন প্রতিনিধি ভোটে পরাজিত ও তৃতীয় স্থানাধিকারী লেবার নেতা হেলাল উদ্দীন আব্বাস লেবার পার্টির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কাছে লুৎফুর রহমানকে ইসলামী মৌলবাদের সমর্থক আখ্যা দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয় লুৎফুর রহমান ইউরোপ ভিত্তিক উগ্রবাদী দল ইসলামিক ফোরাম অফ ইউরোপের একজন সমর্থক। অভিযোগে আরও বলা হয়, লুৎফুর রহমান প্রতিনিধি ভোটে জেতার উদ্দেশ্যে ভুয়া প্রতিনিধিদের দ্বারা ভোটদানের ব্যবস্থা করেছেন। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে লুৎফুর রহমানের কাছে ব্যাখ্যা গ্রহণের আগেই লেবারের জাতীয় নির্বাহী কমিটি (এনইসি) তার মনোনয়ন বাতিল করে। নতুন প্রার্থী হিসেবে তারা অভিযোগকারী ও প্রতিনিধি ভোটে তৃতীয় স্থান অধিকারী হেলাল উদ্দীন আব্বাসকেই মনোনয়ন দেয়।[][]

লেবার পার্টি এনইসির সিদ্ধান্তের পর লুৎফুর প্রথমে ঘোষণা দেন তিনি এর বিরুদ্ধে আবার আদালতে যাবেন।[১০] কিন্তু নির্বাচনে আগে ২৩ সেপ্টেম্বর তারিখে তিনি ঘোষণা দেন, তিনি কোন দলীয় মনোনয়ন ছাড়াই একা নির্বাচন করবেন।[১১] এই ঘোষণা পরপরই জর্জ গ্যালওয়ের রেসপেক্ট পার্টি তাকে সমর্থনের ঘোষণা দেয়। তবে লুৎফুর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই নির্বাচনে থাকেন।

নির্বাচনী প্রচারণায় লুৎফুর নিজেকে একজন সোশাল ডেমোক্র্যাট হিসেবে উপস্থাপন করেন এবং বলেন, তিনি লেবার প্রার্থীর চেয়ে রাজনৈতিক ভাবে কিছুটা বামে অবস্থান করেন।[১২] তার নির্বাচনী খরচের ও উৎস হিসেবে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সলিসিটর হিসেবে আয় করা অর্থ থেকেই নির্বাচনী ব্যয় বহন করা হচ্ছে।[১২][১৩]

প্রচারণার এক পর্যায়ে লন্ডন মেয়র নির্বাচন ২০১২-র লেবার দলীয় প্রার্থী কেন লিভিংস্টোন লুৎফুর রহমানকে সমর্থনের ঘোষণা দেন। তিনি লেবার পার্টি এনইসির সিদ্ধান্তকে অগণতান্ত্রিক আখ্যা দিয়ে বলেন, এড মিলিব্যান্ডের মত একজন নেতা সেসময়ে দলের নেতৃত্ব থাকলে এনইসি কখনওই এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারত না। উল্লেখ্য এসব ঘটনার মাত্র দু’দিন পরই লেবার পার্টির নেতার নির্বাচনে মিলিব্যান্ড ভাতৃদ্বয় পরষ্পরের সাথে প্রতিযোগিতা করেন, যেখানে ছোট ভাই এড মিলিব্যান্ড বড় ভাই ও সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডেভিড মিলিব্যান্ডকে পরাজিত করে লেবার নেতা ও প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে আবির্ভুত হন।[১৪]

২৮ অক্টোবর, ২০১০ তারিখে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে লুৎফুর রহমান প্রদত্ত ভোটের ৫১ শতাংশ ভোট লাভ করে বিপুল বিজয় অর্জন করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভুত হন লেবার সমর্থিত প্রার্থী হেলাল উদ্দীন আব্বাস, যিনি পান মাত্র ২৪ শতাংশ, অর্থাৎ ১১,২৫৪ ভোট।[১৫] নির্বাচনে কনজারভেটিভ প্রার্থী ৫,৩৪৮ ভোট, লিবারাল ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ৩,৮০০ এবং গ্রিন পার্টি প্রার্থী ২,৩০০ ভোট পেয়ে যথাক্রমে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম হন।[]

নির্বাচনের মধ্য দিয়ে লুৎফুর রহমান শুধু টাওয়ার হ্যামলেটসের সরাসরি ভোটের প্রথম মেয়রই নন, তিনি ব্রিটেনের ইতিহাসের প্রথম মুসলিম নির্বাহী মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন।

মেয়র হিসেবে দায়িত্ম গ্রহণ করার পর লুৎফুর রহমান নির্বাচিত দলীয় কাউন্সিলারদের উদ্দেশ্যে তার ক্যাবিনেটে যোগ দেয়ার আহবান জানান। পাঁচজন লেবার দলীয় কাউন্সিলার এই আহবানে সাড়া দিয়ে লুৎফুরের সাথে যোগ দেন।

২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত এক পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, লুৎফুর রহমান স্থানীয় পৌর নেতা হিসেবে তার পূর্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দক্ষভাবে মেয়রের দায়িত্ম পালন করছিলেন, যিনি মূলত তার প্রতি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের আক্রমণ থেকে শক্তি সঞ্চয় করেছেন। অবশ্য তার কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ঐ অঞ্চলটি ‘ইসলামপন্থী’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বলেও বলা হয়। তবে মেয়র হিসেবে লুৎফুর রহমান কনজারভেটিভ সরকারের ব্যয়কর্তন প্রক্রিয়াকে প্রতিহত করার লক্ষ্য নিয়ে স্থানীয় লেবার এমপিদের সাথে একযোগে কাজ করছেন বলেও পর্যবেক্ষণে দেয়া গিয়েছে।[১৬]

বিতর্ক

সম্পাদনা

২০০৯ সালের জুন মাসে লুৎফুর রহমান টাওয়ার হ্যামলেটস লেবারের প্রধান নির্বাহী মার্টিন স্মিথের প্রতি অনাস্থার ঘোষণা দেন। এর ফলে স্থানীয় ভাবে লুৎফুরের নেতৃত্ব কিছুটা সমালোচিত হয়।[১৭]

সাংবাদিক অ্যান্ড্রু জিলিগান চ্যানেল ফোরের ডিসপ্যাচেস নামক অনুষ্ঠানে তার বক্তব্য সহ ডেইলি টেলিগ্রাফে ছাপা হওয়া তার নিবন্ধ ও একাধিকভব্লগে লুৎফুর রহমানকে ‘ইসলামপন্থী’ আখ্যা দেন ও দাবী করেন তিনি ইসলামিক ফোরাম অফ ইউরোপের (আইএফই) সাথে সংযুক্ত।[][১৮] এছাড়াও স্থানীয় লেবার এমপি জেমস ফিটজপ্যাট্রিক দাবী করেন, লেবার প্রশাসনে আইএফই সদস্যদের অন্তর্ভুক্তি ঘটেছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, লুৎফুর কাউন্সিলার থাকাকালীন সময়ে কয়েক মিলিয়ন পাউন্ড সরকারী অর্থ আইএফইর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের পেছনে ব্যয় করা হয়েছে। তিনি বলেন যে একই কার্যক্রমের আওতায় স্থানীয় সরকারি পাঠাগারে ইসলামী উগ্রপন্থী প্রকাশনাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।[১৯]

২০১০-এর অক্টোবরে লুৎফুর রহমান আনুষ্ঠানিক ভাবে এসব দাবী অস্বীকার করেন। তিনি বলেন তিনি আইএফইর সদস্য নন বা এর সাথে কোন ভাবে যুক্ত নন।[১২] এছাড়া পরে আইএফইও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে জানায় যে লুৎফুর রহমান সংগঠনটির সদস্য নয়। লুৎফুর রহমানের সাথে যোগাযোগ প্রসঙ্গে আইএফই জানায়, স্থানীয় অনেক রাজনীতিক ও সমাজকর্মীদের সাথেই তাদের যোগাযোগ রয়েছে। সংগঠনটি প্রকাশ করে, স্থানীয় লেবার নেতা হেলাল উদ্দীন আব্বাস, যিনি লুৎফুর রহমানকে অতীতে ইসলামী মৌলবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন, তার সাথেও একাধিকবার তাদের অন্তরঙ্গ বৈঠক হয়েছে।[২০]

২০১১ সালের শুরুতে লুৎফুর রহমান প্রেস কমপ্লেইন কমিশনের কাছ জিলিগান ও ডেইলি টেলিগ্রাফের নির্দিষ্ট কিছু প্রকাশনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা তাকে ভুল ভাবে ‘ইসলামী উগ্রপন্থী’ ও আইএফইর ঘনিষ্ঠ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। অভিযোগটি প্রেস কমপ্লেইন কমিশন প্রত্যাখ্যান করে বলে, উল্লেখ্য প্রকাশনাগুলোতে কোন ভুল তথ্য ছিল না।[২১]

কনজারভেটিভ দলীয় কাউন্সিলার পিটার গোল্ডস ইলেক্টোরাল কমিশন ও পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন যে লন্ডনের ব্রিক লেনের এক রেস্টোরেন্ট ব্যবসায়ী সিরাজ হক অপ্রদর্শিত ভাবে লুৎফুর রহমানকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে, যার মাধ্যমে লেবার পার্টির বিরুদ্ধে লুৎফুরের আইনি লড়াইকে অর্থায়ন করা হয়েছিল।[১৬][২২] পরে গার্ডিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে লুৎফুর রহমান বলেন, তার যাবতীয় নির্বাচনী ব্যয় ও আইনি লড়াইয়ের খরচের ভার তার নিজস্ব তহবিল ও সলিসিটর হিসেবে তার আয় থেকে বহন করা হয়। এই সাক্ষাৎকারের কিছুদিন পরই প্রেস কমপ্লেইন কমিশন অ্যান্ড্রু জিলিগানের বিরুদ্ধে করা লুৎফুরের দ্বিতীয় একটি অভিযোগকে আমলে গ্রহণ করে।[২১]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Hill, Dave (৮ নভেম্বর ২০১০)। "Britain's first Muslim executive mayor vows to 'reach out to every community'"। দ্যা গার্ডিয়ান। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১০ 
  2. Minutes of the open Trust Board, December 2007 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ মে ২০০৯ তারিখে, বার্টস অ্যান্ড দ্যা লন্ডন এনএইচএস ট্রাস্ট
  3. Gilligan, Andrew (১১ মে ২০১০)। "Islamists are crushed in Tower Hamlets"। ডেইলি টেলিগ্রাফ। ২৫ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১০ 
  4. Hill, Dave (২২ আগস্ট ২০১০)। "Tower Hamlets: Labour selects its mayoral candidate"। দ্যা গার্ডিয়ান। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১০ 
  5. Hill, Dave (২৭ জুলাই ২০১০)। "Tower Hamlets mayoral race: Labour's selection confusion"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-২১ 
  6. Hill, Dave (১২ জুলাই ২০১০)। "Tower Hamlets: Labour's new mayoral shortlist"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-২১ 
  7. Hill, Dave (২৩ আগস্ট ২০১০)। "Tower Hamlets: Lutfur's Rahman removed as Labour mayoral candidate in Tower Hamlets"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  8. "Breaking News - Press Release 21st September 2010"। Labour Briefing। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১০। ২ নভেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১০ 
  9. Eaton, George (২২ অক্টোবর ২০১০)। "A bad night for Labour in Tower Hamlets"। New Statesman। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১০ 
  10. Gilligan, Andrew (২২ সেপ্টেম্বর ২০১০)। "Lutfur Rahman: Galloway jets in"। Daily Telegraph। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-২২ 
  11. "Rahman to stand as independent in Tower Hamlets mayoral race"। East London Advertiser। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  12. Hill, Dave (১২ অক্টোবর ২০১০)। "Tower Hamlets: interview with independent mayoral candidate Lutfur Rahman"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১০-১৭ 
  13. Gilligan, Andrew (১৭ অক্টোবর ২০১০)। "Tower Hamlets extremist vote poses Ed Miliband's first big election test"। Sunday Telegraph। ১৮ অক্টোবর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১০-১৮ 
  14. Ken Livingstone campaigning for non-Labour candidate, BBC, 18 October 2010
  15. Lutfur Rahman wins Tower Hamlets mayoral election, BBC News, 22 October 2010
  16. Hill, Dave (১১ ফেব্রুয়ারি ২০১১)। "Tower Hamlets: Lutfur, Labour and beyond"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ 
  17. Council exec's £500k after ‘falling out with leader’ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৫ নভেম্বর ২০১০ তারিখে, Evening Standard, 22 June 2009. Retrieved 8 October 2010.
  18. "Britain's Islamic Republic"। Channel 4। ১ মার্চ ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১০ 
  19. Gilligan, Andrew (২ মার্চ ২০১০)। "Transcript of Channel 4 interview with Lutfur Rahman"। Daily Telegraph। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-১৫ 
  20. "Islamic Forum of Europe: Response To Statement of Helal Abbas"। Islamic Forum of Europe। ১৫ অক্টোবর ২০১০। ATC479। ২৩ অক্টোবর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১০ 
  21. "Adjudicated - Mr Lutfur Rahman v The Daily Telegraph"। Press Complaints Commission। ২০ ডিসেম্বর ২০১১। ১৪ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১১ 
  22. "Police asked to probe Rahman mayor election expenses"। East London Advertiser। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১০। ১৪ অক্টোবর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১০ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা