লুসিয়াস এপুলিয়াস
লুসিয়াস এপুলিয়াস (আনু. ১২৪ - আনু, ১৭০)[১] রোমান লেখক এবং দার্শনিক। [২] নুমিডিয়ার (বর্তমান আলজেরিয়া) অন্তর্গত মাদাউরাস অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন স্বনামধন্য ম্যাজিস্ট্রেট।
জীবনচরিতসম্পাদনা
কার্থেজের একটি বিখ্যাত বিদ্যালয়ে সাহিত্যের পাঠ শেষ করার পর তিনি এথেন্সে গিয়ে দর্শন শাস্ত্র বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। প্রচুর স্থান ভ্রমণ শেষে ১৫০ সালের দিকে তিনি রোম সফর করেন। ১৫৫ সালের দিকে এক সম্পদশালী মধ্যবয়স্ক মহিলাকে বিয়ে করেন। তার স্ত্রীর আত্মীয়-স্বজন দাবী করতেন যে, এই মহিলার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য লুসিয়াস তার উপর কোন জাদুর প্রভাব খাটিয়েছেন।
সাহিত্যকর্মসম্পাদনা
তার প্রথম বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম অ্যাপোলজিয়া নামে একটি পুস্তক আকারে প্রকাশিত হয়েছিল। বর্তমানেও এই বইটি পাওয়া যায়। এতে তিনি জাদুর প্রভাব খাটানোর ব্যাপারে তাকে অভিযুক্ত করার প্রতিবাদে একটি ভাষ্য যোগ করেন। এরপর তিনি নিজেকে সাহিত্য সৃষ্টি এবং বাগ্মীতা চর্চার কাজে নিয়োজিত করেন। ব্যাপক জনপ্রিয় হন এবং তার বেশ কিছু প্রতিকৃতিও কার্থেজ নগরীতে স্থাপন করা হয়েছিল।
লুসিয়াস এপুলিয়াসের সবচেয়ে বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম হচ্ছে মেটামরফোসিস (রুপান্তর)। এর জনপ্রিয় নাম হচ্ছে The Golden Ass যার বাংলা অনুবাদের নাম দেয়া হয়েছে স্বর্ণগর্দভ। বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত এই বাংলা অনুবাদটি করেছেন আবদুল গণি হাজারী। এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র "লুসিয়াস" জাদুর প্রভাবে গাঁধায় রুপান্তরিত হন। বিভিন্ন অভিযান পরিচালনার পর অবশেষে মিশরীয় দেবী আইসিসের একজন ধর্মপ্রচারকের হাতে গোলাপ খেয়ে তিনি পুনরায় মানুষে রুপ লাভ করেন। এই উপন্যাসের বিশিষ্টতা হচ্ছে, এতে সমকালীন রোমীয় সাহিত্য ও জনজীবনের স্পষ্ট রুপরেখা ফুটে উঠেছে। এপুলিয়াসের লেখা দ্বারা অনেকেই প্রভাবিত হয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন, হেনরি ফিল্ডিং, টোবিয়াস স্মলেট এবং জিওভান্নি বোকাচ্চিও।
লুসিয়াস এপুলিয়াস ঘটনার ও কার্যকারণের বিস্তৃত বর্ণনার প্রাঞ্জল উপস্থাপনার জন্য সুপরিচিত। এছাড়াও তার লেখার মধ্যে রুপকতার আড়ালে চরম বাস্তবতার নিদর্শন পাওয়া যায়।
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "Lucius Apuleius". Encyclopædia Britannica.
- ↑ "Apuleius, Apology"। George Town University।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |