লিলিয়াম নেপালেন্স
লিলিয়াম নেপালেন্স প্রজাতিটি লিলিয়াসিয়াই (লিলি) পরিবারের অন্তর্ভুক্ত একটি এশীয় উদ্ভিদ, যা নেপালের লিলি নামেও পরিচিত।[২] এটি হিমালয় এবং এর নিকটবর্তী অঞ্চল যেমন: উত্তর থাইল্যান্ড, উত্তর মায়ানমার, আসাম, ভুটান, সিকিম, নেপাল, উত্তরাখন্ড, তিব্বত ও ইউনানের আদিম অধিবাসী।[১] সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,২০০ থেকে ৩,০০০ মিটার (৩,৯০০ থেকে ৯,৮০০ ফুট) উঁচু ভেজা বনাঞ্চলের সীমানায় একে বাড়তে দেখা যায়।[৩]
Lily of Nepal | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ/রাজ্য: | উদ্ভিদ (প্লান্টি) |
গোষ্ঠী: | সংবাহী উদ্ভিদ ট্র্যাকিওফাইট |
ক্লেড: | সপুষ্পক উদ্ভিদ (অ্যাঞ্জিওস্পার্মস) |
গোষ্ঠী: | মনোকট্স (Monocots) |
বর্গ: | Liliales |
পরিবার: | Liliaceae |
উপপরিবার: | Lilioideae |
গোত্র: | Lilieae |
গণ: | Lilium D.Don 1820 not Collett & Hemsl. 1890 |
প্রজাতি: | L. nepalense |
দ্বিপদী নাম | |
Lilium nepalense D.Don 1820 not Collett & Hemsl. 1890 | |
প্রতিশব্দ[১] | |
Lilium ochroleucum Wall. ex Baker |
লিলিয়াম নেপালেন্স প্রায় ১ মিটার পর্যন্ত উঁচু হলেও উচ্চতা সচরাচর এর কমই হয়। এর বাল্ব থেকে স্টোলন বের হয় এবং নতুন রোপণ করা বাল্বের ক্ষেত্রে প্রায়শই রোপণের স্থান থেকে কিছুটা দূরে এর শুট বের হয়ে আসে। ফুলের সংখ্যা খুবই অল্প হয়। ফুল প্রায়শই একক, দুলের মতো বা ঝুলানো ও বেগুনি বর্ণের গলাযুক্ত হয়; ফুলের রঙ ফ্যাকাশে সবুজ হয়ে থাকে। ফুলগুলো সাধারণত দিনের আলোতে গন্ধহীন থাকে এবং অন্ধকারে এর প্রচণ্ড সুগন্ধি বের হয়।[৩]
চাষ সম্পাদনা
লিলিয়াম নেপালেন্সের চাষের ক্ষেত্রে শীতল কাচঘর সবচেয়ে উপযুক্ত। হিউমাস সমৃদ্ধ ঈষৎ-অম্লীয় ও ভাল নিষ্কাশন ব্যবস্থাযুক্ত মাটি এই উদ্ভিদের জন্য অধিক পছন্দনীয়। It prefers the bulb to be kept cool while the plant itself can stand full sun. বসন্তে তুষার গলে যাওয়ার কৃত্রিম আবহের মধ্যে এ গাছে ভালভাবে সেচ দেওয়া উচিত। ফুল ফোটার পর গাছটিকে যথাযথভাবে শুষ্ক রাখতে হয়, অন্যথায় এর বাল্বে পচন ধরে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য সম্পাদনা
- Lilium nepalense var. burmanicum-এর বর্তমান নাম Lilium primulinum var. burmanicum
- Lilium nepalense var. ochraceum-এর বর্তমান নাম Lilium primulinum var. ochraceum[১]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
উইকিমিডিয়া কমন্সে Lilium nepalense সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।