লিজ আইশাত আঞ্জোরিন (জন্মনাম এলিজাবেথ আইশাত আঞ্জোরিন, প্রথম নামকে বিকল্পভাবে লিজি হিসেবে লেখা হয়) হলেন একজন নাইজেরীয় অভিনেত্রী[২] যিনি মূলত নাইজেরীয় ইওরোবা চলচ্চিত্র শিল্পে কাজ করেন। ২০১২ সালে তিনি ইয়ং অ্যাচিভার্স পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন,[৩] ২০১৪ সালে তিনি সিটি পিপল এন্টারটেইনমেন্ট অ্যাওয়ার্ডসে ইওরোবা মুভি পার্সোনালিটি অফ দ্য ইয়ারের জন্য সিটি পিপল মুভি অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন,[৪][৫][৬] ২০১৭ সালে তিনি সিটি পিপল এন্টারটেইনমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে বিশেষ স্বীকৃতি পুরস্কার [৭][৮][৯] এবং দ্বিতীয়বারের জন্য ইওরোবা মুভি পার্সোনালিটি অফ দ্য ইয়ার (মহিলা) লাভ করেন[১০][১১]

লিজ আঞ্জোরিন
জন্ম
এলিজাবেথ আঞ্জোরিন

৪ এপ্রিল[১]
জাতীয়তানাইজেরীয়
পেশাঅভিনেত্রী
সন্তান১ জন

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা সম্পাদনা

আঞ্জোরিন নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমের ভৌগোলিক অঞ্চল লাগোস রাজ্যে বাস করতেন। আঞ্জোরিন দ্য পাঞ্চের সাথে একটি সাক্ষাত্কারে জানান যে[১২] অল্প বয়সে তিনি জীবিকা নির্বাহের জন্য নাইজেরিয়ার রাস্তায় মায়ের সাথে[১৩] হকারের কাজ শুরু করেছিলেন। আঞ্জোরিন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পড়াশোনা সম্পন্ন করেন এবং যথাক্রমে তার প্রথম বিদ্যালয় ত্যাগ শংসাপত্র এবং পশ্চিম আফ্রিকার সিনিয়র স্কুল শংসাপত্র অর্জন করেন। আঞ্জোরিন আইন অধ্যয়নের জন্য ওন্ডো রাজ্যের অ্যাডেকুনলে আজাসিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। আঞ্জোরিন তার উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেনি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন নি।

পেশা সম্পাদনা

ইওরোবা চলচ্চিত্রের শিল্পে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশের আগে একটি সাক্ষাত্কারে, আঞ্জোরিন নাইজেরীয় ইওরোবা চলচ্চিত্রের শিল্পে অভিনয়ের প্রতি তার আবেগের কথা জানান; দারিদ্র্যের ভয় মূলত তাকে এই শিল্পে আসতে ধাবিত করেছিল[১৪][১২] অঞ্জোরিন একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক যিনি বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন; ওও নাইরা বেট শিরোনামের[৯][১৫][১৬][১৭] চলচ্চিত্রটি একাধিক ইতিবাচক সমালোচনা পায় যা চলচ্চিত্র প্রযোজক হিসাবে তাকে দৃঢ় অবস্থানে আনে। অঞ্জোরিন অন্যান্য চলচ্চিত্র যেমন ওলানী গবারদা, গোল্ড, আইয়াও আবুকে, কোফো টিনুবু, কোফো দে ফার্স্ট লেডি এবং ওও নায়রা বেট ইত্যাদি প্রযোজনা করেছেন।[১৮]

দ্বন্দ্ব সম্পাদনা

২১শে সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে, একটি পাঞ্চ মুদ্রণ মিডিয়া এর প্রকাশনায় আঞ্জোরিন এবং টয়িন আব্রাহামের মধ্যে বিরোধকে ২০১৯ সালে "নাইজেরীয় ইওরোবা চলচ্চিত্র শিল্পের বৃহত্তম বিরোধ" হিসাবে বর্ণিত করে। আঞ্জোরিন এবং টয়িন আব্রাহামের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সুরাহা করতে আন্টোর লানিয়ান এবং ইয়া রেইনবো-এর মতো ইওরোবা চলচ্চিত্রের অভিজ্ঞদের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়।[১৯][২০][২১]

পুরস্কার সম্পাদনা

বছর ঘটনা পুরস্কার ফলাফল
২০১২ ইয়ং অ্যাচিভার্স পুরস্কার সেরা অভিনেত্রী বিজয়ী
২০১৪ শহর মানুষ বিনোদন পুরস্কার বছরের ইওরোবা চলচ্চিত্রের ব্যক্তিত্ব বিজয়ী
২০১৭ সিটি পিপল মুভি অ্যাওয়ার্ডস বিশেষ স্বীকৃতি পুরস্কার বিজয়ী
বছরের ইওরোবা চলচ্চিত্রের ব্যক্তিত্ব (মহিলা) বিজয়ী

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

আঞ্জোরিন একজন একক মাতা। ২০১৩ সালে তিনি খ্রিস্টান ধর্ম থেকে ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়ে আইশাতত নামটি গ্রহণ করেন।[২২]

নির্বাচিত চলচ্চিত্র সম্পাদনা

  • ডান্স মুভি প্রজেক্ট (২০১৬)
  • ওউওনমি (২০১০)
  • তোলানি গবারদা
  • স্গোল্ড
  • আইয়াও আবুকে
  • কোফো টিনুবু
  • কোফো দে ফার্স্ট লেডি
  • ওও নাইরা বেট
  • আরেভা এজো (২০০৯)
  • আইস ওনিজ (২০০৯)

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "LIZZY ANJORIN CELEBRATES BIRTHDAY WITH SHOPPERS' DISCOUNT"The Nation Newspaper (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৪-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১৯ 
  2. "I never said poor people are terrible - Liz Anjorin"Vanguard News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১১-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১৯ 
  3. "Lizzy Anjorin bags Best Actress award"Vanguard News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-১০-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২০ 
  4. Says, Olawalegoodmus (২০১৪-০৬-২৪)। "Who won what at City People Entertainment Awards 2014"Nigerian Entertainment Today (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১৯ 
  5. "Full List of Winners At The 2014 City People Awards"irokotv blog (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-০৬-২৩। ২০১৯-১২-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১৯ 
  6. Jaguda। "City People Awards 2014! All The Winners From The Star Studded Event | Jaguda.com" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১২-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১৯ 
  7. Emmanuel, Daniji (২০১৭-১০-১৮)। "Full List Of Winners At The 2017 City People Movie Awards"City People Magazine (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২০ 
  8. "Liz Anjorin Dedicates Award To 'Haters'"www.thenigerianvoice.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২০ 
  9. "Lizzy Anjorin: Owo Nairabet'll rank among best Yoruba films ever produced"The Point (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০১-২৮। ২০১৯-১২-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১৯ 
  10. "Liz Anjorin: Actress Wins Award Back To Back"www.pulse.ng। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১৯ 
  11. "Liz Anjorin shines at City People Movie Award"The Point (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-১০-১৬। ২০১৯-১২-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১৯ 
  12. Published। "Fear of going broke drove me into business –Liz Anjorin"Punch Newspapers (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১৯ 
  13. "Liz Anjorin gets chieftaincy for birthday"The Nation Newspaper (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৪-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২০ 
  14. Published। "Where there are women, there will be evil –Liz Anjorin"Punch Newspapers (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১৯ 
  15. "Lizzy Anjorin Makes History with 'Owo Naira Bet'"THISDAYLIVE (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১১-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১৯ 
  16. "Owo Naira Bet Breaks History" [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  17. Published। "VIDEOS: Alaafin of Oyo, Ooni, grace 'Owo Nairabet' premiere"Punch Newspapers (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১৯ 
  18. "Liz Anjorin: 5 things you need to know about the actress"www.pulse.ng। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১৯ 
  19. Published। "Toyin/Liz war: Antar Laniyan, Iya Rainbow, Mr Latin, others intervene"Punch Newspapers (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১৯ 
  20. "Liz Anjorin petitions NDLEA, vows to get justice against Toyin Abraham"Vanguard News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৯-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১৯ 
  21. Published। "Biggest celebrity feuds of 2019"Punch Newspapers (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১৯ 
  22. Published। "Islam has changed the way I dress — Liz Anjorin"Punch Newspapers (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১৯ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা