লাল-সবুজ ম্যাকাও

পাখির প্রজাতি

এক ধরনের ম্যাকাও পাখি। এর রঙ লাল, সবুজ ও আকাশী

লাল-সবুজ ম্যাকাও
আপেনহেউল প্রাইমেট পার্ক নেডারল্যান্ডে
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: Psittaciformes
মহাপরিবার: Psittacoidea
পরিবার: Psittacidae
উপপরিবার: Arinae
গোত্র: Arini
গণ: Ara
প্রজাতি: A. chloropterus
দ্বিপদী নাম
Ara chloropterus
(গ্ৰে, ১৮৫৯)
  Distribution of the green-winged macaw
প্রতিশব্দ[২]

Ara chloroptera

বর্ণনা সম্পাদনা

এটি একটি তোতা জাতীয় পাখি। এটি এক ধরনের ম্যাকাও পাখি। এর গায়ের বর্ণ খুবই সুন্দর। এর গায়ের রঙ এর সাথে বাংলাদেশের পতাকার রঙ এর মিল আছে। এর গায়ের রঙ মুলত লাল। এছাড়াও সবুজ ও নীল (আকাশী) পালকও আছে। এটি লম্বায় ৯০-৯৫ সে.মি. লম্বা ও ওজনে ১.১-১.৮ কেজি পর্যন্ত হয়।

বাসস্থান ও প্রাপ্তিস্থান সম্পাদনা

দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন বনে এদের বাস। মুলত ভেনিজুয়েলা, ব্রাজিল, বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে, পেরু ইত্যাদি দেশে এদের প্রাকৃতিক ভাবে দেখতে পাওয়া যায়। পৃথিবীরর বিভিন্ন দেশের চিড়িয়াখানায় ও সাফারি পার্কেও এদের দেখতে পাওয়া যায়। বাংলাদেশ এ একমাত্র বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক,গাজীপুর এ এদের দেখা মেলে।

খাদ্য সম্পাদনা

এরা সাধারণত তৃণভোজী। ফল ও বাদাম জাতীয় খাবার খায়। এছাড়াও সূর্যমুখী ফুলের বীজ, হেম্প বীজ ইত্যাদি খেয়ে থাকে।

প্রজনন সম্পাদনা

লাল সবুজ ম্যাকাও পাখি তার বিপরীত লিঙ্গীয় সঙ্গীকে নিয়ে সারাজীবন একত্রে থাকে। মৃত গাছে এদের বাসা থাকে। স্ত্রী পাখিটি সচরাচর দুই থেকে তিনটি ডিম পেড়ে থাকে। প্রায় ২৮-৩০ দিন স্ত্রী পাখিটি ডিমে তা দেয়। একটি বাচ্চা প্রভাব বিস্তার করে অধিকাংশ আহার গ্রহণ করে। প্রায় ৯০ দিন পর বাচ্চাগুলো বাসা ত্যাগ করে।

ছবিঘর সম্পাদনা

আরও পড়ুন সম্পাদনা

ব্লু গোল্ড ম্যাকাও

টিয়া

কাকাতুয়া

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. BirdLife International (২০১২)। "Ara chloropterus"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2013.2প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩ 
  2. Red-and- Green Macaw on Avibase