লাইগার
লাইগার পুরুষ সিংহ (লায়ন) এবং স্ত্রী বাঘের (টাইগার) সংকরায়নে উৎপন্ন প্রাণী। লাইগার দেখতে বিশাল আকৃতির সিংহের মতো, যার শরীরে বাঘের গায়ের ডোরাকাটা দাগগুলো হালকাভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে। লাইগার হচ্ছে সবচেয়ে বড় আকারের বিড়াল প্রজাতির প্রাণী। যদিও সাইবেরিয়ান বাঘকে বিশুদ্ধ প্রজাতি হিসেবে সবচেয়ে বড় প্রজাতির বাঘ ধরা হয়। সিংহ সাঁতার কাটতে না জানলেও লাইগার কিন্তু বাঘের মতো সাঁতার কাটতে পারে। [১][২]
লাইগার | |
---|---|
Female (left) and male (right) ligers at Everland amusement park, South Korea | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | Mammalia |
বর্গ: | মাংশাশী |
পরিবার: | Felidae |
গণ: | Panthera |
প্রজাতি: | Panthera leo♂ × Panthera tigris♀ |
খাদ্য
সম্পাদনালাইগার বিশালদেহী প্রাণী। একদিনে ৩০ পাউন্ডের মত কাঁচা মাংস খেতে পারে। একটি বাঘ আর সিংহের ওজনের সমান একটি পূর্ণবয়স্ক লাইগারের ওজন।[৩]
আকার
সম্পাদনাবিড়াল প্রজাতির মধ্যে লাইগারের আকার সবচাইতে দীর্ঘ।পুরুষ লাইগার ৩ থেকে ৩.৬ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। পূর্ণবয়স্ক পুরুষ লাইগার এর ওজন ৩০০-৪৫০ কেজি পর্যন্তও হতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, পুরুষ সিংহের শরীরে এক বিশেষ গ্রোথ প্রোমোটিং জিন থাকে যা বাঘ দের থাকে না, ফলে লাইগার বাড়তেই থাকে।
স্বভাব
সম্পাদনাসাধারণ সিংহ বা সিংহীর চেয়ে লাইগার অনেক বেশি খেলাপ্রিয়। লাইগার সামাজিক প্রাণী। এই গুণটা তারা পুরুষ সিংহের কাছ থেকে পেয়েছে। মানুষের সান্নিধ্য পেতে এবং খেলতে পছন্দ করে।[৪]
সংকর প্রাণী
সম্পাদনাপৃথিবীতে এ মুহূর্তে তিরিশটিরও কম লাইগার আছে। জীববিদ ও অন্য বিজ্ঞানীরা লাইগারকে সংকর প্রজাতিতে আখ্যায়িত করেছেন।[৩]
প্রজনন
সম্পাদনালাইগার হাইব্রিড প্রাণী বিধায় এরা ব্রিড করে না। তবে, পুরুষ লাইগার অনুর্বর হলেও স্ত্রী লাইগার কিন্তু পুরুষ বাঘ বা পুরুষ সিংহের সাথে ব্রিড করতে পারে।
বাঘের সাথে ব্রিডে টিলিগার আর সিংহের সাথে ব্রিডে লিলিগার উৎপন্ন হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ লাইগারের কথা[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], দৈনিক নয়া দিগন্ত। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২৫ নভেম্বর, ২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
- ↑ বিচিত্র সব সংকরায়ন ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে,ফারজানা ঊর্মি, দৈনিক সমকাল। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১৭ মার্চ ২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
- ↑ ক খ তারা হাঁসজারুর জ্ঞাতি ভাই[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ০১-০২-২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
- ↑ ৯০০ পাউন্ড ওজনের লাইগার![স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ০৮-১১-২০১০ খ্রিস্টাব্দ।
- This article incorporates text from messybeast.com, which is released under the GFDL.
আরও পড়ুন
সম্পাদনা- Peters, G. "Comparative Investigation of Vocalisation in Several Felids" published in German in Spixiana-Supplement, 1978; (1): 1–206.
- Courtney, N. The Tiger, Symbol of Freedom. Quartet Books, London, 1980.