র‍্যাম্বো ৩

১৯৮৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আমেরিকান অ্যাকশন চলচ্চিত্র

র‌্যাম্বো ৩, ১৯৮৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি আমেরিকান অ্যাকশন চলচ্চিত্র। এই ছবির কল্পকাহিনী গড়ে উঠেছে আফগানিস্তানে সোভিয়েত যুদ্ধের সময়কার। র‌্যাম্বো সিরিজের এটি তৃতীয় চলচ্চিত্র। আগের দুলি হলো ফার্স্ট ব্লাড (১৯৮২) ও র‍্যাম্বো:ফার্স্ট ব্লাড পার্ট ২ (১৯৮৫)। রিচার্ড ক্রিনা ২০০৩ সালে মারা যাওয়ার পর এ সিরিজের সর্বশেষ চলচ্চিত্র র‍্যাম্বো (২০০৮) মুক্তি পায়।

র‌্যাম্বো ৩
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত পোস্টার
পরিচালকপিটার ম্যাকডোনাল্ড
প্রযোজকবাজ ফিসানস
মারিও কাসার
অ্যান্ড্রো জি. ভাজনা
চিত্রনাট্যকারসিলভেস্টার স্ট্যালোন
শিলদন লেটিস
উৎসডেভিড মোরেল
শ্রেষ্ঠাংশেসিলভেস্টার স্ট্যালোন
রিচার্ড ক্রিনা
মার্ক ডি জঙ্গি
কার্টউড স্মিথ
সেশন গাবাই
স্পাইরোস ফোকাস
সুরকারজেরি গোল্ডস্মিথ
চিত্রগ্রাহকজন স্টেনিয়ার
সম্পাদকও. নিকোলাস ব্রাউন
এন্ড্রো লন্ডন
জেমস আর. সায়মন
এডোয়ার্ড ওয়ার্ড চিকা
প্রযোজনা
কোম্পানি
কারোলকো পিকচার্স
পরিবেশকট্রিস্টার পিকচার্স
মুক্তি২৫ মে, ১৯৮৮
স্থিতিকাল১০১ মিনিট
দেশযুক্তরাষ্ট্র
ভাষাইংরেজি
নির্মাণব্যয়$৬২ মিলিয়ন [১]
আয়$১৮৯,০১৫,৬১১

কাহিনী সম্পাদনা

থাইল্যান্ডের আমেরিকান দূতাবাস থেকে কর্নেল ট্রটম্যান ও রবার্ট গ্রিগস নামে তার একজন সঙ্গী জন র‌্যাম্বোর (সিলভেস্টার স্ট্যালোন) খোঁজে বের হয়। অনেক খোজাঁখোজির পর তারা র‌্যাম্বোকে ব্যাংককের একটি ওয়ারহাউসে বাজিতে মল্লযুদ্ধ করতে দেখে। কিন্তু তারা সেখানে র‌্যাম্বোর সাথে কথা বলতে পারে না। অবশেষে তারা র‌্যাম্বোকে ব্যাংককের বাইরে একটি নির্মানাধীন মন্দিরে কাজ করা আবস্থায় খুঁজে পায়। সেখানে গ্রিগ র‌্যাম্বোকে আফগানিস্তানে ট্রটম্যানের সাথে মিশনে যেতে প্রস্তাব করে। কিন্তু র‌্যাম্বো প্রস্তাবে রাজি না হয়ে সেখানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কর্নেল ট্রটম্যানের নেতৃত্তে কিছু সৈন্য রাতে আফগানিস্তানের পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে আর্মি ট্রাক নিয়ে যাচ্ছে এমন সময় সোভিয়েত বিমান তাদের উপর আক্রমণ চালায় ও ট্রটম্যানকে বন্দি করে।

রবার্ট গ্রিগস র‌্যাম্বোর সাথে দেখা করে ও জানায় তাদের ট্রটম্যানের ব্যাপারে কিছু করার নেই। তখন র‌্যাম্বো ট্রটম্যনকে উদ্ধারের জন্য যেতে আগ্রহ প্রকাশ করে। গ্রিগসের দেয়া তথ্য মতে র‌্যাম্বো আফগানিস্তান সীমান্তে পাকিস্তানের পেশোয়ার শহরে উপস্থিত হয় ও মুসা গনি নামে এক অস্ত্র ব্যবসায়ীর সাথে দেখা করে। মুসা গনি তাকে অস্ত্র সরবরাহ করে ও আফগানিস্তানের সশ্রস্ত্র উপজাতি গোষ্ঠীর কাছে নিয়ে যায়। কারণ তারাই জানে কর্নেল ট্রটম্যানকে কোথায় রাখা হয়েছে। পথিমধ্যে তারা একবার মরু ঝড়ের কবলে পরে। এদিকে বন্দি ট্রটম্যানকে আঞ্চলিক কমান্ডার কর্নেল জাইসনের কাছে হাজির করা হয়। কর্নেল জাইসন তাকে জেরা শুরু করে এবং নির্যাতন করে। কর্নেল জাইসন তার গুপ্তচরের কাছ থেকে খবর পায় ট্রটম্যানকে উদ্ধারের জন্য জন র‌্যাম্বো নামে একজন লোক আফগানিস্তানের উপজাতিয় অঞ্চলে আসছে। র‌্যাম্বো গনিকে নিয়ে উপজাতিয় নেতাদের সাথে আলোচনায় বসে কীভাবে সোভিয়েত ক্যাম্প আক্রমণ করা যায়। র‌্যাম্বো সাথে সাথে আক্রমণ করতে চাইলে মাসোউদ নামে একজন নেতা তাকে ব্যাখ্যা করে কেন তারা র‌্যাম্বোর সাথে আক্রমণে যেতে পারবেনা। এদিকে উপজাতিয়দের সাথে যখন র‌্যাম্বো আফগানিস্তানের জাতীয় খেলা খেলতে ব্যাস্ত এমন সময় সোভিয়েত বিমান বাহিনী ওই এলাকা আক্রমণ করে। অনেকে নিহত ও আহত হয়। র‌্যাম্বো একটি সামরিক হেলিকাপ্টার ধংস্ব করে।

সোভিয়েত আক্রমণের পর উপজাতিরা এলাকা ছেড়ে সীমান্তের দিকে চলে যায়। র‌্যাম্বো ও গনি মিলে সোভিয়েত দুর্গ থেকে ট্রটম্যানকে উদ্ধার করার জন্য যায়। দুর্গের কাটাতারের বেড়া অতিক্রম করার সময় তারা দেখতে পায় ১০ বছরের একটি উপজাতি ছেলেও তাদের পিছু নিয়ে এসেছে যার সাথে তাদের উপজাতি এলাকায় দেখা হয়েছিল। দুর্গে ঢুকে তারা বিভিন্ন জায়গায় গ্রেনেড রেখে দেয় একপর্যায়ে র‌্যাম্বো ও বাচ্চাটি আহত হয়। তারপর বাচ্চাটিকে গনির সাথে দিয়ে তাদের চলে যেতে বলে। র‌্যাম্বো পুনরায় দুর্গে প্রবেশ করে ট্রটম্যানসহ অন্য আফগানিস্তানের বন্দিরে উদ্ধার করে। র‌্যাম্বো ও ট্রটম্যান একটি খোলা মাঠ দিয়ে হাটছিল এমন সময় সোভিয়েত বাহিনী তাদের ঘিরে ফেলে ও তাদের আত্মসর্ম্পন করতে বলে কিন্তু র‌্যাম্বো ও ট্রটম্যান আত্মসর্ম্পন না করে গুলি ছুড়তে থাকে। গুলাগুলির একপর্যায়ে সেখানে উপজাতিয় যোদ্ধারা উপস্থিত হয় এবং সোভিয়েত কমান্ডার কর্নেল জাইসন মারা যায়। কর্নেল ট্রটম্যান ও জন র‌্যাম্বো গাড়ি করে চলে যায়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Spillman, Susan (১৯৮৮-০৬-১৪)। "`Crocodile' rocks the box office"USA Today। ২০১২-১১-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-২৭ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা