রোজা চাসেল
রোজা চাসেল (জন্ম: ৩ জুন, ১৮৯৮ - মৃত্যু: ২৭ জুলাই, ১৯৯৪) ভালাদোলিদ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত প্রমিলা স্পেনীয় লেখক। কখনোবা তাকে বিতর্কিত লেখিকা হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে।
রোজা চাসেল | |
---|---|
জন্ম | রোজা চাসেল ৩ জুন ১৮৯৮ ভালাদোলিদ, স্পেন |
মৃত্যু | ৭ জানুয়ারি ১৯৯৪ | (বয়স ৯৫)
নাগরিকত্ব | ব্রাজিলীয় |
পরিচিতির কারণ | লেখিকা, নারীবাদী |
দাম্পত্য সঙ্গী | তাইমোতিও পেরেজ রুবিও |
সন্তান | কার্লোস |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাএক শিক্ষকের কন্যা ছিলেন তিনি। তার দিদির সাথে বসবাসের জন্য ১৯০৮ সালে মাদ্রিদে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু দূর্বল স্বাস্থ্যের অধিকারীনি হওয়ায় স্ব-গৃহে পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
১৯০৯ সালে তার মা মাদ্রিদের এক স্কুলে অঙ্কনবিদ্যা অধ্যয়নের জন্য ভর্তি করান। অল্প কিছুকাল পরই তার শিক্ষক ফার্নান্দা ফ্রান্সেস নতুন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলে সেখানে চলে যান ও নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে আকৃষ্ট হয়ে। ১৯১৫ সালে বৈশ্বিক ভাস্কর্য শিল্পকলায় আকৃষ্ট হলেও তার আগ্রহ হারিয়ে যায় ও ১৯১৮ সালে বিদ্যালয় পরিত্যাগ করেন।
তারপর চাসেল কাফে গ্রাঞ্জা দেল হেনার ও অ্যাটেনিও দ্য মাদ্রিদে নিয়মিতভাবে গমন করতেন। এ দু'টি স্থান স্পেন ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের লেখকদের কাছে জনপ্রিয় কেন্দ্রস্থলরূপে পরিচিত ছিল। মহিলা ও তাদের সক্ষমতা শীর্ষক সম্মেলন শেষে সেখানে তিনি বিতর্কিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। ঐ যুগে স্পেনে মাচিস্তা দৃষ্টিভঙ্গি প্রাধান্যবিস্তার করছিল ও সম্মেলনে চাসেলের বক্তব্য মাদ্রিদের সমাজের অনেক সদস্যকে নাড়া দেয়।
মহিলাদেরকে আধুনিক সমাজের বসবাসের উপযোগী করতে নতুন পথের সন্ধান পান ও নারীবাদী ধ্যান-ধারণায় সম্মুখ সারিতে চলে যান। ১৯২১ সালে ঐ সময়ের জনপ্রিয় চিত্রকর তাইমোতিও পেরেজ রুবিও'র সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। একাডেমিয়া দ্য ইস্পানা থেকে থেকে পেরেজ রুবিও বৃত্তি লাভ করায় ১৯২২ সালে এ দম্পতি রোমে বসবাস করতে থাকেন। একই বছর চাসেল তার প্রথম নিবন্ধ আল্ট্রা সাময়িকীতে লেখেন। ১৯২৭ সালে তারা স্বপরিবারে মাদ্রিদে ফিরে আসেন।
কর্মজীবন
সম্পাদনা১৯৩০ সালে চাসেল তার প্রথম উপন্যাস ইস্তাসিওন, ইদা ওয়াই ভুল্তা রচনা করেন। ঐ বছরই কার্লোস নামীয় পেরেজ রুবিও-চাসেল দম্পতির সংসারে সন্তান আসে ও চাসেল মাতৃত্বের স্বাদ আস্বাদন করেন। পরবর্তী তিন বছরে নতুন উপন্যাস রচনায় অগ্রসর হন। ১৯৩৩ সালে একাকী ছয় মাসের জন্য বার্লিন চলে যান। মায়ের মৃত্যুশোক ও অন্যান্য সৃষ্টিশীল সঙ্কট কাটিয়ে উঠতেই মূলতঃ তার এ ভ্রমণ। স্পেনের ফিরে আসার অল্পকিছুদিন পরই স্পেনীয় গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। পেরেজ রুবিও রিপাবলিকান আর্মিতে যোগ দেন ও চাসেল অন্যান্য কাজ-কর্মসহ সেবিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পরবর্তী বছরগুলো আত্মীয়দের সান্নিধ্যে অবস্থান করেন। পরিচিত লেখক হলেও ঐ বছরগুলোয় নতুন কোন কাজে হাত দেননি। গাগেনহেইম ফেলোশিপ লাভের পর ১৯৫৯ সালে নিউইয়র্ক শহরে চলে যান ও লেখালেখিতে মনোনিবেশ ঘটান। ১৯৬১ সাল পর্যন্ত নিউইয়র্কে কাজ করেন। নিজদেশে বসবাস উপযোগী সামাজিক রাষ্ট্রে পরিণত হলে তিনি স্পেনে ফিরে যান। সংক্ষিপ্ত সময় স্পেনে অবস্থান করে মে, ১৯৬৩ সালে ব্রাজিলে ফিরে আসেন। ব্রাজিলে তিনি আরও তিন বছর কাটান। ১৯৭৩ সালে দ্বিতীয়বারের মতো নিজ দেশে আসেন।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৫ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১৬।
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- Rosa Chacel: premio nacional de las letras españolas, 1987 (স্পেনীয় ভাষায়)। Anthropos Editorial। ১৯৯০।.
- Jueves (১৯৯৪-০৭-২৮)। "Muere Rosa Chacel, maestra de la aventura íntima"। El País (স্পেনীয় ভাষায়)।.
- Staff Le Monde (১৯৯৪-০৭-২৯)। "Mort de l'écrivain espagnol Rosa Chacel"। Le Monde (ফরাসি ভাষায়)।.
- Kirkup, James (১৯৯৪-০৭-২৯)। "Obituary: Rosa Chacel"। The Independent।.
- Page, Eric (১৯৯৪-০৮-০২)। "Rosa Chacel, 96, A Spanish Novelist Exiled for 36 Years"। The New York Times।.
- Santa, Àngel; Didier, Béatrice; Fouque, Antoinette; Calle-Gruber, Mireille (২০১৩)। "Chacel, Rosa (Valladolid 1898 - Madrid 1994)"। Le dictionnaire universel des créatrices (ফরাসি ভাষায়)। Éditions des femmes। পৃষ্ঠা 818।.