রোং-স্তোন-শেস-ব্যা-কুন-রিগ

রোং-স্তোন-শেস-ব্যা-কুন-রিগ (ওয়াইলি: rong ston shes bya kun rig) (১৩৬৭-১৪৪৯) একজন বিখ্যাত তিব্বতী বৌদ্ধ পণ্ডিত ছিলেন।

রোং-স্তোন-শেস-ব্যা-কুন-রিগ

প্রথম জীবন সম্পাদনা

রোং-স্তোন-শেস-ব্যা-কুন-রিগ ১৩৬৭ খ্রিষ্টাব্দে তিব্বতের আমদো অঞ্চলের র্গ্যাল-মো-রোং (ওয়াইলি: rgyal mo rong) অঞ্চলে একটি বোন ধর্মাবলম্বী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। আঠারো বছর বয়সে তিনি মধ্য তিব্বতের গ্সাং-ফু-নে'উ-থোগ (ওয়াইলি: gsang phu ne'u thog) বৌদ্ধবিহারে রিন-ছেন-র্নাম-র্গ্যাল (ওয়াইলি: rin chen rnam rgyal) নামক বৌদ্ধ ভিক্ষুর নিকট সূত্র ও তন্ত্র সম্বন্ধে এবং অন্যান্য পণ্ডিতদের নিকট মধ্যমক, অভিধর্মকোশ ও বিনয় সম্বন্ধে অধ্যয়ন করেন। কুড়ি বছর বয়সে তার অসাধারণ জ্ঞানের জন্য তিনি স্ম্রা-বা'ই-সেং-গে (ওয়াইলি: smra ba'i seng se) নামে বিখ্যাত হন। তিনি ব্সোদ-নাম্স-ব্জাং-পো (ওয়াইলি: bsod nams bzang po), গ্যাগ-স্তোন-সাংস-র্গ্যাল-দ্পাল (ওয়াইলি: g.yag ston sangs rgyas dpal), সেং-গে-র্গ্যাল-ম্ত্শান (ওয়াইলি: seng ge rgyal mtshan), গ্ঝোন-নু-র্গ্যাল-ম্ত্শান (ওয়াইলি: gzhon nu rgyal mtshan) প্রভৃতি পণ্ডিতদের নিকট শিক্ষালাভ করেন।[১]

পরবর্তী জীবন সম্পাদনা

রোং-স্তোন-শেস-ব্যা-কুন-রিগ মধ্য ও পূর্ব তিব্বতের বিভিন্ন স্থানে যাত্রা করে সূত্র সম্বন্ধে শিক্ষাদান করে বিখ্যাত হন। তার উল্লেখযোগ্য শিষ্য ছিলেন 'গোস-লো-ত্সা-বা-গ্ঝোন-নু-দ্পাল, গো-রাম্স-পা-ব্সোদ-নাম্স-সেং-গে, ষষ্ঠ র্গ্যাল-বা-কার্মা-পা ম্থোং-বা-দোন-ল্দান, মুস-ছেন-সেম্স-দ্পা'-ছেন-পো-দ্কোন-ম্ছোগ-র্গ্যাল-ম্ত্শান প্রভৃতি। তিনি ১৪৩৬ খ্রিষ্টাব্দে লাসা শহরের উত্তরে 'ফান-পো-না-লেন-দ্রা (ওয়াইলি: 'phan po na len dra) নামক বৌদ্ধবিহার স্থাপন করেন।[১]

রচনা সম্পাদনা

তিনি প্রজ্ঞাপারমিতার ওপর শেস-রাব-ক্যি-হা-রোল-তু-ফ্যিন-পা'ই-লাম-ন্যাম্স-সু-লেন-পা'ই-রিম-পা-মুন-সেল-স্গ্রোন-মে (ওয়াইলি: shes rab kyi pha rol tu phyin pa'i lam nyams su len pa'i rim pa mun sel sgron me) নামক টীকাভাষ্য, হরিভদ্র রচিত স্ফূটার্থ নামক গ্রন্থের ওপর টীকাভাষ্য, মধ্যমক দর্শনের ওপর দ্বু-মা-র্ত্সা-বা'ই-র্নাম-ব্শাদ-জাব-মো'ই-দে-খো-না-ন্যিদ-স্নাং-বা (ওয়াইলি: dbu ma rtsa ba'i rnam bshad zab mo'i de kho na nyid snang ba) নামক টীকাভাষ্য রচনা করেন।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Townsend, Dominique (ফেব্রুয়ারি ২০১০)। "Rongton Sheja Kunrik"The Treasury of Lives: Biographies of Himalayan Religious Masters। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-১৮ 

আরো পড়ুন সম্পাদনা

  • Roerich, George, trans. 1976. The Blue Annals. Delhi: Motilal Banarsidas, p. 340.