রেল পরিবহনের ইতিহাস
খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে প্রাচীন গ্রীসে রেল চলাচলের ইতিহাস সূচনা হয়েছিল।
প্রধানত লাইনের উপাদান এবং ব্যবহৃত চাকলশক্তির উপর ভিত্তি করে একাধিক পর্যায়ে এটিকে ভাগ করা যেতে পারে।
প্রাচীন ব্যবস্থা সমূহ
সম্পাদনাপ্রায় ৬০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকে গ্রীসের কোরিন্থের ইসথমাস প্রদেশ জুড়ে ৬ থেকে ৮.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ডিওলকস নামক পাকা ট্রাকের রাস্তা ছিল যেখান দিয়ে নৌকা পরিবহনের প্রমাণ পাওয়া যায়। [১][২][৩][৪][৫] মানুষ অথবা পশু চালিত চাকাওয়ালা যানবাহন চুনাপাথরের খাঁজের উপর দিয়ে চলাচল করত, যা ট্র্যাকের উপাদান সরবরাহ করত ও ওয়াগনটিকে সঠিক পথে নিয়ে যেত। ডিওলকস ৬৫০ বছরেরও অধিক ব্যবহৃত হয়, অন্ততঃ পক্ষে প্রথম শতাব্দী পর্যন্ত।[৫] পরবর্তীকালে রোমান এবং মিশরেও পাকা ট্রাকের রাস্তা তৈরী হয়। [৬][৭]
বাষ্প-পূর্ব কথা
সম্পাদনাকাষ্ঠল রেলের প্রবর্তন
সম্পাদনা১৫১৫ খ্রিস্টাব্দে কার্ডিনাল মাথাউস ল্যাং এর লেখনী থেকে অস্ট্রিয়ার হোহেনসাল্জবুর্গ ফোর্ট্রেসের রেইসজুগ নামক কার্যকরী রেলওয়ের বর্ণনা পাওয়া যায়। প্রাথমিক ভাবে কাষ্ঠল রেল এবং হেম্পের দড়ির সাহায্যে মানুষ অথবা পশু চালিত চাকার দ্বারা লাইনটি ব্যবহৃত হত। [৮] এই লাইনটি এখনও কার্যকরী আছে আধুনিকীকৃতভাবে। [৯] জানা যায় যে ১৫৫০ সাল থেকে কাঠের রেল এবং ঘোড়ায় টানা ট্রাফিক দ্বারা আকরিক -খনি এবং খনি থেকে পরিবহনের সহযার্থে ওয়াগনের রাস্তা (অথবা ট্রামের রাস্তা) ব্যবহৃত হয়। [৯]
ইউরোপে এটি শীঘ্রই জনপ্রিয় হয় এবং ১৫৫৬ সালে গেওর্গিস এগ্রিকোলা (ছবি বামদিকে) তার ডে রে মেটালিকা এর কাজে এটির একটি উদাহরণ ফুটিয়ে তুলেছেন। [১০]
এই লাইনটিতে ''হুন্ড'' গাড়ি ব্যবহৃত হত যা কাঠের প্ল্যাঙ্কের উপর চলমান চাকা এবং ট্রাকের উপর একটি উল্লম্ব পিন দিয়ে চলতো যাতে এটি সঠিক পথে চলতে পারে। খনি শ্রমিকরা ট্র্যাকের ওয়াগনগুলোকে তাদের গোলমাল করা শব্দ থেকে হুন্ডে ("কুকুর") বলে অভিহিত করত। [১১]
ষষ্টদশ শতকে মধ্য ইউরোপে ওয়াগন রাস্তার অনেক তথ্যসূত্র পাওয়া যায়। [১২]
সম্ভাব্য ১৫৬০ সালে জার্মান খনি শ্রমিকদের দ্বারা ইংল্যান্ডের কাম্ব্রিয়ার ক্যাল্ডবেক এ ওয়াগন রাস্তার অনুপ্রবেশ ঘটে। [১৩] ১৬০০ সালের কাছাকাছি সময়ে, সম্ভবতঃ ১৫৯৪ সালের শুরুর দিকে লিভারপুল এর কাছে প্রেসকট এ একটি ওয়াগন রাস্তা গঠিত হয়। ফিলিপ লাইটন এর মালিকানায় প্রেসকট হল এর কাছে একটি গর্ত থেকে আধ মাইল দূরে লাইনটি কাঠকয়লা বহন করে নিয়ে যায়। [১৪]
১৬০৪ সালের কিছু পূর্বে শশ্রপশায়রের ব্রাসিলিতে একটি মজার রেলওয়ে তৈরী হয়। এটি জেমস ক্লিফফোর্ডের খনি থেকে বার্জেকরে কয়লা সেভার্ন নদীর পার্শবর্তী শহরগুলিতে পরিবহন করে নিয়ে যেত। [১৫]
১৬০৪ সালে হুনটিংডন ববেয়াউমন্ট দ্বারা সমাপ্ত ওয়ালটন ওয়াগন রাস্তাটি কখন কখনও প্রাথমিক ব্রিটিশ রেলওয়ে হিসেবে উদ্ধৃত হয়েছে। ১৭৫৮ সালে লীডস এ গঠিত মিডলটন রেলওয়েটি পরে পৃথিবীর সবথেকে পুরানো কার্যকরী(ফিউনিক্যুলার ছাড়া) রেলওয়ে হিসাবে পরিণত হয়, যদিও এখন এটি একটি উন্নীত অবস্থায় আছে। ১৭৬৪ সালে আমেরিকার নিউইয়কের লেওইসস্টোনএ প্রথম রেলওয়ে গঠিত হয়। উপশিরোনাম ২ শেষ করা হল। তথ্য সূত্র সংযোজিত হল। [১৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Verdelis, Nikolaos: "Le diolkos de L'Isthme", Bulletin de Correspondance Hellénique, vol. 81 (1957), pp. 526–529 (526)
- ↑ Cook, R. M.: "Archaic Greek Trade: Three Conjectures 1. The Diolkos", The Journal of Hellenic Studies, vol. 99 (1979), pp. 152–155 (152)
- ↑ Drijvers, J.W.: "Strabo VIII 2,1 (C335): Porthmeia and the Diolkos", Mnemosyne, vol. 45 (1992), pp. 75–76 (75)
- ↑ Raepsaet, G. & Tolley, M.: "Le Diolkos de l’Isthme à Corinthe: son tracé, son fonctionnement", Bulletin de Correspondance Hellénique, vol. 117 (1993), pp. 233–261 (256)
- ↑ Lewis, M. J. T., "Railways in the Greek and Roman world" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ জুলাই ২০১১ তারিখে, in Guy, A. / Rees, J. (eds), Early Railways. A Selection of Papers from the First International Early Railways Conference (2001), pp. 8–19 (11)
- ↑ Fraser 1961, পৃ. 134 & 137
- ↑ Fraser 1961, পৃ. 134f.
- ↑ "Der Reiszug: Part 1 – Presentation"। Funimag। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০০৯।
- ↑ Kriechbaum, Reinhard (১৫ মে ২০০৪)। "Die große Reise auf den Berg"। der Tagespost (German ভাষায়)। ২৮ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০০৯।
- ↑ Georgius Agricola (trans Hoover), De re metallica (1913), p. 156.
- ↑ Lee, Charles E. (১৯৪৩)। The Evolution of Railways। Railway Gazette (2 সংস্করণ)। London। পৃষ্ঠা 16। ওসিএলসি 1591369।
- ↑ Lewis, Early wooden railways, pp. 8–10.
- ↑ Warren Allison, Samuel Murphy and Richard Smith, An Early Railway in the German Mines of Caldbeck in G. Boyes (ed.), Early Railways 4: Papers from the 4th International Early Railways Conference 2008 (Six Martlets, Sudbury, 2010), pp. 52–69.
- ↑ Jones, Mark (২০১২)। Lancashire Railways – The History of Steam। Newbury: Countryside Books। পৃষ্ঠা 5। আইএসবিএন 978-1-84674-298-9।
- ↑ Peter King, The First Shropshire Railways in G. Boyes (ed.), Early Railways 4: Papers from the 4th International Early Railways Conference 2008 (Six Martlets, Sudbury, 2010), pp. 70–84.
- ↑ Porter, Peter (১৯১৪)। Landmarks of the Niagara Frontier। The Author। আইএসবিএন 0-665-78347-7।