রেবা রক্ষিত
রেবা রক্ষিত (১৯৩৩ - ২০১০) ছিলেন প্রথম ভারতীয় মহিলা বডি বিল্ডার এবং একজন পেশাদার শরীরচর্চাবিদ ও দক্ষ যোগ বিশারদ। তিনি কলকাতায় কলেজ অফ ফিজিক্যাল কালচারের বিষ্ণু চরণ ঘোষের শিষ্যা ছিলেন। তার নিজের শরীরের উপর বহুগুণ ভারি ওজন ধরে রাখার ক্ষমতা রাখতেন তিনি। শরীর নিয়ে বিভিন্ন আশ্চর্যজনক কৌশল দেখানোর ক্ষেত্রে তার জুরি মেলা ভার। অনায়াসে তিনি তার শরীরের উপর দিয়ে একটি সম্পূর্ণ বোঝাই করা গাড়ি এবং হাতীকে অতিক্রম করানোর খেলা অনায়াসে দেখাতে পারতেন[১] এবং প্রসঙ্গত উল্লেখ্য তিনিই প্রথম মহিলা যিনি নিজের বুকের উপর একটি হাতীকে উত্তোলন করেছিলেন।[২]
রেবা রক্ষিত | |
---|---|
জন্ম | কুমিল্লা, বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | শরীরচর্চাবিদ |
প্রথম জীবন
সম্পাদনা১৯৩০ দশকের প্রারম্ভে অবিভক্ত বাংলার কুমিল্লার একটি হিন্দু পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বালিকা বয়স থেকেই শরীর চর্চার প্রতি ছিল তার প্রবল আগ্রহ। দেশভাগের পর তার পরিবারের সাথে তিনি কলকাতায় চলে আসেন এবং বিষ্ণু চরণ ঘোষের আখড়ায় যোগ দেন। সেখানে মনতোষ রায় এবং কমল ভাণ্ডারীর মত ব্যক্তিদের সাথে তার অনুশীলন চলতে থাকে। ১৯৫০ সালের শুরুর দিকে তাকে মিস বেঙ্গল ফর বডি বিল্ডিং খেতাব দেওয়া হয়েছিল।
কর্মজীবন
সম্পাদনাপঞ্চাশের দশকের গোড়ার দিক থেকেই রেবা রক্ষিত সার্কাসে খেলা দেখাতে শুরু করেন[৩]। তার প্রদর্শিত বিস্ময়কর কৌশলগুলির মধ্যে অন্যতম হল বুকের উপরে হস্তী উত্তোলন। ১৯৬০ এর মাঝামাঝি পর্যন্ত এই পেশার সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি কমলা সার্কাস, ইন্টারন্যাশনাল সার্কাস, জেমিনি সার্কাসের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। এমনকি [৪] দুর্গা পূজার সময় আঞ্চলিক ক্লাবগুলিতেও তিনি তার কলা কৌশল প্রদর্শন করতেন। শুধু তাই নয়, একজন ভালো স্যুটারও[৫] ছিলেন তিনি। শেষ জীবনে তিনি দেহচর্যা-প্রশিক্ষকরূপে এবং সামাজিক কাজে আত্মনিয়োগ করেন[৪]।
সম্মাননা
সম্পাদনাতার কীর্তির জন্য ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তাকে পদ্মশ্রী খেতাব দেওয়া হয় এবং হায়দ্রাবাদের নবাব তাকে দেবী চৌধুরানী[৪] উপাধিতে ভূষিত করেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ দাস, সৌমিত্র (১৫ মার্চ ২০০৭)। "Girls of the big top"। দ্য টেলিগ্রাফ। কলকাতা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৪।
- ↑ "BODY BUILDING: A THING OF PASSE?"। Kolkata On Wheels। ২৫ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৪।
- ↑ বসু, রিজু (২৫ ডিসেম্বর ২০১২)। "ওডাফা-চিডির বন্ধুরাই এখন সার্কাসের মুশকিল আসান"। আনন্দবাজার পত্রিকা। কলকাতা। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৪।
- ↑ ক খ গ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;abp25102010
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ রুদ্র, আর্য (২৪ অক্টোবর ২০০১)। "No more a traditional celebration"। টাইম্স অফ ইন্ডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]