রিতা মাহাতো হলেন একজন নেপালি নারী-অধিকার কর্মী। তিনি নারী পুনর্বাসন কেন্দ্রের (ডাব্লিউএআরসি) পক্ষে কাজ করেন এবং ২০১৪ সালে পার অ্যাঙ্গার পুরস্কার পেয়েছিলেন।

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

রিতা মাহাতো মাত্র ১৪ বছর বয়সে জোরপূর্বক বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলেন। বিয়ের এক বছর পরেই তার প্রথম সন্তানের জন্ম হয়েছিল এবং তার স্বামীর কাছ থেকে পারিবারিক সহিংসতার স্বীকার হয়েছিলেন।[১]

কর্মজীবন সম্পাদনা

রিতা মাহাতো সিরাহা জেলার নারী পুনর্বাসন কেন্দ্রের (ডাব্লিউওএআরসি বা ওরেক) পক্ষে কাজ করেন। দলটি যৌন সহিংসতায় বেঁচে যাওয়া নারীদের সহায়তা করে থাকে।[২] ২০০৭ সালের জুনে ধর্ষণ থেকে বেঁচে যাওয়া দু'জনকে সমর্থন করার কারণে স্থানীয় সম্প্রদায়ের কিছু লোক তাকে গুরুতর হুমকি দিয়েছিল। তিনি যে অফিসে কাজ করতেন সেখানে তাকে আক্রমণও করা হয়েছিল।[৩] এই ঘটনার পরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফেডারেশন, বিশ্ব নির্যাতন বিরোধী সংস্থা এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাকে সহযোগিতা ও সমর্থন করেছিল।[৪]

যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে সক্রিয়তার জন্য তিনি ২০১৪ সালে পার অ্যাঙ্গার পুরস্কার পেয়েছিলেন। [১][৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Mahato receives 'Per Anger Award' for defending rights of VAW victims"Kathmandu Post (English ভাষায়)। ১৮ নভেম্বর ২০১৪। ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  2. United Nations High Commissioner for Refugees। "Nepal's government fails to protect women human rights activists"Refworld (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  3. "Nepal: Act now for Rita Mahato"www.amnesty.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  4. "Nepal: Threats and acts of harassment against WOREC members / June 11, 2007 / Urgent Interventions / Human rights defenders / OMCT"www.omct.org। ৮ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  5. "2014: Rita Mahato"Forum för levande historia। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০