রিকাস্টিং উওমেন: এসেস ইন কলোনিয়াল হিস্ট্রি

রিকাস্তিং উওমেন: এসেস ইন কলোনিয়াল হিস্ট্রি [১] কুমকুম সানগারী[২] এবং সুদেশ ভেদ [৩] এর লেখা, ১৯৮৯ এ প্রকাশিত বই। এই বইটি প্রকাশ করেছিল দিল্লির যুবান বুক, যা আগে কালি ফর উইমেন বলে পরিচিত ছিল। এই সংগ্রহটি তে পিতৃতন্ত্র,[৪] রাজকীয় অর্থনীতি, আইন, ধর্ম, সংস্কৃতি ইত্যাদির মধ্যে অন্তর্সম্বন্ধ দেখা হয়েছে। এই বইটি ঔপনিবেশিক ভারতের সংস্কার আন্দোলন, লিঙ্গ এবং বর্গের এক অন্য ইতিহাসের কথা বলে। ভারতীয় নারীবাদী আন্দোলনের এক অন্যতম অবদান বলে একে মনে করা হয়।

বইটির সংক্ষিপ্ত ভূমিকা সম্পাদনা

লিঙ্গ ইতিহাস কাকে বলে সম্পাদনা

ইতিহাসকে নারীবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে যখন নতুন করে লেখা হয়, তখন সবার প্রথমে একটি কথা মনে রাখতে হবে যে ইতিহাস লেখা টা কোনো স্বচ্ছ পদ্ধতি নয়। ইতিহাস কে লিখছে, কখন লিখছে, কি উদ্দেশ্য নিয়ে লিখছে, এসবের ওপরে নির্ভর করে কোন ইতিহাস লেখা হয় আর কার ইতিহাস অদৃশ্য থেকে যায়। ঐতিহাসিকের সামাজিক অবস্থান মানে বর্ণ, বর্গ, লিঙ্গ, তাত্ত্বিক অবস্থান (theoretical position), উনি কোন পরিস্থিতিতে ইতিহাস লিখছেন, ইত্যাদি নির্ধারণ করে উনি কোন ঘটনা ইতিহাসে নথিভুক্ত করা জরুরি বলে মনে করেন।

নারীবাদী ইতিহাসবেত্তা জোয়ান ওয়াল্যাচ স্কট বলেন যে নারীর ইতিহাস তিন প্রকারে পড়া যায়:

১. অন্তর্ভুক্তির ইতিহাস- এই ধরনের ইতিহাসে সুযোগ্যা প্রতিভাশালী নারীদের অবদান ইতিহাসে অন্তুর্ভুক্ত করা হয়। সুযোগ পেলে নারী রা পুরুষের থেকে কিছু কম নয়, সেটি এই ইতিহাসের মাধ্যমে নারীবাদী ঐতিহাসিকরা প্রমাণ করেছেন। অন্তুর্ভুক্তির ইতিহাস, ইতিহাসের মধ্যে নারী কে দৃশ্যমান করে তোলে।

২. অবদানের ইতিহাস -অবদানের ইতিহাস বলে যে ইতিহাসে নারী রা শুধু উপস্থিত ছিলেন তা নয়। তাদের কাজের মাধ্যমে তারা ইতিহাসের গতি নির্ধারণ করেছেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নারীর অবদান।

৩. নিপীড়নের অথবা শোষনের ইতিহাস- এই ইতিহাসে বলা হয় যে আদর্শ নারীর মাপকাঠি নারীর নিপীড়নের অন্যতম কারণ। এই সময় ইতিহাসের মধ্যে নারী বিশ্লেষণের এক বিভাগ হিসেবে গণ্য হওয়া শুরু হলো।

বইটির মূল বক্তব্য সম্পাদনা

বই পর্যালোচনা সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা