প্রতীক হলো কোনো মৌলের ইংরেজি বা ল্যাটিন নামের সংক্ষিপ্ত প্রকাশ। প্রকৃতিতে প্রাপ্ত সব মৌলিক পদার্থের প্রতীক এক বা দুই অক্ষরের, তবে মানুষ সৃষ্ঠ কিছু মৌলের প্রতীক তিন অক্ষরের। এগুলোকে বলা হয় কৃত্রিম মৌল।

রাসায়নিক প্রতীক লেখার টীকাযুক্ত উদাহরণ

রাসায়নিক প্রতীকগুলি সাধারণত লাতিন বা গ্রিক শব্দ থেকে তৈরি করা হয়। যেমন সীসার জন্য ব্যবহৃত হয় "Pb" (লাতিন ভাষায় নাম plumbum)। পারদের জন্য ব্যবহৃত হয় "Hg" (গ্রিক hydrargyrum). কিছু প্রতীক অন্যভাষা থেকে এসেছে। যেমন টাংস্টেন-এর প্রতীক "W" (জার্মান Wolfram থেকে)।

প্রতীকের বামে বা ডানে উপরে বা নিচে কিছু সংখ্যা যোগ করে অতিরিক্ত তথ্য দেওয়া যায়।

যেমন প্রতীকের উপরে বামে মৌলের ভরসংখ্যা বা নিউক্লিয়ন সংখ্যা দেখানো হয় (যেমন, 14N)।

প্রতীকের বামে নিচে সংখ্যা দিয়ে পারমাণবিক সংখ্যা বা প্রোটন সংখ্যা বোঝানো হয়। (যেমন 64Gd) বিভিন্ন বর্ণ যেমন "m" এবং "f" দিয়ে আণবিক আইসোমার বোঝানো যায়। (যেমন 99mTc). কোন মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের একটি অণুতে কয়টি পরমাণু আছে তা প্রতীকের ডানে নিচে দেখানো হয় (যেমন N2 বা Fe2O3).

প্রতীক লেখতে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়।

১.মৌলের ইংরেজি নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে প্রতীক লেখতে হয় এবং তা ইংরেজি বর্ণমালার বড় হাতের অক্ষর দিয়ে প্রকাশ করা হয়।

২.দুই বা দুইয়ের অধিক মৌলের ইংরেজি নামের প্রথম অক্ষর একই হয় তবে একটি মৌলকে ইংরেজি নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে প্রকাশ করা হয়। অন্যগুলোর ক্ষেত্রে দুই অক্ষরে লেখা হয় নামের প্রথম অক্ষরটি ইংরেজি বর্ণমালার বড় হাতের অক্ষর এবং নামের অন্য একটি অন্য একটি অক্ষর ছোট হাতের অক্ষর দিয়ে লেখা হয়।

৩.কিছু মৌলের প্রতীক তাঁদের ল্যাটিন নাম থেকে নেওয়া হয়ছে।