রামকৃষ্ণ মঠ (যোগোদ্যান)
যোগোদ্যান হল রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের একটি শাখাকেন্দ্র। এটি উত্তর কলকাতার কাঁকুড়গাছি অঞ্চলে অবস্থিত। বর্তমান যোগোদ্যান মঠটি প্রথমে ছিল রামকৃষ্ণ পরমহংসের গৃহস্থ শিষ্য তথা স্বামী বিবেকানন্দের আত্মীয় রামচন্দ্র দত্তের বাগানবাড়ি। ১৮৮৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর রামকৃষ্ণ পরমহংস এই বাগানবাড়িতে এসেছিলেন। সারদা দেবী, স্বামী বিবেকানন্দ ও রামকৃষ্ণ পরমহংসের অন্যান্য শিষ্যেরাও যোগোদ্যান মঠে একাধিকবার এসেছিলেন।[১]
রামকৃষ্ণ পরমহংস যোগোদ্যানকে ধ্যানের উপযুক্ত জায়গা বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি মঠের তুলসীবনের মাঝের গাছটিকে প্রণাম করেছিলেন এবং রামচন্দ্র দত্তকে মঠের উত্তরপূর্ব কোণে একটি পঞ্চবটী (একত্রে রোপিত ডুমুর, বেল, আমলকি, বট ও অশোক গাছ) স্থাপনের নির্দেশ দেন। বাগানের মধ্যে একটি পুকুরের ধারে রামকৃষ্ণ পরমহংস বিশ্রাম করেছিলেন।[১]
রামকৃষ্ণ পরমহংসের মৃত্যুর পর তার দেহাবশেষের কিছু অংশ যোগোদ্যানের পূর্বোক্ত তুলসীবনে সমাহিত করা হয়। পরে এই স্থানেই তার একটি মন্দির নির্মিত হয়। মন্দিরের সামনের পুকুরটির নাম "রামকৃষ্ণ কুণ্ড" এবং যে ঘরে রামকৃষ্ণ পরমহংস বিশ্রাম নিয়েছিলেন, সেই ঘরটি এখন "বেদীঘর" নামে পরিচিত। যোগোদ্যানে একটি পঞ্চবটীও আছে।উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref>
ট্যাগের ক্ষেত্রে </ref>
ট্যাগ যোগ করা হয়নি
যোগোদ্যানের প্রতিষ্ঠাতা রামচন্দ্র দত্তও এই মঠেই মারা যান। তার দেহাবশেষ রামকৃষ্ণ পরমহংসের দেহাবশেষের পাশেই সমাহিত করা হয়েছিল।[২]