রানি পুতুল, হাওড়া
রানি পুতুল পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার অন্যতম বিখ্যাত পুতুল।[১] বিষ্ণুপুরের পোড়ামাটির বা টেরাকোটার মতো মনে হলেও এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি পুতুল।[১][২]
রানি পুতুল | |
---|---|
উৎপত্তিস্থল | হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত |
উপাদান | পোড়া মাটি |
স্টাইল | রাণী ভিক্টোরিয়া |
ব্যবহার | ঘর সাজানো |

ইতিহাসসম্পাদনা
এই পুতুলের ইতিহাস নিয়ে অনেক মত চালু আছে। কেউ কেউ বলেন এটি কাল্পনিক রানী। আবার অনেকে একে বাস্তবসম্মত একটি রানীর অবয়ব বলে মনে করেন।
এই পুতুলে ব্রিটিশ আমলের ছাপ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এটিকে রাণী ভিক্টোরিয়ার অবয়ব বলে মনে করেন।[৩] দেবীর গোলগাল মুখ সেটাই ইঙ্গিত করে।
পুতুল তৈরির কৌশল ও বর্ণনাসম্পাদনা
প্রথমে দুটি খোলে ছাঁচ করে নেওয়া হয়। এর পর সেই দুটি অংশকে পুড়িয়ে নিয়ে পুতুল তৈরি করা হয়। এই ধরনের পুতুলের পা থাকে না। কোমরের নিচের অংশ ঘাগড়া দিয়ে ঢাকা থাকে। পুতুলের চুল কোঁকড়ানো।[১][২] কখনো কখনো মুকুটও পরানো হয়। সম্পূর্ণ পুতুল তৈরি হওয়ার পর অভ্র মেশানো গোলাপি রঙ করে করা হয়।[১][২]
বর্তমান অবস্থাসম্পাদনা
বিলুপ্তপ্রায় এই শিল্প আজ শিল্পী দিবাকর পালের হাত ধরে বেঁচে আছে। বর্তমানে জগতবল্লভপুরের শিল্পী দিবাকর পাল পরিবার পরম্পরায় আজও বানিয়ে চলেছেন এমন রানি পুতুল।[২]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ গ ঘ বিশ্ব বাংলা। বাংলার পুতুল (পিডিএফ)। বিশ্ব বাংলা।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ গ ঘ "Handcrafted heritage products from Bengal for connoisseurs of the world today.." (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-১৯।
- ↑ তারাপদ সাঁতারা (ডিসেম্বর, ২০০০)। পশ্চিমবঙ্গের লোকশিল্প ও শিল্পী সমাজ। কলকাতা: লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্র। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য)