রাজা রামকৃষ্ণ
মহারাজা রামকৃষ্ণ সান্যাল হলেন সাতৈর বা সান্তোলের রাজা । তিনি বারো ভুঁইয়াদের মধ্যে অন্যতম। তিনি বিদ্যোৎসাহিত ও পুণ্যকীৰ্ত্তির জন্য সুবিখ্যাত ছিলেন। তার রাজ্যের অধিকাংশ এখন ফরিদপুরের অন্তর্গত। সংস্কৃতে ইহাকে সাস্তালি বলা হত। সাস্তালি বৈদিক ব্ৰাহ্মণের একটি প্রধান সমাজ । বাঙ্গালা ভাষায় ইহাকে সাতৈর, সতৈল বা সাতোড় প্রভৃতি নানা নাম দেওয়া আছে। পরে সাতৈরের সে নাম বা রাজপ্রতিপত্তি চলে যায়।[১]
মহারাজা রামকৃষ্ণ সান্যাল | |
---|---|
সাতৈরের রাজা | |
স্ত্রী | |
ধর্ম | হিন্দু |
বংশ সম্পাদনা
সামসউদ্দীন ইলিয়াস যখন বাঙ্গলার সুলতান (১০৩৯-৫৮) ছিলেন তখন তিনি বিশিষ্টভাবে দুইজনের সাহায্য পান। যাদের উভয়ই বারেন্দ্র ব্রাহ্মণ।তারা হলেন শিখাই সান্যাল ও সুবুদ্ধি ভাদুড়ী। উভয়েরই খাঁ উপাধি ও বিস্তীর্ণ জমিদারী হয়েছিল। সুবুদ্ধির বংশধরেরা ভাদুড়ী চক্র বা ভাতুড়িয়া পরগণার জমিদারী পান । এই বংশীয় রাজা গণেশ বঙ্গের স্বাধীন রাজা হয়েছিলেন । শিখাই বা শিখিবাহন সান্যালের পুত্র বলাই সাতোড়ে রাজা হন। টোডরমল্ল এই বংশীয় রাজা রামকৃষ্ণ সান্যালকে সামন্ত নৃপতি বলে স্বীকার করেন এবং তিনি ভাতুড়িয়ার জমিদার হ্রাস করিয়া সাতোড়ের বিস্তৃতি ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধি করে দেন। এইরূপে ভাতুড়িয়ার জমিদারী হ্রাস করা হয়েছিল বলে সেখানকার ভূস্বামী দ্বাদশ ভৌমিকের অন্যতম বলে স্বীকৃত হন না। নতুবা আকবরের পূৰ্বে ভাতুড়িয়ার অধিপতি একজন প্রধান ভৌমিক ছিলেন। [১]
বংশধর সম্পাদনা
তার স্ত্রী ছিল চারজন। তবে অনেক উপপত্নী ও ছিল। তিনি অল্প বয়সে গত হন। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর একটি কন্যা সন্তান হয়।[২] ১৭২০ সালে একুশ বছর বয়সে নিঃসন্তান বিধবা হয়ে তিনি পরবর্তী সাতসট্টি বছর অসাধারণ যোগ্যতাসহ রাজ্য শাসন করেন।মহারাজা রামকৃষ্ণ সান্যালের পত্নী রাণী সর্বাণী দেবীর মৃত্যুর পর এই রাজ্য নাটােরের রামজীবনের সহিত বন্দোবস্ত হয়।[১]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ গ "পাতা:যশোহর-খুল্নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৪ - উইকিসংকলন একটি মুক্ত পাঠাগার"। bn.wikisource.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-০৫।
- ↑ "দৈনিক জনকন্ঠ || নিবন্ধ ॥ রাজরানী"। দৈনিক জনকন্ঠ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২১।