রাজপুণ্যাহ
রাজপুণ্যাহ বাংলাদেশের চাকমা জনগোষ্ঠীর পালিত উৎসব, যা তিন দিন ব্যাপী উদযাপিত হয়। মূলত উৎসবটি বাৎসরিক খাজনা আদায়ের জন্য একটি অনুষ্ঠান।[১]
ইতিহাস
সম্পাদনারাজপুণ্যাহ উৎসব ব্রিটিশ শাসনামলে প্রথম প্রবর্তিত হয়। রাজপুণ্যাহ অনুষ্ঠানে চাকমা রাজার কাছে তার অধীন মৌজাপ্রধান হেডম্যানেরা খাজনা দেন ও আনুগত্য প্রকাশ করেন। পরে রাজা প্রজাদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। এ অনুষ্ঠান ঘিরে পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা সার্কেলের আওতাধীন আদিবাসীরা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় রাজার দর্শনে আসেন।
স্থান
সম্পাদনাউৎসবটি চাকমা রাজার বাসস্থান রাঙামাটি শহরে পালিত হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে আদিবাসীরা উৎসবে যোগ দিতে রাঙামাটিতে আসেন।
উৎসব
সম্পাদনারাজপুণ্যাহ উৎসব শুরু হয় চাকমা রাজা ঐতিহ্যবাহী পোশাকে রাজকুমার ও রাজকুমারীকে সঙ্গে নিয়ে রাজবাড়ি থেকে দরবার হলে উপস্থিত হওয়ার মাধ্যমে। ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠের পর হেডম্যানেরা তলোয়ার প্রদানের মাধ্যমে রাজার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করবেন ও খাজনা দেবেন। এরপর রাজা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা আদিবাসীদের পুরস্কার দেবেন এবং জনগণের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
রাজপুণ্যাহ উৎসবে উবাগীদ, গেংখুলিগীদ (আদিবাসী চারণ কবিদের পালাগান), আদিবাসীদের যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন, নাচ, গান, নাটক মঞ্চায়ন এবং ধনুর্বিদ্যা প্রতিযোগিতাসহ ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা ও পোশাক-পরিচ্ছদ, শিকার সরঞ্জাম, আসবাব প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়ে থাকে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "বিডিনিউজ24"। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]