রহস্যপত্রিকা
রহস্যপত্রিকা বাংলাদেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয় মাসিক পত্রিকা।[১][২][৩] ১৯৭০ সালে রহস্য পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়।[৪] প্রথম দফায় চারটি সংখ্যা প্রকাশ হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৮৪ সালে সেবা প্রকাশনী থেকে এই পত্রিকা কাজী আনোয়ার হোসেন[৫] এর সম্পাদনায় এটি নিয়মিত প্রকাশিত হওয়া শুরু করে। এটি একটি রহস্য ও অ্যাডভেঞ্চারধর্মী মাসিক সাহিত্য পত্রিকা।[৬] এ পত্রিকায় পাঠকদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন প্রকারের সাহিত্যকর্মও স্থান পায়। শেখ আবদুল হাকিম, রকিব হাসান প্রমুখ এই পত্রিকায় নিয়মিত লিখেছেন।[৭][৮] শিল্পী হাশেম খান ছিলেন পত্রিকার প্রথম শিল্প সম্পাদক।[৯]
সম্পাদক | কাজী আনোয়ার হোসেন |
---|---|
বিভাগ | রহস্য ও অ্যাডভেঞ্চারধর্মী |
প্রকাশনা সময়-দূরত্ব | মাসিক |
প্রকাশক | সেবা প্রকাশনী |
প্রথম প্রকাশ | ১৯৭০ |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৬৯-৭০ সালের দিকে সাংবাদিক রাহাত খানের অনুপ্রেরণায় রহস্যপত্রিকা প্রকাশ করার চিন্তা করা হয়। এর প্রেক্ষিতে প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৯৭০ সালের নভেম্বর মাসে। তবে চারটি সংখ্যা বের হওয়ার পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ায় পত্রিকাটির প্রকাশনা স্থগিত রাখা হয়। স্বাধীনতার পর বিভিন্ন কারণে পত্রিকাটি প্রকাশ শুরু করা সম্ভব হয়নি, তবে ১৯৮৪ সালে রহস্যপত্রিকা আবার প্রকাশিত হয় যা আজ অবধি চলমান আছে।[৯][১০]
বিবরণ
সম্পাদনারহস্যপত্রিকা সবসময় পেপারব্যাক কাগজে সাদা-কালোতে ছাপা হয়। প্রচ্ছদের জন্য রঙিন ছাপা ব্যবহৃত হয়। পত্রিকার বিভিন্ন নিয়মিত বিভাগ রয়েছে। এছাড়া লেখা প্রাপ্তিসাপেক্ষে বিভিন্ন অনিয়মিত বিভাগও চালু করা হয়। খোলা চিঠি, ফিচার, আপনার স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান বার্তা, বুদ্ধির ব্যায়াম, ঘর-সংসার, হরর গল্প, রহস্য গল্প, ভৌতিক গল্প, অণু গল্প ইত্যাদি।[১১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Sheba and those Early Reading Years"। দ্য ডেইলি স্টার। মার্চ ২০, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ২৮, ২০১৩।
- ↑ "কাজীদা এবং সেবা প্রকাশনী"। dw.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১৩।
- ↑ "সেবা প্রকাশনী: ৫৭ বছর ধরে থ্রিলারপ্রেমীদের প্রথম পছন্দ"। ঢাকা ট্রিবিউন। ২০২০-০২-২৬। ২০২০-০৬-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১৩।
- ↑ "বাংলা সাহিত্যের পরাক্রমশালী লেখক কাজী আনোয়ার হোসেন"। চ্যানেল আই। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "কাজীদা রহস্য"। archive.prothom-alo.com। ১৩ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২০।
- ↑ "পাঠকের লেখক প্রকাশক সম্পাদক"। সমকাল। ১৩ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২০।
- ↑ কিবরিয়া, আসজাদুল (১৯ জুন ২০২০)। "রানা! সাবধান!!"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ মুহতাসিম, নাবিল (২৮ আগস্ট ২০২১)। "বিদায়, শেআহা"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ "জনসম্মুখে মুখ দেখিয়ে পরিচিতি বৃদ্ধির তাগিদ বোধ করিনা"। আনন্দ আলো। ২০১৯-০৬-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-২৪।
- ↑ জন, ডিউক (১৯ মে ২০২১)। "সব কাজের কাজীদা"। কিশোর আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ খান, শায়ের (১১ মে ২০১৮)। "'মাসুদ রানা' ও 'কুয়াশা' নিয়ে ছবি হয়েছিল"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]