রতনলাল ব্রহ্মচারী
রতনলাল ব্রহ্মচারী ([Ratana lāla brahmacārī]) একজন প্রথিতযশা বায়ো কেমিস্ট ও ভারতে টাইগার ফেরোমন নিয়ে গবেষণার করার পথিকৃৎ।[৫][৬] তিনি ফেরোমন নিয়ে গবেষণার জন্য বিখ্যাত হলেও তার শিক্ষাজীবন পদার্থবিদ্যার মহাকাশ বিজ্ঞান শাখার মধ্যে দিয়ে ত্বরান্বিত হয়েছিল। তিনি সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নির্দেশনায় মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে টাইগার ফেরোমেনের উপর বাঘেদের স্বভাব বৈশিষ্ট্যের উপর গবেষণা করেছেন। এছাড়া আরো নানা ধরনের জীবের উপরেও তিনি গবেষণা করেছেন, শুধু তাই নয় তিনি গবেষণার জন্য আফ্রিকায় চোদ্দ বছর কাটিয়েছেন।[১] ছাড়াও তিনি আমাজন অঞ্চলের গঠন বৈচিত্র নিয়ে গবেষণা করেছেন, ইন্দোনেশিয়ায় প্রথিতযশা পতঙ্গ বিজ্ঞানী গোপাল চন্দ্র ভট্টাচার্যের সাথে গবেষণাও করেছেন।[৭]
বাংলা:রতনলাল ব্রহ্মচারী | |
---|---|
রতন লাল ব্রহ্মচারী | |
জন্ম | ১৯৩২ |
মৃত্যু | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, (৮৬) |
মৃত্যুর কারণ | নিউমোনিয়া |
সমাধি | আর.জি.কর হাসপাতাল, কলকাতায় দেহদান করেছেন[১] for mediacal research |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় (১৯৩৩-১৯৪৭) ভারতীয় (১৯৪৭-২০১৮) |
শিক্ষা | তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যা (মহাকাশ বিদ্যা), সত্যেন্দ্রনাথ বসুর ছাত্র (কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়) |
মাতৃশিক্ষায়তন | কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসক্যাল ইনস্টিটিউটএর প্রফেসর[২] |
কর্মজীবন | ১৯৫৭- ২০১৮ |
নিয়োগকারী | Professor of Biology Dept. of Indian Statistical Institute[২] |
প্রতিষ্ঠান | Born Free Foundation (Founder patron[৩]) |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | টাইগার ফেরোমেনের উপর গবেষণা অন্যান্য কাজ
|
দাম্পত্য সঙ্গী | Bachelor |
পুরস্কার | রবীন্দ্র পুরস্কার |
সম্মাননা | D.Sc. from University of Calcutta in 2008[৪] |
তিনি ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিং হোম কিছুদিন নিউমোনিয়া রোগ ভোগের পরে মারা যায়।[৩] তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণার জন্য মরণোত্তর দেহ দান করেছিলেন তাই তার মৃত্যুর পর আর.জি. কর হাসপাতালে দেহ দান করা হয়।[১]
প্রথম জীবন
সম্পাদনারতনলাল ব্রহ্মচারী ১৯৩২ সালে অবিভক্ত বাংলার ঢাকা জেলায় বাঙালি হিন্দু পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার প্রাথমিক শিক্ষা কলকাতা ঢাকা এবং হাম্বারগ শহরে করেন।[৭] তিনি ছিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী। ভারতের তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যার বিখ্যাত বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর ছাত্র ছিলেন। যদিও ৯৬০ সালে তিনি জীববিদ্যায় উৎসাহী হন, এবং মলিকুলার এমব্রায়োলজি বিষয়ে মৌলিক গবেষণা করেছেন। জীবদেহে ফেরোমেনের ভূমিকা নিয়ে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট পড়াশোনা করেন।[২]
প্রায় এক দশক Relativistic ফিল্ড থিওরিতে কাজ করার পরে তিনি ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট ১৯৫৭ সালে প্রফেসর হিসেবে যোগ দেন এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের গবেষণা করেন। ভারত ছাড়াও তিনি ইতালি ফ্রান্স এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বৃহত্তর ভাবে গবেষণা করেছেন।[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "Obituary: Professor Ratan Lal Brahmachary"। www.indiawilds.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-১২।
- ↑ ক খ গ "Indian Statistical Institute - Ratan Lal Brahmachary"। Indian Statistical Institute। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৮।
- ↑ ক খ "Professor Ratan Lal Brahmachary"। Born Free Foundation (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০২-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-১২।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;:CU Hony. Degree
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Poddar-Sarkar, Mousumi; Brahmachary, Ratan Lal (২০১৪)। Mucignat-Caretta, Carla, সম্পাদক। Neurobiology of Chemical Communication। Frontiers in Neuroscience। Boca Raton (FL): CRC Press/Taylor & Francis। আইএসবিএন 9781466553415। পিএমআইডি 24830027।
- ↑ "Indira Gandhi hated zoos and loved animals: Jairam Ramesh chronicles her green mission"। CatchNews.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-১২।
- ↑ ক খ গ "Pioneer of pheromone studies Ratan Lal Brahmachary no more - Nature India"। ডিওআই:10.1038/nindia.2018.18 (নিষ্ক্রিয় ২০২০-০৯-১০)।