রণশিঙ্গা
রণশিঙ্গা হল তামা বা তামা মিশ্র দ্বারা তৈরি প্রাচীন শিঙ্গার এক প্রকার। এটি ভারত এবং নেপাল উভয় অঞ্চলেই ব্যবহৃত হয়। যন্ত্রটি দুটি বক্র ধাতব অংশ দিয়ে তৈরি, যাদের একত্রে যোগ দিয়ে একটি "এস" আকার তৈরি করে।[১] এটি অর্ধচন্দ্রাকারেও পুনরায় সাজানো যেতে পারে।[২]

এটি একটি বক্র-নল যন্ত্রের গোষ্ঠীর অংশ, যার মধ্যে রণশিঙ্গা, নরশিঙ্গা এবং শৃঙ্গ অন্তর্ভুক্ত। এটি লাওয়া এবং তিব্বতীয় ডুংচেনের সাথেও সম্পর্কিত হতে পারে, দুটিই সরল নলাকার তামা নির্মিত শিঙ্গা।
বিকল্প নাম সম্পাদনা
এই বাদ্যযন্ত্রের নাম বিভিন্নভাবে বানান করা হয়েছে নরশিঙ্গা, রামশিঙ্গা, শৃঙ্গ।
সংস্কৃত শব্দ শৃঙ্গ থেকে শিঙ্গা এসেছে এবং এটি উত্তর ভারত ও নেপালে ব্যবহৃত হয়। এটির আধুনিক রূপগুলি হল "সিগ", "সিগা", এবং "সিংগা"। শব্দটি ঐতিহাসিকভাবে বিভিন্ন আকার এবং প্রকারের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল, সেগুলি হল সোজা শিঙ্গা এবং জলের মহিষের শিং দিয়ে তৈরি শিঙ্গা সহ ষাঁড়ের শিং দিয়ে তৈরি মুখনলগুলি।[৩]
রামশিঙ্গা সম্পাদনা
রামশিঙ্গা উচ্চারণটি ভারতের জন্যই নির্দিষ্ট। এটিতে খুব পাতলা ধাতুর চারটি নল ব্যবহার করা হয় যেগুলি একটি অপরটির মধ্যে আটকায়। এটি উল্লেখ এমিলিও সালগারির লেখায় পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি লেখা হল দ্য মিস্ট্রি অফ ব্ল্যাক জাঙ্গল (১৮৯৫)। যেখানে এটি ঠগিদের ধর্মানুষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত।
ফৌকল্ট'স পেন্ডুলাম এর (১৯৮৮) ৬২ অধ্যায়ে একজন ড্রুইড সম্প্রদায়ের কোনও ভক্তের দ্বারা বাজানো রামশিঙ্গার উল্লেখ আছে।
নরশিঙ্গা সম্পাদনা
নেপালের দামাই বর্ণের সংগীতজ্ঞরা ঐতিহাসিকভাবে দামাই বাজা গোষ্ঠীগুলিতে 'সি' আকারের শিঙ্গা বাজিয়েছিলেন। নেপাল, হিমাচল প্রদেশ এবং দক্ষিণ বিহারে এই রূপটি ব্যবহৃত হয়।[৪]
-
নেপালে সি-আকৃতির নরশিঙ্গা, পঞ্চে বাজা যন্ত্রের একটি অংশ।
-
নেপালে বিয়ের আসরে নরশিঙ্গা বাজানো হচ্ছে।
-
নেপাল বিয়ের আসরে নরশিঙ্গা।
-
ভারতে, ফ্লেমিশ শিল্পী ফ্রান্সস বালথাজার সলভ্যেন্স এর "লেস হিন্ডোস" (দ্বিতীয় খণ্ড) বইয়ে যেমন চিত্রিত হয়েছে, তেমন 'রামশিঙ্গা'।
আরো দেখুন সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ Manorma Sharma (১ জানুয়ারি ১৯৯৮)। Tribal melodies of Himachal Pradesh: Lahaul Valley। APH Publishing। পৃষ্ঠা 64–। আইএসবিএন 978-81-7024-942-9। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১২।
- ↑ Nikolova, Ivanka; Davey, Laura; Dean, Geoffrey, সম্পাদকগণ (২০০০)। The Illustrated Encyclopedia of Musical Instruments। Cologne: Könemann Verlagsgesellschaft mbH। পৃষ্ঠা 94।
- ↑ Alastair Dick (১৯৮৪)। "Śrnga"। Sadie, Stanley। The New Grove Dictionary of Musical Instruments। পৃষ্ঠা 442। Volume 3।
- ↑ Carol M Babiracki; Mireille Helffer (১৯৮৪)। "Narsīga"। Sadie, Stanley। The New Grove Dictionary of Musical Instruments। পৃষ্ঠা 749। Volume 2।