যোগাযোগ সৌজন্যবিধি (কম্পিউটার)

টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় একটি যোগাযোগ সৌজন্যবিধি (ইংরেজি: communication protocol) এমন কিছু নিয়মের সমষ্টিকে বোঝায়, যা কোন যোগাযোগ ব্যবস্থাতে অংশগ্রহণকারী দুই বা তার বেশি স্বত্তাকে তথ্য প্রেরণ ও প্রাপ্তিতে সহায়তা করে।

যোগাযোগ প্রোটোকল স্থাপত্য

যোগাযোগ সৌজন্যবিধির ক্ষেত্রে ৫টি জিনিস সবচেয়ে বেশি জরুরি। এগুলি হল

প্রেরকঃ যোগাযোগ করার জন্য প্রেরক এবং প্রাপক খুবই গুরুত্বপূর্ণ । প্রেরক বলতে বোঝায় আমার নিজের অবস্থান । আমি যদি কারও সাথে যোগাযোগ করতে চাই, তাহলে আমি হব তার প্রেরক ।

প্রাপকঃ যোগাযোগ করার জন্য প্রাপক হল দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ । আমি যার সাথে যোগাযোগ করতে চাচ্ছি সে হল আমার প্রাপক । যোগাযোগ মূলত প্রেরক এবং প্রাপক এর মদ্ধেই হয়ে থাকে।

সময়ঃ যোগাযোগ এর ক্ষেত্রে সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । ধরা যাক, আমি যুবরাজ, আমি আমার বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করতে চাচ্ছি এবং তার কাছে একটি তথ্য পাঠাতে চাচ্ছি । আমার প্রেরক এবং প্রাপক সব ঠিক আছে । কিন্তু আমার তথ্যটি তার কাছে ১ বছর পর গিয়ে পৌছাল । তাহলে কি ঘটতে পারে । তার মানে বোঝানো হচ্ছে যোগাযোগ এর ক্ষেত্রে সময় অনেক মূল্যবান । আমি আমার প্রাপক এর কাছে যখন আমার বার্তা পাঠাতে চাচ্ছি সেটা ঠিক তখনি পৌছাতে হবে ।

বিলিঃ বিলি বলতে বোঝায় কোনও কিছু নির্দিষ্ট ঠিকানা অনুযায়ী ডেলিভারি দেওয়া। ধরা যাক, আমার যোগাযোগ করার জন্য প্রেরক, প্রাপক এবং সময় সবই ঠিক আছে । কিন্তু যেটা আমার যে ঠিকানাতে যাওয়ার কথা ছিল সে ঠিকানা তে না গিয়ে অন্য কোনও ঠিকানায় চলে গিয়েছে । তাহলে আমার যোগাযোগ ঠিক মত হল না ।

৫ .নির্ভুলতা : যোগাযোগ এর ক্ষেত্রে সঠিকটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ । ধরা যাক, উপরের সব কিছু আমার ঠিক আছে । কিন্তু মাঝে তৃতীয় পক্ষ থেকে কেও একজন আমার বার্তা কিছুটা বদলে দিল । তাহলেও আমার উদ্দেশ্য হাসিল হল না । তার মানে এটা বোঝানো হচ্ছে আমি আমার প্রাপককে যে বার্তা পাঠাতে চাচ্ছি তার কাছে ঠিক সেই বার্তাই পৌছাতে হবে ।

যোগাযোগ সৌজন্যবিধির ক্ষেত্রে এই ৫টি জিনিসই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা