যজমানি প্রথা হলো আধুনিক বাজার অর্থনীতি পূর্ববর্তী সময়ে প্রচলিত স্বনির্ভর গ্রামীণ অর্থনীতি ব্যবস্থার একটি প্রথা।[১] সেসময় গ্রামীণ সমাজের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় বিষয় নিয়ন্ত্রিত হতো বর্ণাশ্রম এবং প্রচলিত প্রথাতে। এটি এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে গ্রামবাসীরা তাদের পণ্য ও সেবা পরস্পর বিনিময় করত।[২]

ব্যুত্পত্তি সম্পাদনা

যজমানী একটি বৈদিক শব্দ, যার অর্থ পৃষ্ঠপােষকতা করা। প্রাক-বৃটিশ স্বনির্ভর গ্রামীণ বাজারবিহীন ও মুদ্রাবিহীন পরিস্থিতিতে দুটি পরিবারের দাতা ও গ্রহীতার সম্পর্ককে ভিত্তি করে পেশাভিত্তিক জাতিগুলির যে বংশ পর্যায়ক্রমিক বিনিময় প্রথা গড়ে উঠেছিল, তাকেই আপাত অর্থে যজমানী প্রথা বলে গণ্য করা হয়; যেখানে সেবা গ্রহীতা “যজমান” এবং সেবা দানকারী “কামিন” হিসাবে পরিচিত।[২] অর্থ্যাত্, সেবা দেয়ার বিপরীতে দ্রব্যের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করার যে ব্যবস্থা, তা-ই হলো 'যজমানি প্রথা'।[৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "যজমানি প্রথা - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-২৩ 
  2. "একক হিসাবে ভারতীয় গ্রাম" (পিডিএফ)krishnathcollege.ac.in। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-২৩ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "তারা ঢাকার নরসুন্দর!"tbsnews.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-২৩ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা