ম্যাগডালেনা স্টফেলস হত্যাকাণ্ড

ম্যাগডালেনা স্টফেলস হত্যাকাণ্ড ২৭শে জুলাই, ২০১০ তারিখে নামিবিয়ার উইন্ডহোকে ঘটেছিল।[১]

ম্যাগডালেনা স্টফেলস

হত্যাকাণ্ড সম্পাদনা

১৭ বছর বয়সী বিদ্যালয়ের ছাত্রী স্টফেলসের দেহ পাওয়া গিয়েছিল দয়িদ বেজুইডেনহাউট উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে নদীর তীরেধর্ষন এবং হত্যা করে তাকে ফেলে রাখা হয়েছিল। পরে সেই একই দিন, একজন পুলিশ অফিসার দেখতে পেলেন, জুনিয়াস ফিলিপাস (৩২) নামে এক ব্যক্তি একই নদীর তীরে কাপড় ধুচ্ছে। স্টফেলসের মৃতদেহ যেখান থেকে পাওয়া গিয়েছিল সেখান থেকে এর দূরত্ব ছিল প্রায় ৩০০ থেকে ৫০০ মিটার। পুলিশ অফিসারটির মনে হয়েছিল তার হাঁটু ও পিঠে আঁচড়ের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে এবং জামাকাপড়ের উপর রক্তের দাগ আছে, এর পর ওই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ অফিসার ফিলিপাসকে গ্রেফতার করেন।[২]

পরবর্তী প্রতিক্রিয়া সম্পাদনা

দ্য নামিবিয়ান এই অপরাধকে "২০১০ সালে নামিবিয়ায় দাখিল হওয়া নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা" হিসাবে বর্ণনা করেছিল।[৩] উইন্ডহোক অবজারভার উল্লেখ করেছিল যে "ফিলিপাসের গ্রেপ্তার লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে জনসাধারণের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।"[৪] ১০ টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সহ প্রায় ৩০০০ মানুষ স্টফেলসের স্কুল থেকে কাটুতুরায় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পর্যন্ত মিছিল করে গিয়েছিল। তারা স্টফেলসের ধর্ষণ ও তাঁর হত্যার প্রতিবাদ করে ডেপুটি প্রসিকিউটর জেনারেল জনি ট্রুটার এর কাছে একটি দরখাস্ত জমা দিয়েছিল, যেখানে নামিবিয়ান শিশুদের উপর সহিংস অপরাধের উচ্চ হারের উল্লেখ করা ছিল।[৫] দ্য সাউদার্ন টাইমস প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেছিল যে স্টফেলস হত্যাকাণ্ড "নামিবিয়ায় মৃত্যুদণ্ড পুনর্বহাল করার বিষয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছে"।[৬]

ফরেনসিক প্রমাণের মূল্যায়ন প্রায় এক বছর স্থায়ী হয়েছিল। ফলাফলের ভিত্তিতে ফিলিপাসকে অপরাধের সাথে যুক্ত করা যায়নি এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছিল। ২০১১ সালের মে মাসে সে হেফাজত থেকে মুক্তি পায়।[৭]

ফিলিপাস ২০১৩ সালে নামিবীয় পুলিশের বিরুদ্ধে তাকে বেআইনি গ্রেফতার, বেআইনি আটক এবং তার প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ অভিযোগ দায়েরের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। ২০১৬ সালে এই ধরনের দাবির ক্ষেত্রে এক বছরের সংবিধানের সীমাবদ্ধতার কারণে উইন্ডহোক আদালত প্রথম দুটি অভিযোগকে খারিজ করে দিয়েছিল। তৃতীয় দাবির শুনানি আদালতে এখনো হয়নি।[৮] এদিকে, তদন্তকারীরা আশঙ্কা করছেন যে মামলাটি অমীমাংসিত মামলার পর্যায়ে চলে গেছে।[৯]

২০১৩ সালে উইন্ডহোকের খোমাসডাল শহরতলির একটি পায়ে চলা সেতুর নামকরণ করা হয় ম্যাগডালেনা স্টফেলসের নামে। সেতুটি দয়িদ বেজুইডেনহাউট উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছাকাছি অবস্থিত যেখানে স্টফেলস একজন শিক্ষার্থী ছিলেন এবং এটি আরেববুশ নদীর উপর দিয়ে গেছে যেখানে খুনের ঘটনা ঘটেছিল। আশা করা হচ্ছে ভবিষ্যতে সেতুটির কারণে আশেপাশের ঝোপঝাড়ে অপরাধ হওয়া কমবে।[১০]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Menges, Werner (অক্টোবর ১, ২০১০)। "Sex attack angers Okahandja residents"The Namibian। মে ২৭, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৮, ২০১১ 
  2. Menges, Werner (২৮ জানুয়ারি ২০১১)। "Question mark over murder evidence"The Namibian। ২৭ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০১১ 
  3. "Pohamba deplores violence against women in 2010"The Namibian। জানুয়ারি ৪, ২০১১। 
  4. "Murder suspect's bail application postponed"Windhoek Observer। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৭, ২০১১ 
  5. Smith, Jana-Mari (আগস্ট ২, ২০১০)। "Thousands march for Magdalena"The Namibian। via allafrica.com। 
  6. Tjatindi, Charles (আগস্ট ৬, ২০১০)। "Forget about death penalty in Namibia"The Southern Times। ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১ 
  7. Menges, Werner (২২ আগস্ট ২০১৬)। "Claim over Stoffels murder arrest fails"The Namibian 
  8. Menges, Werner (২২ আগস্ট ২০১৬)। "Claim over Stoffels murder arrest fails"The Namibian 
  9. Smith, Jana-Mari (২৬ মে ২০১১)। "Hunt for Stoffels killer still on"The Namibian 
  10. "Magdalena Stoffels bridge nearly ready"Namibian Sun। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। ১৪ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১