মোহাম্মদ হামদান দাগালো

সুদানী সামরিক কর্মকর্তা

মোহাম্মদ হামদান দাগালো (আরবি: محمد حمدان دقلو, জন্ম ১৯৭৪/১৯৭৫ (৪৯–৫০ বছর)), (ডাকনাম:হেমেত্তি (আরবি: حميدتي, হেমেদতি,হেমেতি বা হেমিত্ত) দারফুরের আওলাদ মনসুর উপ-গোষ্ঠীর মেহরিয়া উপজাতির একজন সুদানী জেনারেল। দাগালো এর আগে ২০১৯ সালের সুদানী অভ্যুত্থানের পরে ট্রানজিশনাল মিলিটারি কাউন্সিলের (টিএমসি) ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২১ আগস্ট ২০১৯-এ, টিএমসি বেসামরিক-সামরিক ট্রানজিশনাল সার্বভৌমত্ব কাউন্সিলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে, যার একজন সদস্য হলেন জেনারেল হামদান।

মোহাম্মদ হামদান দাগালো
محمد حمدان دقلو
২০২২ সালে হামদান দাগালো
ক্রান্তিকালীন সার্বভৌমত্ব পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
১১ নভেম্বর ২০২১
চেয়ারম্যানআবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান
কাজের মেয়াদ
২১ আগষ্ট ২০১৯ – ২৫ অক্টোবর ২০২১
চেয়ারম্যানআবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান
ক্রান্তিকালীন সামরিক পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান
কাজের মেয়াদ
১৩ এপ্রিল ২০১৯ – ২০ আগষ্ট ২০১৯
চেয়ারম্যানআবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান
পূর্বসূরীকামাল আবদেল-মারউফ আল-মাহদি
উত্তরসূরীপদ বিলুপ্ত
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৯৭৩ (বয়স ৫০–৫১)[১] অথবা ১৯৭৪ বা ১৯৭৫[২]
দারফুর,গণতান্ত্রিক সুদান প্রজাতন্ত্র
সামরিক পরিষেবা
ডাকনামহেমেদতি (আরবি: حميدتي)
আনুগত্য সুদান
শাখা সুদানের দ্রুত সহায়তা বাহিনী
পদ জেনারেল
কমান্ডদ্রুত সহায়তা বাহিনীর প্রধান
যুদ্ধদারফুরে যুদ্ধ
২০১৯-এ সুদানের অভ্যুত্থান
২০২৩ সুদান সংঘাত

দাগালো আফ্রিকান ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের কাছে ২৩ নভেম্বর ২০০৪ আডওয়া গণহত্যা এবং দক্ষিণ দারফুরে ধর্ষণের জন্য তিনি দায়ী বলে জানিয়েছেন। ২০১৩ সাল থেকে দাগালো দ্রুত সহায়তা বাহিনীর) কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অধ্যাপক এরিক রিভসের মতে,আরএসএফ সুদানে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী ছিল। আরএসএফ ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে দারফুরে বেসামরিক নাগরিকদের পরিকল্পিত হত্যা এবং ধর্ষণের সাথে জড়িত বলে দাবি করা হয়েছে। আল জাজিরা এবং দ্য ডেইলি বিস্টের মতে ৩ জুন ২০১৯-এ খার্তুম গণহত্যায় আরএসএফ প্রধান দায়িত্ব পালন করে যার নেতৃত্ব দেন দাগালো। হেমেটি ২০১৭ সালে স্বর্ণ খনির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে আরএসএফকে ব্যবহার করেছিলেন।

২০১৯ সাল পর্যন্ত, তিনি তার কোম্পানি আল-জুনাইদের মাধ্যমে সুদানের অন্যতম ধনী ব্যক্তি ছিলেন। আল-জুনাইদ খনি, পরিবহন, গাড়ি ভাড়া, লোহা এবং ইস্পাত ইত্যাদির ব্যবসা করত।

জুলাই ২০১৯ এর গোড়ার দিকে, দ্য ইকোনমিস্ট দাগালোকে সুদানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করেছিল। [৩] ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে, তিনি পোর্ট সুদানে সশস্ত্র সংঘাতের সময় বিবাদমান গোষ্ঠীগুলির মধ্যে একটি শান্তি চুক্তির আলোচনায় সহায়তা করেছিলেন।

দাগালো ২০২১ সালের সুদান অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিল, কিন্তু তারপর থেকে নিজেকে এটি থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছেন। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি এটিকে একটি "ভুল" বলে অভিহিত করেছিলেন। এই মন্তব্য তার এবং সেনা নেতা আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিবাদের অংশ। [৪] [৫] ২০২৩ সালের এপ্রিলে, দাগালো আল-বুরহান সরকারের বিরুদ্ধে আরএসএফকে সংগঠিত করেন। যার ফলে একটি সামরিক সংঘাত সৃষ্টি হয়। রাজধানী খার্তুমসহ সুদানের বেশ কিছু অঞ্চলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। আরএসএফ বিভিন্ন সরকারী গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলি দখল করার দাবি করে। এ ঘটনায় ১৬ মে ২০২৩ পর্যন্ত কমপক্ষে ১,০০০ জন নিহত, [৬][৭] কমপক্ষে ৫,১০০ জন আহত [৮] এবং বহু মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। [৯]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Remote-control breakdown – Sudanese paramilitary forces and pro-government militias" (পিডিএফ)Small Arms Survey Sudan। ২০১৭-০৪-১৯। ২০২১-০৩-২৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-১৩ 
  2. Hendawi, Hamza (২০১৯-০৪-২৯)। "Out of the Darfur desert: the rise of Sudanese general Mohammed Hamdan Dagalo"The National (Abu Dhabi)। ২০১৯-০৬-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-৩০ 
  3. "Protesters are back on the streets in Sudan"The Economist। ৬ জুলাই ২০১৯। 
  4. Olewe, Dickens (২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩)। "Mohamed 'Hemeti' Dagalo: Top Sudan military figure says coup was a mistake"BBC News। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২৩ 
  5. Nashed, Mat (২১ মার্চ ২০২৩)। "As Sudan's rival forces vie for power, who pays the price?"Al Jazeera। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২৩ 
  6. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; 24th নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  7. "Photos: Sudanese capital devastated by a month of brutal fighting"। Aljazeera। ১৬ মে ২০২৩। 
  8. "No sign Sudan warring parties ready to 'seriously negotiate': UN"ABC। ৯ মে ২০২৩। ৯ মে ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২৩ 
  9. Nashed, Mat। "Stay or flee: Residents in Sudan face a difficult decision"www.aljazeera.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-২৫