মোঙ্গার জেলা
মোঙ্গার জেলা ভুটানের ২০টি জেলার একটি, যা পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। এটি পূর্ব ভুটানের সবচেয়ে দ্রুত উন্নয়নশীল জেলা। একটি আঞ্চলিক হাসপাতাল তৈরি করাসহ অঞ্চলটি অনেক অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ নিয়ে নড়েচড়ে বসে। মোঙ্গার তার লেবু ঘাসের জন্য বিখ্যাত, একটি ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ, যা প্রয়োজনীয় তেল উৎপাদন করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া কুড়ি ছু নদীতে একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে।
মোঙ্গার জেলা མོང་སྒར་རྫོང་ཁག | |
---|---|
জেলা | |
ভুটানে মোঙ্গার জেলা | |
দেশ | ভুটান |
সদরদপ্তর | মোঙ্গার |
আয়তন | |
• মোট | ২,৮৫৯ বর্গকিমি (১,১০৪ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ১,৬০০ মিটার (৫,২০০ ফুট) |
জনসংখ্যা (2017) | |
• মোট | ৩৭,১৫০ |
• জনঘনত্ব | ১৩/বর্গকিমি (৩৪/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | BTT (ইউটিসি+6) |
HDI (2017) | 0.619[১] medium · 6th |
ওয়েবসাইট | www |
ভূগোল
সম্পাদনামোঙ্গার জেলার পশ্চিমাংশ (সেলিং ও তসামং গিয়োগ) থ্রুশিংলা জাতীয় উদ্যানের অংশ এবং জেলার উত্তরপূর্বাংশ (সারমুং গিয়োগ) বুমডেলিং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের অংশ।
মোঙ্গার জেলার উপত্যকা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে কুড়ি ছু নদী। কুড়ি ছু নদী পূর্ব ভুটানের একটি প্রধান নদী, যা মানস নদী ব্যবস্থার একটি শাখা নদী ও ভুটানের বৃহত্তম নদী এবং ব্রহ্মপুত্র নদীর একটি প্রধান শাখা যা পূর্ব অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশকে স্রোত প্রবাহিত করে।
প্রশাসনিক বিন্যাস
সম্পাদনামোঙ্গার জেলা ১৭টি গিয়োগে বিভক্ত[২];
- বালাম গিয়োগ
- চাশখর গিয়োগ
- ছালি গিয়োগ
- ড্রামেৎসে
- দ্রেপুং গিয়োগ
- গংদুয়ে গিয়োগ
- জুরমে গিয়োগ
- কেংগখার গিয়োগ
- মোঙ্গার গিয়োগ
- নারাং গিয়োগ
- নগাৎশাং গিয়োগ
- সালেং গিয়োগ
- শেরিমুং গিয়োগ
- সিলাম্বি গিয়োগ
- থ্যাংগ্রং গিয়োগ
- তসাকালিং গিয়োগ
- তসামাং গিয়োগ
জনসংখ্যা
সম্পাদনা২০০৫ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জেলার জনসংখ্যা ছিল ৩৭,০৬৯ জন এবং ২০১৭ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩৭,১৫০ জন।[৩] জেলায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ০.২% এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১৩ জন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Sub-national HDI - Area Database - Global Data Lab"। hdi.globaldatalab.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-১৩।
- ↑ "Chiwogs in Mongar" (পিডিএফ)। Election Commission, Government of Bhutan। ২০১১। ২০১১-১০-০২ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৭-২৮।
- ↑ "Population and Housing Census of 2017 (National Report)" (পিডিএফ)। National Statistics Bureau। ২০১৮-০৬-২৬। পৃষ্ঠা 102। ২০১৯-০২-২৮ তারিখে মূল (pdf) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-৩১।