মোঃ তৌহিদ হোসেন
মোঃ তৌহিদ হোসেন (জন্ম: ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৫) বাংলাদেশের একজন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব।[১][২] তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার।[৩][৪]
মোঃ তৌহিদ হোসেন | |
---|---|
জন্ম | ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৫ |
মাতৃশিক্ষায়তন | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
জীবনের প্রথমার্ধ সম্পাদনা
হোসেন ১৯৫৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারী জন্মগ্রহন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।[৫]
কর্মজীবন সম্পাদনা
হোসেন ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসে যোগদান করেন [৫]
১৯৯৯ সালের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি ২০০০ পর্যন্ত, হোসেন ফরেন সার্ভিস একাডেমির প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৬]
হোসেন ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার ছিলেন তিনি ৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক শিলং বাণিজ্য মেলায় যোগ দিয়েছিলেন এবং উত্তর পূর্ব ভারতে অবৈধ অভিবাসীদের ভারতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।[৭] তিনি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের উন্নয়নের অভাবের জন্য ভারতের সদিচ্ছার অভাবকে দায়ী করেন।[৮]
১৭ ডিসেম্বর ২০০৬ থেকে ৮ জুলাই ২০০৯ পর্যন্ত, হোসেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব ছিলেন।[৯][১০] ২০০৭ সালের ২৯ থেকে ৩০ আগস্ট পাকিস্তানে তিনি একটি প্রতিনিধিদলের সভায় যোগদান করেন, তার বিপরীতে পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন রিয়াজ মোহাম্মদ খান।[১১]
জুলাই ২০০৯ থেকে জুলাই ২০১২ পর্যন্ত, হোসেন ফরেন সার্ভিস একাডেমির প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১২] জুন ২০১২ সালে, হোসেন দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার নিযুক্ত হন।[১৩] তিনি আইনশৃঙ্খলার অভাবকে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন।[১৪] ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে, দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ডাকাতি হয় এবং ২০১৩ সালের মার্চে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে ডাকাতি হয় এবং হোসেনের স্ত্রীকে অস্ত্রের মুখে আটকে রাখা হয়।[১৫]
হোসেন ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস ইন্টারন্যাশনাল মডেল ইউনাইটেড নেশনস-এর প্রধান অতিথি ছিলেন।[১৬]
২০২১ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স আয়োজিত বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি বিষয়ক সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন হোসেন।[১৭] ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে, ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট দ্বারা আয়োজিত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের জন্য বিভ্রান্তি এবং প্রতিবেদনের একটি সেমিনারে হোসেন একজন অতিথি ছিলেন।[১৮]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ Hossain, Md Touhid (২০২০-১২-২৪)। "The Politics of Losing Home"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০৮।
- ↑ "This passport will allow visiting Israel "in person without any trouble""। The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৫-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০৮।
- ↑ "Bangladesh High Commission in Pretoria, South africa"। www.consul.info। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০৮।
- ↑ "Delegation to visit South Africa to explore job market"। Dhaka Tribune। ২০১৩-০৯-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০৮।
- ↑ ক খ Correspondent, Diplomatic (২০১২-০৭-০৯)। "Two new envoys appointed"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০৮।
- ↑ "Roll of Honour"। FSA (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০১-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০৮।
- ↑ Borderlines (ইংরেজি ভাষায়)। Binalakshmi Nepram। ২০০৪। পৃষ্ঠা 71।
- ↑ Selections from Regional Press (ইংরেজি ভাষায়)। Institute of Regional Studies। ২০০৩। পৃষ্ঠা 66।
- ↑ "Ministry of Foreign Affairs"। mofa.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Bose, Pratim Ranjan (৭ এপ্রিল ২০১৬)। "A visa system that casts a shadow on India's image in Bangla"। @businessline (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০৮।
- ↑ Foreign Affairs Pakistan (ইংরেজি ভাষায়)। Pakistan, Ministry of Foreign Affairs। ২০০৭। পৃষ্ঠা 206।
- ↑ "Ministry of Foreign Affairs"। mofa.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Karim, Rezaul (২০১২-০৬-৩০)। "Major changes in foreign office"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০৮।
- ↑ "Two Bangladeshis killed in South Africa"। Dhaka Tribune। ২০১৩-১০-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০৮।
- ↑ Staff Correspondent; bdnews24.com। "Bangladesh envoy to South Africa robbed"। bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০৮।
- ↑ "Bangladesh University of Professionals (BUP)"। bup.edu.bd। ২০২২-০১-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০৮।
- ↑ "Event Report" (পিডিএফ)। Bangladesh Institute of Law and International Affairs। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০২২।
- ↑ "USAID Workshop Trains Reporters on Countering Misinformation"। U.S. Embassy in Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৯-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০৮।