মেরি কার্পেন্টার
মেরি কার্পেন্টার (৩ এপ্রিল, ১৮০৭ - ১৪ জুন, ১৮৭৭) একজন ভারতপ্রেমিক মহিলা শিক্ষাব্রতী ও সমাজসংস্কারক। স্ত্রী শিক্ষার উন্নতিকল্পে ও কারাসংস্কার আন্দোলনে তিনি অগ্রণী ছিলেন।
মেরি কার্পেন্টার | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | এক্সিটার, ইংল্যান্ড | ৩ এপ্রিল ১৮০৭
মৃত্যু | ১৪ জুন ১৮৭৭ | (বয়স ৭০)
সমাধি | ব্রিস্টল |
কর্মজীবন | ১৮৩৫-১৮৭৭ |
পরিচিতির কারণ | শিক্ষাব্রতী, সমাজকর্ম |
পিতা-মাতা | ল্যান্ট কার্পেন্টার, আনা পেন |
প্রারম্ভিক জীবনসম্পাদনা
মেরি কার্পেন্টার ইংল্যান্ডের এক্সিটারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ল্যান্ট কার্পেন্টার। তিনি একেশ্বরবাদী যাজক ছিলেন। পিতার কাছে মেরি মানবসেবার আদর্শে দীক্ষা নেন। ইংল্যান্ডে নিরাশ্রয় শিশু ও অপরাধপ্রবণ শিশুদের সংশোধনের উদ্দেশ্যে একাধিক বিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন। ব্রিস্টল ওয়ার্কিং এন্ড ভিসিটিং সোসাইটি'র সম্পাদক ছিলেন ২০ বছরের অধিক সময়।[১][২]
অবদানসম্পাদনা
১৮৩৩ খ্রিষ্টাব্দে পিতৃবন্ধু রামমোহন রায়ের সাথে পরিচয় হলে স্ব-ইচ্ছায় তিনি ভারতে আসেন। ভারতের সংস্কৃতি ও সমাজ সম্পর্কে তার বিশেষ শ্রদ্ধা ছিল। ভারতে স্ত্রী শিক্ষার উন্নতিতে তার অবদান আছে। মোট চারবার তিনি ভারতে আসেন। সমাজসেবী শ্রীমতি রাজকুমারী বন্দ্যোপাধ্যায় তার প্রেরণায় নারীশিক্ষার কাজে যোগ দেন। ব্রাহ্মসমাজের অপর নেতা কেশবচন্দ্র সেনের সাথে তার যোগাযোগ হয়। মহিলা বিদ্যালয়, অপরাধপ্রবণতা সংশোধনের বিদ্যালয় ইত্যাদি স্থাপনা, কারাগার পরিদর্শনমূলক কাজে অগ্রণী ছিলেন তিনি। ১৯৬৭ সালে তার চেষ্টায় 'বেঙ্গল সোসাল সায়েন্স এসোসিয়েশন' তৈরী হয়। ব্রিস্টলে 'ন্যাশনাল ইনডিয়ান এসোসিয়েশন' (১৮৭০) প্রতিষ্টাতেও তার অবদান ছিল। ইংরেজ রাজপুরুষ ও বিশিষ্ট ভারতীয়দের সাথে তার পরিচয় হয়। বিদ্যালয় নির্মাণ ও কারাসংস্কারের সাথে যুক্ত হয়ে সারা ভারত পরিদর্শন করেন তিনি।[২][৩]
রচনাসম্পাদনা
- লাস্ট ডেইজ ইংল্যান্ড অফ দি রাজা রামমোহন রায়
- সিক্স মান্থস ইন ইন্ডিয়া
- আওয়ার কনভিক্টস
- মেমোয়ার অফ জোসেফ টুকারম্যান
- মর্নিং এন্ড ইভনিং মেডিটেশনস
মৃত্যুসম্পাদনা
ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল শহরে ১৪ জুন ১৮৭৭ সালে তিনি মারা যান।[২]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ Fawcett, Millicent Garrett (১৮৮৬)। Some Eminent Women of Our Times : Short Biographical Sketches.। London: Macmillan। পৃষ্ঠা ১২।
- ↑ ক খ গ প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৪২৫।
- ↑ "Juvenile Delinquents: Their Condition and Treatment' by Mary Carpenter"। thetcj.org। ১ নভেম্বর ২০০৮। ২১ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১৭।