মেধা সম্পদ

আইনি ধারণা; মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক সৃষ্টিকর্ম সংক্রান্ত বিশেষ অধিকারগুলির সমষ্টি

মেধা সম্পদ, মেধা সম্পত্তি বা বৌদ্ধিক সম্পত্তি (ইংরেজি: intellectual property সংক্ষেপে IP) বলতে এক বিশেষ শ্রেণীর সম্পত্তিকে বোঝায় যা মূলত মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক সৃষ্টি। এগুলি মূলত অদৃশ্য ও ধরা-ছোয়াঁ যায় না। এগুলিকে সুরক্ষার জন্য মেধাস্বত্ব (গ্রন্থস্বত্ব), কৃতিস্বত্ব এবং ট্রেডমার্ক আইন প্রয়োগ করা হতে পারে।[] এছাড়া ব্যবসায়িক গোপনীয় বিষয়, বিজ্ঞাপনের অধিকার, নৈতিক অধিকার, অন্যায্য প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে অধিকার, ইত্যাদিও মেধা সম্পদের আলোচনায় পড়ে। শৈল্পিক সৃষ্টিকর্ম যেমন সঙ্গীত, সাহিত্য, আবিষ্কার, উদ্ভাবন, শব্দ, শব্দগুচ্ছ, প্রতীক, নকশা -- এ সবই মেধা সম্পদ হিসেবে সুরক্ষিত হতে পারে।[][] কেবল ১৯শ শতকে এসেই "মেধা সম্পদ" ধারণাটি প্রচলিত হওয়া শুরু করে। ২০শ শতকের শেষে এসে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে এটি আইনগতভাবে স্বীকৃত হয়।[]

ট্রেডমার্ক আইনের মতো বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি আইন এই "ম্যাকডোনাল্ডস" [সিক] এবং "নাইকি" [sic] স্যান্ডেলের মতো লঙ্ঘনকারী পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Ann Marie Sullivan, Cultural Heritage & New Media: A Future for the Past, 15 J. MARSHALL REV. INTELL. PROP. L. 604 (2016) https://repository.jmls.edu/cgi/viewcontent.cgi?article=1392&context=ripl
  2. "What are intellectual property rights?"World Trade Organization। World Trade Organization। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৫-২৩ 
  3. "Intellectual property", Black's Law Dictionary, 10th ed. (2014).
  4. "property as a common descriptor of the field probably traces to the foundation of the World Intellectual Property Organization (WIPO) by the United Nations." in Mark A. Lemley, Property, Intellectual Property, and Free Riding ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে, Texas Law Review, 2005, Vol. 83:1031, page 1033, footnote 4.