মুহাম্মাদের লাতিন জীবনী

মধ্যযুগীয় ঐতিহাসিকরা লাতিন ভাষায় বিভিন্ন জীবনী লিখেছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে মুহম্মদের জীবনী। এই জীবনীগুলি ৯ম থেকে ১৩শ শতাব্দীর মধ্যে লেখা হয়েছিল।

মূল বিবরণ

সম্পাদনা

প্রথমদিকের ল্যাটিন ভাষায় লেখা মুহাম্মদের জীবনী ৯ম শতাব্দীর মাঝামাঝির আগে স্পেনে বিকশিত হয়েছিল। এসব জীবনীগুলোর প্রচার ও প্রভাব খুবই সীমিত ছিল।[] অন্যান্য সকল ল্যাটিন জীবনী মূলত থিওফেনস দ্য কনফেসরের (মৃত্যু ৮১৮ খ্রিস্টাব্দ) রচিত ক্রনোগ্রাফিয়া গ্রন্থ থেকে উদ্ভূত, যা ৯ম শতাব্দীতে অ্যানাস্টাসিয়াস বিবলিওথেকেরিয়াস ল্যাটিনে অনুবাদ করেন। এই গ্রন্থে মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনী সংক্রান্ত একটি অধ্যায় ছিল।[]

১১শ থেকে ১২শ শতাব্দীতে ল্যাটিনে রচিত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন বর্ণনা যদিও 'বিপরীত-জীবনী'র ধারায় লেখা যেখানে তাকে একজন ধর্মবিরোধী হিসেবে চিত্রিত করা হয়, তবু ১৩শ শতাব্দীতে এই ধারাটি চতুর চরিত্রধারার ক্ষুদ্র উপন্যাসের আকার নেয়, যেখানে মুহাম্মদ (সা.)-কে একজন ধুরন্ধর ব্যক্তিত্ব হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।

মাইনৎসের এমব্রিকো কর্তৃক রচিত ভিটা মাহুমেতি এই ধারার প্রথমদিকের উদাহরণ। ছড়া কাটার ছন্দে লিখিত, লেওনাইন ষটপদী পঙক্তিতে রচিত এই গ্রন্থটি হিল্ডেবের্ট অফ লে ম্যান্সের মতো সমসাময়িক কবিদের জীবনগ্রন্থের অনুকরণে রচিত। সম্ভাব্যভাবে, এটি ১০৭২ থেকে ১০৯০ সালের মধ্যে রচিত হয়েছিল। এটি থিওফেনসের ক্রনোগ্রাফিয়া ধারায় লেখা, যার মধ্যে রয়েছে মুহাম্মদ (সা.) এর মৃগী রোগ এবং মৃত্যুর পর শূকরের দ্বারা তার দেহ খাওয়ার বিবরণ।[]

দ্বাদশ শতাব্দীর রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়াল্টার অফ কম্পিইন কর্তৃক 'ওশিয়া মাহোমেতি' (প্রায় ১১৫৫ খ্রি.)  এবং অ্যাডেলফাসের 'ভিটা মাহোমেতি'। ওশিয়া গ্রন্থকে ভিক্তি করেই ১৩শ শতাব্দীতে পুরাতন ফরাসী ভাষায় রচিত হয় চাতুর্যপূর্ণ উপন্যাসের ধারার রচনাগুলোর অন্যতম 'রোমান্স অফ মুহাম্মদ' (১২৫৮ খ্রি.)।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Yolles and Weiss (2018), viii–xi
  2. Francesco Vincenzo Stella, "Le versificazioni latine della vita di Maometto. Dall'antiagiografia al romanzo picaresco" in: Studio sulle vite metriche in latino di Maometto, sulle loro fonti e sulla loro fortuna romanza (2008), p. 120.
  3. Nicholas Morton, Encountering Islam on the First Crusade, Cambridge University Press (2016), p. 213.
  4. Ed. B. Bischoff, "Ein Leben Mohammads (Adelphus?) (Zwölftes Jahrhundert)", Anecdota Novissima, 1984.