মুহাম্মদ ইবনে মুহাম্মদ তাবরিজি

আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনে আবি বকর ইবনে মুহাম্মদ তাবরিজি ছিলেন ত্রয়োদশ শতাব্দীর একজন ফার্সি মুসলিম লেখক। তিনি ইহুদি দার্শনিক মাইমোনাইডসের গাইড ফর দ্য প্যারাপ্লেক্সড সিরিজের দ্বিতীয় বইয়ের শুরুতে পঁচিশটি প্রস্তাবনার আরবি ভাষ্যে প্রদানের জন্য বিখ্যাত। মাইমোনাইডস এর উপর ভিত্তি করে স্রষ্টার অস্তিত্ব, একত্ববাদ এবং নিরাকারতার প্রমাণ দেন। বইটিতে মাইমোনাইডস দার্শনিক অ্যারিস্টটলের পদার্থবিদ্যা এবং অধিবিদ্যা থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবনাগুলির শুধুমাত্র সারাংশ প্রকাশ করেন। বইটিতে তাবরিজি আরবি লেখকদের কাজের উপর ভিত্তি করে প্রস্তাবনাগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। একে গাইডের একটি অংশের প্রাচীনতম পরিচিত ব্যাখ্যা হিসেবে অভিহিত করা হয়।

পরবর্তীতে তাবরিজির বইটি কর্ডোবার আইজ্যাক বেন নাথান হিব্রু ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন। এই অনুবাদটি মাইমোনাইডের নীতিগুলির জন্য প্রস্তাবিত বিভিন্ন মতবাদের অক্ষমতার পুঙ্খানুপুঙ্খ সমালোচনার পূর্বে অর অ্যাডোনাই- তে হাসদাই ক্রেসকাসের পর্যালোচনার মূল ভিত্তি তৈরি করেছিল। নারবোনের মোজেস বেন জোশুয়ারও এটি ব্যবহার করেছিলেন। অনুবাদটি সম্ভবত ১৩৪৭ সালের দিকে মেজোর্কাতে করা হয়েছিল এবং এটি ১৫৫৬ সালে ফেরারায় মুদ্রিত হয়েছিল। স্থানীয় কথ্য হিব্রুতে বইটির দ্বিতীয় অনুবাদ করা হয়। এ একটি পাণ্ডুলিপিও রয়েছে। (প্যারিস, বিবলিওথেক ন্যাশনালে, কড. হিব., ৯৭৪)।

তাবরিজি স্পষ্টতই মাইমোনাইডসের সম্পর্কে উচ্চ ধারণা পোষণ করতেন। তিনি বইটি শেষ করেন এই লেখা দিয়ে- "এই প্রস্তাবগুলির লেখকের রাজদন্ড হলো "জ্ঞান" এবং তার সিংহাসন হলো "অন্তর্দৃষ্টি"। তিনি একজন ইস্রায়েলীয় রাজপুত্র, যিনি তার জাতি এবং স্রষ্টাকে ভালবাসে তাদের সকলকে উপকৃত করেছে্ন। মোজেস বেন মাইমন বেন এবেদ- ইলোহিম, ইস্রায়েলীয়... স্রষ্টা আমাদের সত্যের দিকে নিয়ে যান। আমিন!"[১] ব্যাখ্যাটির ভূমিকায় একটি মন্তব্য থেকে বোঝা যায় যে তাবরিজি সমগ্র গাইডের উপর একটি ভাষ্য প্রস্তুত করতে চেয়েছিলেন।[২] তবে কেউ কেউ মনে করেন যে তিনি গাইডটির সামগ্রিক মূলভাব সম্পূর্ণভাবে তুলে ধরতে পারেননি: যেমন- মানব আত্মা সম্পর্কে মাইমোনাইডসের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে মন্তব্যগুলি ত্রুটিযুক্ত।[৩]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

আরও পড়ুন সম্পাদনা

  • এ এম তাবরিজি, প্যারাপ্লেক্সডের গাইড থেকে টোয়েন্টি ফাইভ প্রিমিসেসের মন্তব্য, সংস্করণ। এম. মোহাগেঘ (তেহরান ১৯৮১)।