মুরাসাকি শিকিবু
মুরাসাকি শিকিবু (Murasaki Shikibu) (জন্ম আন্দাজ ৯৭৩ খ্রীস্টাব্দ - মৃত্যু আন্দাজ ১০১৪ বা ১০২৫ খ্রীস্টাব্দ) একজন জাপানী মহিলা ঔপন্যাসিক, কবি এবং হেইয়ান আমলে রাজদরবারের কর্মচারী ছিলেন। তিনি জাপানী সাহিত্যের বিখ্যাত উপন্যাস গেঞ্জির উপাখ্যান (The Tale of Genji)-এর লেখক হিসেবে চিরস্মরনীয় হয়ে আছেন। ১০০০ খ্রীস্টাব্দ থেকে ১০০৮ খ্রীস্টাব্দের মধ্যে রচিত এই গ্রন্থটি মানবসাহিত্যের ইতিহাসে সর্বপ্রথম উপন্যাসগুলোর অন্যতম। [১]
মুরাসাকি শিকিবু | |
---|---|
জন্ম | ৯৭৩ কিওতো, জাপান |
মৃত্যু | ১০১৪ বা ১০২৫ |
পেশা | ঔপন্যাসিক |
জাতীয়তা | জাপানী |
নাম রহস্য
সম্পাদনামুরাসাকি শিকিবু তার ছদ্মনাম। তার আসল নাম এখনো অজ্ঞাতই রয়ে গিয়েছে, যদিও কোন কোন বিশেষজ্ঞের মতে তার নাম ছিল সম্ভবত তাকাকো। তার ডায়েরী থেকে জানা যায় যে 'মুরাসাকি' নামটি তাকে রাজদরবারে ডাকনাম হিসেবে দেয়া হয়। 'মুরাসাকি' ছিল তারই লেখা গেঞ্জির উপাখ্যান-এর একটি চরিত্রের নাম। 'মুরাসাকি' শব্দটির মানে 'বেগুনী। আর 'শিকিবু' সরকারী আমলাতন্ত্রে তার বাবার পদস্থলের নাম।
জীবনী
সম্পাদনামুরাসাকি শৈশবে তার মাকে হারান। হেইয়ান আমলে জাপানের প্রথা ছিল যে স্বামী-স্ত্রী আলাদা বসবাস করবে এবং সন্তান-সন্ততিদের বড় করে তোলার দায়িত্ব বর্তাবে মা এবং মাতৃপরিবারের উপর। মুরাসাকির বাবা তামেতোকি ছিলেন রাজদরবারের পণ্ডিত। তিনি প্রচলিত প্রথা ভঙ্গ করে তার কন্যাকে নিজের কাছে রেখেই বড় করেন। শুধু তাই নয়, তিনি মুরাসাকি-কে পুত্র সন্তানের শিক্ষা দেন। সে আমলে ছেলেরা চীনা ভাষায় শিক্ষা লাভ করতো, কারণ চীনা ছিল রাজদরবাররের আনুষ্ঠানিক ভাষা। অন্যদিকে মেয়েরা শিখতো জাপানী কানা বর্ণমালা এবং কবিতা। তামেতোকি তার কন্যার মেধা ও বুদ্ধিমতা দেখে আক্ষেপ করেন কেন মুরাসাকি ছেলে হয়ে জন্মায়নি।
রাজদরবারে মুরাসাকি সম্রাজ্ঞী আকিকোর মহিলা সঙ্গিনী (lady-in-waiting) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তার মৃত্যুর বছর সম্পর্কে আজও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রচনা সমূহ
সম্পাদনাবিশেষজ্ঞদের মতে তিনটি গ্রন্থ মুরাসাকির লেখা - গেঞ্জির উপাখ্যান, মুরাসাকির ডায়েরী, এবং মুরাসাকির সংকলন। এর মধ্যে প্রথমোক্তটি নিঃসন্দেহে তার শ্রেষ্ঠ রচনা। শেষোক্তটি একটি কবিতার বই। মুরাসাকির লেখা ১২৮টি কবিতা তার মৃত্যুর পর এই বইতে সংকলিত আকারে প্রকাশ পায়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "In Celebration of The Tale of Genji, the World's First Novel"। Encyclopedia Britannica (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১২।