মুজিজে
মুজিজে (তুর্কি: Mucize, উ্চ্চরণ: /mud͡ʒize/) মাহসুন কির্মিজিগল পরিচালিত একটি ২০১৫ সালের তুর্কি নাট্য চলচ্চিত্র।[১][২]
মুজিজে | |
---|---|
পরিচালক | মাহসুন কার্মেজাজিল |
প্রযোজক | টেকিন দোগান, মুরাত টোকাট |
রচয়িতা | মাহসুন কার্মেজাজিল |
শ্রেষ্ঠাংশে | মাহসুন কর্মেজালগল তালাত বুলুট |
সুরকার | তেভিক আকবসালি, ইল্ডিরে গার্জেন, মাহসুন কির্মিজিগল |
চিত্রগ্রাহক | সোয়কুত তুরান |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৩৬ মিনিট |
দেশ | তুরস্ক |
ভাষা | তুর্কি |
পটভূমি
সম্পাদনা১৯৬০ এর দশকে একজন স্কুল শিক্ষককে তার পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে শহর থেকে তুরস্কের প্রত্যন্ত পাহাড়ী গ্রামে বদলি করা হয়। বাসে দীর্ঘ যাত্রা করার পরে তাকে শেষ স্টেশনে তাকে নামিয়ে দেয়া হয়। এখন তাকে তার গন্তব্যে পৌঁছাতে দুটি পাহাড়ের উপর দিয়ে দীর্ঘ পথ যেতে হবে। তিনি এসে পৌঁছে আবিষ্কার করেলেন যে, গ্রামটিই কেবল দরিদ্র নয় এবং বেশিরভাগ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত, এমনকি তাকে যে স্কুলে বদলি করা হয়েছে সে স্কুলটিও নেই।
কাহিনী সংক্ষেপ
সম্পাদনা১৯৬০ এর দশকে তুরস্কের সমুদ্র উপকূলবর্তী একটি শহরে বসবাসকারী এক স্কুল শিক্ষক মাহির ওগ্রেটম্যানকে এক প্রত্যন্ত গ্রামে বদলি করা হয়। স্ত্রী ও দুই কন্যার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে চলে যেতে হয় তার নতুন গন্তব্যে। তাকে একটি দীর্ঘ যাত্রা পথে বাসে যেতে হয় যা তার গন্তব্য থেকে অনেক আগে থেমে যায়, গন্তব্যের গ্রামে যেতে আরো দুইটি পাহাড় পাড়ি দিতে হবে, যেহেতু সরকার আর কোনও রাস্তা তৈরি করেনি। পাহাড়ের উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার পরে তিনি গ্রামে পৌঁছেন। গ্রামের লোকেরা বন্দুক নিয়ে তার দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তারা যখন তার পরিচয় জানতে পারে তখন তারা তাকে জানায় যে গ্রামে তাদের কোনও স্কুল নেই। গ্রামের ছেলেমেয়েরা চিরদিনের জন্য নিরক্ষর হয়ে পড়েছে কারণ শিক্ষক মনে করেন যে তিনি এই কাজ করতে পারবেন না। আমরা আট মাস ইশ্বরের ইচ্ছায় বাঁচি (যখন বরফ পড়ে) এবং বাকী চার মাস সরকারের করুণায়। গ্রামের প্রবীণদের এই কথাগুলি, তাদের সম্প্রদায়ের জীবনের কঠোর বাস্তবতার সমষ্টি। কিন্তু শিক্ষক সরকারী উপায়ে তাদের জন্য একটি স্কুল আনার দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং ব্যর্থ হন। গ্রামের প্রধান, যিনি ইতিমধ্যে শিক্ষককে পছন্দ করতে শুরু করেছেন, তার দুঃখ হয় সরকারীভাবে কোনও স্কুল না পাওয়ায় শিক্ষককে চলে যেতে দেখতে হবে। রাত কেটে যাওয়ার পরে শিক্ষক স্কুল তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে আসেন। তিনি তার বাসায় ফোন করে বলেন যে ডাকাতরা তাকে অপহরণ করেছে। মুক্তিপণের অর্থ পাওয়ার পরে গ্রামবাসী এবং পর্বত দস্যুদের সহায়তায় একটি স্কুলঘর নির্মিত হয়। এরই মধ্যে গল্পটি আমাদের গ্রামের জীবন দেখাতে শুরু করে। সম্প্রদায়ের যুবকরা একে অপরের সাথে প্রাবীণদের দ্বারা বেছে নেওয়া কনেকে বিয়ে করে। কনে নির্বাচনের আচারটি বেশ মজার। গ্রামের প্রবীণ মহিলারা যোগ্য অবিবাহিতদের ইচ্ছা এবং প্রয়োজনীয়তা শোনার পরে বাছাই করতে যান এবং কনেকে কুরআন সম্পর্কে, রান্নাবান্না সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন এবং দম পরীক্ষা করে যে মেয়েকে বেছে নেন, সেই কনেকেই তাদের বরকে বিবাহ করতে হয়। গ্রাম প্রধানের দুই ছেলে বিয়ে হয় কিন্তু বড় ছেলে আজিজ প্রতিবন্ধী। গ্রামের লোকেরা এবং শিশুরা তাকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। শিক্ষক সদ্য পাওয়া স্কুলে আজিজকে ভর্তি করে তাকে উদ্ধার করে, যেখানে গ্রামের সমস্ত শিশু একটি কক্ষে পড়াশোনা করে। কেউ আজিজকে বিয়ের উপযুক্ত বলে মনে করে না, তবে হঠাৎ গ্রাম প্রধান শহরের আদালতের বাইরে এক ব্যক্তির জীবন বাঁচান। লোকটি তার কৃতজ্ঞতাস্বরুপ প্রতিশ্রুতি দেন যে তার মেয়ে মিজগিনকে আজিজের সাথে বিয়ে দিবেন। মিজগিন এবং আজিজের পক্ষে জীবন কঠিন হয়ে পড়ে কারণ সম্প্রদায় মনে করে যে, তারা কোনও উপযুক্ত দম্পতি নন। গ্রামবাসীর কাছ থেকে বেশ কিছু খারাপ মন্তব্য ও আচরণের পরে আজিজ ও মিজগিন পালিয়ে যায়। কিছু দিন পরে, শিক্ষকও তার শহরে ফিরে আসেন। ৭ বছর পরে ঐ শিক্ষক, আজিজ এবং মিজগিনকে নিয়ে গ্রামে ফিরে আসেন।
অভিনয়ে
সম্পাদনা- মাহসুন কর্মেজালগল - বোজাট
- তালাত বুলুট - মোল্লিম মাহির
- মার্ট তুরাক - আজিজ
- সেজমি বাস্কান - ইশা
- ট্যানসেল আঞ্জেল - সেমিলো
- আদিম আতবাস - ফেহমি
- আলী সরমেলি - হায়দার
- বাসরা পেকিন - গুলে
- মেরাল সেটিনকায়া - হাজার
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ sabah, daily (২০১৫-০১-০৬)। "'Mucize' breaks best box-office opening record of the season"। Daily Sabah (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৬।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০২০।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে মুজিজে (ইংরেজি)