মুখগোলক
পক্ষীবিজ্ঞানে মুখগোলক বলতে কয়েকটি নির্দিষ্ট প্রজাতির পাখির চোখের চারিদিকের পালকগুলোর গোলাকার বিন্যাস্ততাকে বোঝায়। প্যাঁচাদের মধ্যে মুখগোলক সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। সাধারণত পাখিদের দুই চোখকে ঘিরে অর্ধবৃত্তাকারে এ মুখগোলক বিন্যাস্ত থাকে। এর মূল উদ্দেশ্য হল দূরবর্তী শব্দ তরঙ্গ যাতে খুব সহজে পাখিদের কানে এসে পৌঁছে। কেবল শব্দ নয়, দৃষ্টিশক্তি নিয়ন্ত্রণের কাজেও এটি ব্যবহৃত হয়। এ বিশেষ শারীরিক সুবিধার ফলে প্যাঁচারা খুব সহজে গর্তে, গাছের খোঁড়লে, তুষারের নিচে এমনকি ঘন ঘাসে শিকারের অবস্থান নিখুঁতভাবে নির্ণয় করতে পারে।
প্যাঁচা ছাড়াও রাখালভুলানি বা কাপাসিদেরও ছোটখাটো মুখগোলক থাকে। তবে প্যাঁচাদের তুলনায় এদের মুখগোলক অতটা দৃষ্টিগ্রাহ্য নয়। রাখালভুলানিরা শব্দ পেলে তাদের এ বর্ধিষ্ণু পালক খাড়া করে সুনির্দিষ্টভাবে শব্দটি শোনার চেষ্টা করে।
বড় ধূসর প্যাঁচার মুখগোলক পৃথিবীতে শবচেয়ে বড়। লক্ষ্মী প্যাঁচার মুখগোলকের পরিধি প্রায় ১১০ মিলিমিটার।
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- Jemima Parry-Jones (2001). Understanding Owls: Biology, Management, Breeding, Training. David & Charles, p. 20. আইএসবিএন ০-৭১৫৩-১২২৩-৫
- Robert E. Simmons (2000). Harriers of the World: Their Behavior and Ecology. Oxford University Press, pp. 53–56. আইএসবিএন ০-১৯-৮৫৪৯৬৪-৪