মীনাক্ষী গোপীনাথ হলেন একজন ভারতীয় শিক্ষাবিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, লেখক এবং লেডি শ্রী রাম কলেজ, নয়াদিল্লির প্রাক্তন অধ্যক্ষ। [১] তিনি উইমেন ইন সিকিউরিটি কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড পিস (WISCOMP) নামক [২] এশিয়ার মহিলাদের মধ্যে শান্তি ও সামাজিক-রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রচারক একটি বেসরকারি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও দায়িত্বশীল পরিচালক এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বোর্ডের প্রাক্তন সদস্য। তিনি ভারত সরকারের এজেন্সিতে চাকরি করা প্রথম মহিলা। [১] তিনি লোকপালের নির্বাচন প্যানেলের সদস্য হিসাবে কাজ করেছেন। এটি একটি আইনি সংস্থা যার এখতিয়ার রয়েছে ভারতের বিধায়ক এবং সরকারী কর্মকর্তাদের উপর। [৩] ভারতীয় শিক্ষাক্ষেত্রে তার অবদানের জন্য ভারত সরকার তাকে ২০০৭ সালে চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী প্রদান করে। [৪] তিনি আন্তর্জাতিক নারীবাদী জার্নাল অফ পলিটিক্সের সহ-সম্পাদক, যা নারীবাদী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং বিশ্ব রাজনীতির শীর্ষস্থানীয় জার্নাল। [৫]

সাহিত্যিক পেশা সম্পাদনা

মীনাক্ষী গোপীনাথ তার প্রথম বই, পাকিস্তান ইন ট্রানজিশন - পলিটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রাইজ টু পাওয়ার অফ পাকিস্তান পিপলস পার্টি, ১৯৭৫ সালে প্রকাশ করেছিলেন [৬] ২০০৩ সালে, তিনি দুটি বই প্রকাশ করেন। দ্বন্দ্ব সমাধান : Trends and Prospects নামক বইটিতে সুমনা দাসগুপ্তা এবং নন্দিতা সুরেন্দ্রনের সাথে তিনি সহ-লেখক ছিলেন যা ওমেন ইন সিকিউরিটি, কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড পিস দ্বারা প্রকাশিত। [৭] ট্রান্সসেন্ডিং কনফ্লিক্ট এ রিসোর্স বুক অন কনফ্লিক্ট ট্রান্সফরমেশন উইসকমপ দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল এবং মঞ্জরিকা সেবক তার সহ-লেখক ছিলেন। [৮] [৯] তিনি কিছু নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন [১০] এবং শান্তি উদ্যোগ সম্পর্কিত সেমিনার এবং সম্মেলনে বেশ কয়েকটি মূল বক্তব্য প্রদান করেছেনচ। [১১] [১২] [১৩] [১৪]

পুরস্কার ও সম্মাননা সম্পাদনা

ভারত সরকার ২০০৭ সালে গোপীনাথকে চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রীতে ভূষিত করে [৪] তিনি একই বছর শিক্ষায় শ্রেষ্ঠত্বের জন্য আরেকটি পুরস্কার, কিমপ্রো প্লাটিনাম স্ট্যান্ডার্ড অ্যাওয়ার্ড পান। [১৫] পরের বছর, সেলিব্রেটিং ওম্যানহুড তাকে ২০০৮ সেলিব্রেটিং ওমেনহুড সাউথ এশিয়ান রিজিয়ন রিকগনিশন প্রদান করে সামাজিক সম্প্রীতির জন্য। [১৬] তিনি শিক্ষায় শ্রেষ্ঠত্বের জন্য রাজীব গান্ধী পুরস্কার এবং মহিলা শিরোমণি পুরস্কার এবং দিল্লি সিটিজেন ফোরাম পুরস্কারের প্রাপক। [১]

আরো দেখুন সম্পাদনা

 

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Dr Meenakshi Gopinath on Aberystwyth University" (পিডিএফ)। Aberystwyth University। ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৬ 
  2. "Our Story"। Women in Security Conflict Management and Peace। ২০১৬। ৯ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৬ 
  3. "Fali Nariman refuses to join 'farcical' Lokpal selection panel"। First Post। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৬ 
  4. "Padma Awards" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৬। ১৫ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৫ 
  5. "Home"International Feminist Journal of Politics (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-২০ 
  6. Meenakshi Gopinath (১৯৭৫)। Pakistan in Transition - Political Development and Rise to Power of Pakistan People's Party। Manohar Publishers। এএসআইএন B003E1GBSM 
  7. Meenakshi Gopinath; Manjrika Sewak (২০০৩)। Transcending Conflict A Resource Book on Conflict Transformation। Women in Security Conflict Management and Peace। পৃষ্ঠা 152। ৯ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০২৪ 
  8. Meenakshi Gopinath, Manjrika Sewak (Editors) (২০০৫)। Dialogic Engagement। Women in Security, Conflict Management and Peace। পৃষ্ঠা 155। 
  9. Meenakshi Gopinath (অক্টোবর ২০১১)। "Well-Heeled Pink Panthers" 
  10. "Building Institutions for Impact conference" (পিডিএফ)। Building Institutions for Impact। জানুয়ারি ২০১০। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৬ 
  11. "Rescripting Security: Gender and Peacebuilding in South Asia"। Aberystwyth University। ২০১৬। ২৬ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৬ 
  12. "A Bridge Not Far"। Nanyang Technological University। ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৬ 
  13. "Meenakshi Gopinath, President of India's Lady Shri Ram College, to Give Commencement Address on May 18"। Bryn Mawr College। ২৮ মার্চ ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৬ 
  14. "Winners - Platinum"। Qimpro Foundation। ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৬ 
  15. "Celebrating Womanhood South Asian Region Recognition 2008'"। Celebrating Womanhood.org। ২০০৮। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

আরও পড়ুন সম্পাদনা