মিলিবাগ

কীটপতঙ্গের পরিবার

মিলিবাগ পোকাটি আফ্রিকান। বৃষ্টি হলে বা প্রচুর পানি ছিটালে পোকাটির উপদ্রব কমতে পারে বলে। পোকাটি মানুষের চেয়ে ফসলের জন্য বেশি ক্ষতিকর। তবে মানুষের সংস্পর্শে এলে চুলকানি, এ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তবে এ জন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

মিলিবাগ
Mealybugs on a flower stem, Yogyakarta
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: Arthropoda
শ্রেণী: Insecta
বর্গ: Hemiptera
উপবর্গ: Sternorrhyncha
মহাপরিবার: Coccoidea
পরিবার: Pseudococcidae
Heymons, 1915 [১]
Genera
See text
[২]
মিলিবাগ

বিশেষজ্ঞরা জানান, পোকাটি ফসলের জন্য বেশি ক্ষতিকর। মানুষের সংস্পর্শে এলে চুলকানি, এ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তবে মানুষের চেয়ে ফসলের জন্য পোকাটি বেশি ক্ষতিকর। এ জন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। তাছাড়া দীর্ঘদিন যাতে এই পোকার উপদ্রব না থাকে সে জন্য সচেতন থাকার আহ্বান জানান তাঁরা। পোকাটি উদ্ভিদের জন্য হুমকি। কার্বোসালফান কিংবা কনফিডার স্প্রে করলে আক্রান্ত গাছকে রক্ষা করা যাবে । ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পোকাগুলো মাটির নিচে অবস্থিত ডিম থেকে ফুটে বের হয়ে খাবারের জন্য আশপাশের পোষক গাছের কঁচিপাতা, নতুন শাখা, কা-, ফুলের কুঁড়ি, ফল ও ফলের বৃন্ত প্রভৃতিতে অবস্থান করে। এ অবস্থায় পোকাগুলো মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত আক্রান্ত গাছ থেকে খাবার সংগ্রহ করে জীবনধারণ করে এবং প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় পৌঁছে। এর পর মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত পোকাগুলো পূর্ণবয়স্ক হয়ে ডিমপাড়ার জন্য উপযোগী জায়গার খোঁজে মাটিতে নেমে আসে। তারা সাধারণত মাটির নিচে ডিম পাড়ে। আক্রান্ত গাছের চারপাশে নালা তৈরি করে কেরোসিন মিশ্রিত পানি দিয়ে রাখলে পোকাগুলো নামা অবস্থায় মারা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রতিটি ডিম্ব থলেতে ২শ’ থেকে ৩শ ডিম থাকে। এই ডিমগুলো মাটির নিচে এপ্রিল থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্ত অবস্থায় থাকে। এই পোকাগুলো পরিবহনের মাধ্যমে আফ্রিকা থেকে পার্শ্ববর্তী দেশে প্রবেশ করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানান, বড় ধরনের ক্ষতি মানুষের না হলেও পোকার গায়ে থাকা পাউডার জাতীয় পদার্থ গায়ে লাগলে এ্যালার্জিসহ চর্মরোগ হতে পারে। তাই পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। এই পোকা মানুষের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি না হলেও পোকার গায়ে থাকা পাউডার জাতীয় পদার্থ গায়ে লাগলে এ্যালার্জিসহ চর্মরোগ হতে পারে। পোকাগুলো সাদাটে রং, অনেকগুলো পা আছে। পোকাগুলো উড়তে পারে না।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Pseudococcidae Heymons, 1915"ইন্টিগ্রেটেড ট্যাক্সোনোমিক ইনফরমেশন সিস্টেম 
  2. Encyclopedia of Life

আরোও পড়ুন সম্পাদনা

  • Jahn, G. C. and J.W. Beardsley 1994. Big-headed ants, Pheidole megacephala: Interference with the biological control of gray pineapple mealybugs. In D.F. Williams [ed.] "Exotic Ants: Biology, Impact and Control of Introduced Species." Westview Press, Oxford, 199–205.
  • Jahn, G. C. and J.W. Beardsley 1998. Presence / absence sampling of mealybugs, ants, and major predators in pineapple. J. Plant Protection in the Tropics 11(1):73–79.
  • Jahn, Gary C., J. W. Beardsley and H. González-Hernández 2003. A review of the association of ants with mealybug wilt disease of pineapple. Proceedings of the Hawaiian Entomological Society. 36:9–28.

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

On the University of Florida / Institute of Food and Agricultural Sciences Featured Creatures website: