মিথ্যা ইতিবাচক ফলাফল ও মিথ্যা নেতিবাচক ফলাফল

উপাত্ত পরিসংখ্যান কিংবা চিকিৎসাবৈজ্ঞানিক পরীক্ষাতে দুই ধরনের ত্রুটিপূর্ণ ফলাফল

কোনও রোগনির্ণয় বা বাছাই পরীক্ষার ক্ষেত্রে যদি কোনও সুস্থ রোগমুক্ত ব্যক্তির জন্য ভুল করে ইতিবাচক ফলাফল আসে অর্থাৎ রোগের উপস্থিতি আছে এরকম ফলাফল আসে, তাহলে সেই ফলাফলকে মিথ্যা ইতিবাচক ফলাফল বলে। যদি এ ধরনের ফলাফলের ভিত্তিতে ভুল রোগনির্ণয় করা হয় এবং চিকিৎসা করানো হয় তাহলে প্রকৃতপক্ষে সুস্থ ব্যক্তির অসুস্থ হবার ঝুঁকি বেড়ে যায়। যেমন ক্যান্সার রোগ নির্ণয় করার পরীক্ষায় মিথ্যা ইতিবাচক ফলাফল আসার পরে বিকিরণ চিকিৎসা বা বড় ধরনের অস্ত্রোপচার করলে ব্যক্তির ক্ষতি হতে পারে। অধিকন্তু এরকম ফলাফলের ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মনে অকারণে উদ্বেগের সৃষ্টি হতে পারে।

যদি কোনও ব্যক্তিকে রোগনির্ণয় বা বাছাই পরীক্ষা করার পরে ভুল করে নেতিবাচক ফলাফল আসে অর্থাৎ রোগের উপস্থিতি নেই এরকম ফলাফল আসে, কিন্তু যদি বাস্তবিক পক্ষে ব্যক্তিটি রোগাক্রান্ত হয়, তাহলে সেই ফলাফলকে মিথ্যা নেতিবাচক ফলাফল বলা হয়। যদি আলোচ্য রোগটি একটি প্রাণঘাতী রোগ যেমন ক্যান্সার হয়, তাহলে সেই রোগীকে ভুল করে সুস্থ ঘোষণা করলে গুরুতর পরিণতি হতে পারে।

কোনও পরীক্ষাতে মিথ্যা ইতিবাচক ফলাফলের হার যত বেশি হবে, তার নির্দিষ্টতার মান (সত্য নেতিবাচক ফলাফলের হার) তত কম হবে। আবার কোনও পরীক্ষার মিথ্যা নেতিবাচক ফলাফলের হার যত বেশি হবে, সেটির সংবেদনশীলতার মান (সত্য ইতিবাচক ফলাফলের হার) তত কম হবে।