মিকেলা লোচ
মিকােলা লোচ একজন জলবায়ু বিচারকর্মী। স্কটল্যান্ডের এডিনবরা তার কর্মভূমি। তাকে গ্লোবাল সিটিজেন পুরস্কার: যুক্তরাজ্যের হিরো অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত করা হয়।[১]
মিকােলা লোচ | |
---|---|
জন্ম | ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮ কিংস্টন, জামাইকা |
জাতীয়তা | স্কটিশ |
পরিচিতির কারণ | জলবায়ু ন্যায়বিচারের কর্মী, ব্লগার এবং পডকাস্টার |
লোচ এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী।[২]
প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা
সম্পাদনা১৯৯৮ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি জামাইকার রাজধানী কিংস্টন শহরে মিকােলার জন্ম হয়। যুক্তরাজ্যের সারে শহরে তার বেড়ে ওঠা।[৩] লচ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য তিনি এডিনবরায় চলে আসেন। বর্তমানে তিনি এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের মেডিকেল শিক্ষার্থী।[৪]
প্রচার কর্ম
সম্পাদনাকৈশোর থেকেই পরিবেশ ও জাতিগত বিচার এই দুয়ের মধ্যেকার ফারাক সম্পর্কে লোচ সচেতন হতে শুরু করেন।[৩] ২০১৯ সালে লোচ পরিবেশ আন্দোলনের সদস্য ও বিলুপ্তির বিদ্রোহ [Extinction Rebellion (XR)] এর সদস্য হন।[৫] ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে বিলুপ্তির বিদ্রোহ জলবায়ু পরিবর্তন-এর প্রতিবাদে অংশ নিতে তিনি এডিনবরা থেকে লন্ডনে এসেছিলেন।[৬] উদ্দেশ্য ছিল জলবায়ু সংকটের বিষয়ে রাজনীতিবিদদের শোনানো ও এ বিষয়ে প্রতিবাদের দাবি করা।[৪] তিনি তার এই অভিজ্ঞতার কথা একটি ডায়েরিতে লিখে রাখেন।[৫] ২০১৯ সালের বিলুপ্তির বিদ্রোহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিবাদে লোচ বিলুপ্তির বিদ্রোহ স্কটল্যান্ডের মঞ্চে নিজেকে আটকে রেখে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর হন। প্রায় আট ঘণ্টা তিনি ধর্ণা মঞ্চে বদ্ধ থাকেন। পরে অন্য বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে স্বেচ্ছায় মুক্ত হন।[৫]
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং ইকো-এজের নিজের লেখায়,[৭] লোচ পরিবেশগত বিচার, জাতিগত ন্যায়বিচার, টেকসই ফ্যাশন এবং শরণার্থী অধিকারের পক্ষে বারংবার নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন।[৮] তিনি বেশ কয়েকটি পডকাস্টে অতিথিও হয়েছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে আন্দ্রে ফক্সের এজ অফ প্লাস্টিক পডকাস্ট এবং লায়লা সাদের গুড অ্যানসেস্টর পডকাস্টের নাম অন্যতম।[৯] মিকােলা লোচ জুরিখের কার্বন সম্মেলনের বিরুদ্ধে যুব সমাজ এই সম্মেলনে বক্তা ছিলেন।[১০][১১] ২০২০ সালে জো বেকারের সাথে লোচ YIKES পডকাস্ট তৈরি করেছেন।[১২][১৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Activist Mikaela Loach on Breaking up With Fast Fashion and Why Climate Justice Is Racial Justice"। Global Citizen (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০২১।
- ↑ "Sustainability influencers to follow on Instagram: From veganism to plastic-free living"। The Independent (ইংরেজি ভাষায়)। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০২১।
- ↑ ক খ "Activist Mikaela Loach on Breaking up With Fast Fashion and Why Climate Justice Is Racial Justice". Global Citizen. Retrieved 6 March 2021.
- ↑ ক খ "Sustainability influencers to follow on Instagram: From veganism to plastic-free living". The Independent. 11 February 2021. Retrieved 6 March 2021.
- ↑ ক খ গ "Life at the Extinction Rebellion protests: a diary of the past week". HeraldScotland. Retrieved 6 March 2021.
- ↑ "Extinction Rebellion protests: 'This is a last resort'"। BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০২১।
- ↑ "Mikaela Loach, Author at Eco-Age"। Eco-Age (ইংরেজি ভাষায়)। ১৭ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২১।
- ↑ Jay, Georgia Murray,Anna। "15 Women Decolonizing Sustainable Fashion"। www.refinery29.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২১।
- ↑ "Good Ancestor Podcast: Ep047: #GoodAncestor Mikaela Loach on Climate Justice & Antiracism on Apple Podcasts"। Apple Podcasts (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২১।
- ↑ "Youth Against Carbon Speakers"। www.zurich.co.uk। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২১।
- ↑ "'We're fighting for our futures'"। BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২১।
- ↑ "Activist Mikaela Loach on Breaking up With Fast Fashion and Why Climate Justice Is Racial Justice". Global Citizen. Retrieved 22 March 2021.
- ↑ "The YIKES Podcast on Apple Podcasts"। Apple Podcasts (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২১।